গৌরীপুর প্রতিনিধি ঃ
ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌরসভায় আগামী নির্বাচনে সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান শুভ্র’র হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে নানা কর্মসূচী চলছে। গৌরীপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলামকেও এ হত্যা মামলায় আসামী করা হয়েছে। তার জড়িত থাকার বিষয়টি নিয়ে নিহতের পরিবারের একাধিক সদস্য অভিযোগ করেছেন।
এ প্রসঙ্গে গৌরীপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলামের ভাষ্য ঃ
শুভ্রকে নিজের সন্তানের সঙ্গে তুলনা করেন গৌরীপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই, একটি মহল আমাকে ফাঁসাতে উঠেপড়ে লেগেছে। তিনি আরো বলেন, মাসুদুর রহমান শুভ্র আমার ছেলের সমতুল্য। জনপ্রতিনিধি হওয়ার প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকছে পারে, প্রতিহিংসা কখনও ছিলো না। আর আমি মানুষের কল্যাণে যে কাজ করেছি, যে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছি, তার প্রতি অগাত বিশ^াস ও আস্থা আছে। একবার কাউন্সিলর, দু’বার মেয়র নির্বাচিত হয়েছি, টানা ১৭বছর ধরে মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, একটি কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, ওরাই পরিকল্পিতভাবে আমার বাসা-বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হামলা-ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। বাসায় অগ্নিসংযোগ করে আমাকেও মেরে ফেলতে চেয়েছিলো। আল্লাহ আমাকে রক্ষা করেছেন।
এ দিকে সোমবার (১৯ অক্টোবর/২০২০) রাতে বড় ভাইয়ের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ছোট ভাই আবিদুর রহমান প্রান্ত বাদী হয়ে গৌরীপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ বোরহান উদ্দিন। তিনি জানান, মামলায় প্রধান আসামী করা হয়েছে উপজেলা বিএনপির (একাংশের) যুগ্ম আহ্বায়ক ও মইলাকান্দা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রিয়াদুজ্জামান রিয়াদ। তিনি মইলাকান্দা ইউনিয়নের পূর্বকাউরাট গ্রামের আবু সাঈদ মাহমুদের পুত্র। এছাড়াও মামলায় গৌরীপুর পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ রফিকুল ইসলাম ও তার দু’ভাই সৈয়দ তৌফিকুল ইসলাম, সৈয়দ রাসেলসহ ১৪জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৭/৮জনকে আসামী করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামী রিয়াদুজ্জামান রিয়াদ, মইলাকান্দা ইউনিয়নের পশ্চিম কাউরাট গ্রামের চান মিয়ার পুত্র রাসেল মিয়া (৩২), ইউনুছ আলীর পুত্র জাহাঙ্গীর আলম (৩২) ও আব্দুল খালেকের পুত্র মজিবুর রহমান (৩০) কে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।