আজ শুক্রবার ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

||
  • প্রকাশিত সময় : জানুয়ারি, ৬, ২০২১, ১১:২০ অপরাহ্ণ




ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯

রেজিস্টার্ড নং ডি এ-১
বাংলাদেশ গেজেট
অতিরিক্ত সংখ্যা
কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রকাশিত
সোমবার, এপ্রিল ৬, ২০০৯
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ
ঢাকা, ৬ই এপ্রিল, ২০০৯/২৩শে চৈত্র, ১৪১৫
সংসদ কর্তৃক গৃহীত নিম্নলিখিত আইনটি ৫ই এপ্রিল, ২০০৯ (২২শে চৈত্র, ১৪১৫) তারিখে
রাষ্ট্রপতির সম্মতি লাভ করিয়াছে এবং এতদ্বারা এই আইনটি সর্বসাধারণের অবগতির জন্য প্রকাশ করা
যাইতেছে ঃ⎯
২০০৯ সনের ২৬ নং আইন
ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ, ভোক্তা-অধিকার বিরোধী কার্য প্রতিরোধ ও তৎসংশ্লিষ্ট অন্যান্য
বিষয়ে বিধান করিবার লক্ষ্যে প্রণীত আইন।
যেহেতু ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ, ভোক্তা-অধিকার বিরোধী কার্য প্রতিরোধ ও তৎসংশ্লিষ্ট
অন্যান্য বিষয়ে বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল ঃ⎯
প্রথম অধ্যায়
প্রারম্ভিক
১। সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন।⎯(১) এই আইন ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯
নামে অভিহিত হইবে।
(২) এই আইন অবিলম্বে কার্যকর হইবে।
( ২৭৪৯ )
মূল্য ঃ টাকা ১৪.০০
২৭৫০ বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, এপ্রিল ৬, ২০০৯
২। সংজ্ঞা।⎯বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কিছু না থাকিলে, এই আইনে⎯
(১) “অধিদপ্তর” অর্থ ধারা ১৮ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ
অধিদপ্তর ;
(২) “অভিযোগ” অর্থ এই আইনের অধীন নির্ধারিত ভোক্তা-অধিকার বিরোধী কোন কার্যের
জন্য কোন বিক্রেতার বিরুদ্ধে মহাপরিচালকের নিকট লিখিতভাবে দায়েরকৃত নালিশ ;
(৩) “অভিযোগকারী” অর্থ নিম্নবর্ণিত ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণ, যিনি বা যাহারা এই আইনের অধীন
কোন অভিযোগ দায়ের করেন⎯
(ক) কোন ভোক্তা ;
(খ) একই স্বার্থসংশ্লিষ্ট এক বা একাধিক ভোক্তা ;
(গ) কোন আইনের অধীন নিবন্ধিত কোন ভোক্তা সংস্থা ;
(ঘ) জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ বা উহার পক্ষে অভিযোগ দায়েরের
ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা ;
(ঙ) সরকার বা, এতদুদ্দেশ্যে, সরকার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন সরকারী কর্মকর্তা ; বা
(চ) সংশ্লিষ্ট পাইকারী ও খুচরা ব্যবসায়ী ;
(৪) “উৎপাদনকারী” অর্থ কোন ব্যক্তি, যিনি⎯
(ক) কোন পণ্য অথবা উহার অংশবিশেষ প্রস্তুত বা উৎপাদন করেন ;
(খ) কোন পণ্য প্রস্তুত বা উৎপাদন করেন না, কিন্তু আইন অনুযায়ী অন্যের প্রস্তুতকৃত
বা উৎপাদিত পণ্যের অংশসমূহ সংযোজন করিয়া থাকেন এবং এইরূপে
সংযোজিত পণ্যকে নিজস্ব উৎপাদিত পণ্য বলিয়া দাবী করেন ;
(গ) আইন অনুযায়ী অন্যের প্রস্তুতকৃত বা উৎপাদিত কোন পণ্যের উপর নিজস্ব
ট্রেডমার্ক সন্নিবেশ করিয়া উক্ত পণ্যকে নিজস্ব প্রস্তুতকৃত কিংবা উৎপাদিত পণ্য
বলিয়া দাবী করেন ; বা
(ঘ) বাংলাদেশের বাহিরে উৎপাদিত হয় এমন কোন পণ্য, যে পণ্য উৎপাদকের
বাংলাদেশে কোন শাখা অফিস বা ব্যবসায়িক অফিস নাই, আমদানি বা বিতরণ
করেন ;
বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, এপ্রিল ৬, ২০০৯ ২৭৫১
ব্যাখ্যা ঃ কোন দেশীয় উৎপাদক প্রতিষ্ঠানের কোন পণ্য উহার কোন স্ব-নিয়ন্ত্রিত
বা স্ব-পরিচালিত শাখা অফিসে সংযোজন করিয়া থাকিলেও, উক্ত শাখা অফিস
উৎপাদক হিসাবে গণ্য হইবে না ;
(৫) “ঔষধ” অর্থ মানুষ, মৎস্য ও গবাদি পশু-পাখির রোগ প্রতিরোধ বা রোগ নিরাময়ের জন্য
ব্যবহার্য এলোপ্যাথিক, হোমিওপ্যাথিক, ইউনানী, আয়ুর্বেদিক বা অন্য যে কোন ঔষধ ;
(৬) “কারাদД অর্থ সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদÐ ;
(৭) “খাদ্য পণ্য” অর্থ মানুষ বা গবাদি পশু-পাখির জীবন ধারণ, পুষ্টি সাধন ও স্বাস্থ্য রক্ষার
জন্য ফল-মূল এবং পানীয়সহ অন্য যে কোন খাদ্যদ্রব্য ;
(৮) “গবেষণাগার” অর্থ কোন আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত বা সরকার কর্তৃক স্বীকৃত কোন
গবেষণাগার বা প্রতিষ্ঠান, যে নামেই অভিহিত হউক ;
(৯) “নকল” অর্থ বাজারজাতকরণের জন্য অনুমোদিত কোন পণ্যের অননুমোদিত অনুকরণে
অনুরূপ পণ্যের সৃষ্টি বা প্রস্তুত, যাহার মধ্যে উক্ত পণ্যের গুণাগুণ, উপাদান, উপকরণ বা
মান বিদ্যমান থাকুক বা না থাকুক ;
(১০) “নির্ধারিত” অর্থ বিধি দ্বারা নির্ধারিত এবং বিধি প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত মহাপরিচালক
কর্তৃক লিখিত আদেশ দ্বারা নির্ধারিত ;
(১১) “পণ্য” অর্থ যে কোন অস্থাবর বাণিজ্যিক সামগ্রী যাহা অর্থ বা মূল্যের বিনিময়ে কোন
ক্রেতা-বিক্রেতার নিকট হইতে ক্রয় করেন বা করিতে চুক্তিবদ্ধ হন ;
(১২) “পরিষদ” অর্থ ধারা ৫ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ ;
(১৩) “প্রবিধান” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান ;
(১৪) “ফৌজদারী কার্যবিধি” অর্থ ঈড়ফব ড়ভ ঈৎরসরহধষ চৎড়পবফঁৎব, ১৮৯৮ (অপঃ
ঘড়. ঠ ড়ভ ১৮৯৮) ;
(১৫) “বিধি” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি ;
(১৬) “বিক্রেতা” অর্থ কোন পণ্যের উৎপাদনকারী, প্রস্তুতকারী, সরবরাহকারী এবং পাইকারী ও
খুচরা বিক্রেতাও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে ;
(১৭) “ব্যক্তি” অর্থ কোন ব্যক্তি, কোম্পানী, সমিতি, অংশীদারী কারবার, সংবিধিবদ্ধ বা
অন্যবিধ সংস্থা বা উহাদের প্রতিনিধিও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে ;
২৭৫২ বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, এপ্রিল ৬, ২০০৯
(১৮) “ভেজাল” অর্থ চঁৎব ঋড়ড়ফ ঙৎফরহধহপব, ১৯৫৯ (ঙৎফরহধহপব ঘড়. খঢঠওওও
ড়ভ ১৯৫৯) এর ংবপঃরড়হ ৩(১) এ সংজ্ঞায়িত ধফঁষঃবৎধঃরড়হ এবং ঝঢ়বপরধষ
চড়বিৎং অপঃ, ১৯৭৪ (অপঃ ঘড়. ঢওঠ ড়ভ ১৯৭৪) এর ংবপঃরড়হ ২৫ঈ বা অন্য
কোন আইনে উল্লিখিত ধফঁষঃবৎধঃরড়হ বা ভেজাল ;
(১৯) “ভোক্তা” অর্থ এমন কোন ব্যক্তি,⎯
(ক) যিনি পুনঃবিক্রয় ও বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য ব্যতীত⎯
(অ) মূল্য পরিশোধে বা মূল্য পরিশোধের প্রতিশ্রæতিতে কোন পণ্য ক্রয় করেন ;
(আ) আংশিক পরিশোধিত ও আংশিক প্রতিশ্রæত মূল্যের বিনিময়ে কোন পণ্য
ক্রয় করেন ; বা
(ই) প্রলম্বিত মেয়াদ বা কিস্তির ব্যবস্থায় মূল্য পরিশোধের প্রতিশ্রæতিতে কোন
পণ্য ক্রয় করেন ;
(খ) যিনি ক্রেতার সম্মতিতে দফা (ক) এর অধীন ক্রীত পণ্য ব্যবহার করেন ;
(গ) যিনি পণ্য ক্রয় করিয়া উহা, আত্মকর্ম সংস্থানের মাধ্যমে স্বীয় জীবিকা অর্জনের
উদ্দেশ্যে, বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করেন ;
(ঘ) যিনি,⎯
(অ) মূল্য পরিশোধে বা মূল্য পরিশোধের প্রতিশ্রæতিতে কোন সেবা ভাড়া বা
অন্যভাবে গ্রহণ করেন ; বা
(আ) আংশিক পরিশোধিত ও আংশিক প্রতিশ্রæত মূল্যের বিনিময়ে কোন সেবা
ভাড়া বা অন্যভাবে গ্রহণ করেন ; বা
(ই) প্রলম্বিত মেয়াদ বা কিস্তির ব্যবস্থায় মূল্য পরিশোধের বিনিময়ে কোন সেবা
ভাড়া বা অন্যভাবে গ্রহণ করেন ; বা
(ঙ) যিনি সেবা গ্রহণকারীর সম্মতিতে দফা (ঘ) এর অধীন গৃহীত কোন সেবার সুবিধা
ভোগ করেন ;
(২০) “ভোক্তা-অধিকার বিরোধী কার্য” অর্থ,⎯
(ক) কোন আইন বা বিধির অধীন নির্ধারিত মূল্য অপেক্ষা অধিক মূল্যে কোন পণ্য,
ঔষধ বা সেবা বিক্রয় করা বা করিতে প্রস্তাব করা ;
বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, এপ্রিল ৬, ২০০৯ ২৭৫৩
(খ) জ্ঞাতসারে ভেজাল মিশ্রিত পণ্য বা ঔষধ বিক্রয় করা বা করিতে প্রস্তাব করা ;
(গ) মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিকারক কোন দ্রব্য, কোন খাদ্যপণ্যের
সহিত যাহার মিশ্রণ কোন আইন বা বিধির অধীন নিষিদ্ধ করা হইয়াছে, উক্তরূপ
দ্রব্য মিশ্রিত কোন পণ্য বিক্রয় করা বা করিতে প্রস্তাব করা;
(ঘ) কোন পণ্য বা সেবা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অসত্য বা মিথ্যা বিজ্ঞাপন দ্বারা ক্রেতা
সাধারণকে প্রতারিত করা;
(ঙ) প্রদত্ত মূল্যের বিনিময়ে প্রতিশ্রæত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ
না করা;
(চ) কোন পণ্য সরবরাহ বা বিক্রয়ের সময়ে ভোক্তাকে প্রতিশ্রæত ওজন অপেক্ষা
কম ওজনের পণ্য বিক্রয় বা সরবরাহ করা;
(ছ) কোন পণ্য বিক্রয় বা সরবরাহের উদ্দেশ্যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ওজন পরিমাপের
কার্যে ব্যবহৃত বাটখারা বা ওজন পরিমাপক যন্ত্র প্রকৃত ওজন অপেক্ষা
অতিরিক্ত ওজন প্রদর্শনকারী হওয়া;
(জ) কোন পণ্য বিক্রয় বা সরবরাহের ক্ষেত্রে প্রতিশ্রæত পরিমাপ অপেক্ষা কম
পরিমাপের পণ্য বিক্রয় বা সরবরাহ করা;
(ঝ) কোন পণ্য বিক্রয় বা সরবরাহের উদ্দেশ্যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দৈর্ঘ্য পরিমাপের
কার্যে ব্যবহৃত পরিমাপক ফিতা বা অন্য কিছু প্রকৃত দৈর্ঘ্য অপেক্ষা অধিক দৈর্ঘ্য
প্রদর্শনকারী হওয়া;
(ঞ) কোন নকল পণ্য বা ঔষধ প্রস্তুত বা উৎপাদন করা;
(ট) মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বা ঔষধ বিক্রয় করা বা করিতে প্রস্তাব করা; বা
(ঠ) সেবা গ্রহীতার জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্ন হইতে পারে এমন কোন কার্য করা,
যাহা কোন আইন বা বিধির অধীন নিষিদ্ধ করা হইয়াছে;
(২১) “মহাপরিচালক” অর্থ জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক;
এবং
(২২) “সেবা” অর্থ পরিবহন, টেলিযোগাযোগ, পানি-সরবরাহ, পয়ঃনিষ্কাশন, জ্বালানী,
গ্যাস, বিদ্যুৎ, নির্মাণ, আবাসিক হোটেল ও রেস্তোরাঁ এবং স্বাস্থ্য সেবা, যাহা
ব্যবহারকারীদের নিকট মূল্যের বিনিময়ে লভ্য করিয়া তোলা হয়, তবে বিনামূল্যে
প্রদত্ত সেবা ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে না।
২৭৫৪ বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, এপ্রিল ৬, ২০০৯
৩। এই আইন অতিরিক্ত গণ্য হওয়া।⎯এই আইনের বিধানাবলী সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আপাততঃ
বলবৎ অন্য কোন আইনের কোন বিধানকে ক্ষুণœ না করিয়া উহার অতিরিক্ত হিসাবে কার্যকর হইবে।
৪। আইনের প্রয়োগ হইতে অব্যাহতি।⎯সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা,
যে কোন সেবা বা এলাকাকে নির্ধারিত মেয়াদের জন্য এই আইনের প্রয়োগ হইতে অব্যাহতি প্রদান
করিতে পারিবে।
দ্বিতীয় অধ্যায়
পরিষদ প্রতিষ্ঠা, ইত্যাদি
৫। পরিষদ প্রতিষ্ঠা।⎯এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ
পরিষদ নামে একটি পরিষদ থাকিবে, যাহা নিম্নরূপ সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথা ঃ⎯
(১) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী, যিনি ইহার চেয়ারম্যানও হইবেন;
(২) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, পদাধিকারবলে;
(৩) জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তর এর মহাপরিচালক, পদাধিকারবলে;
(৪) বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক, পদাধিকারবলে;
(৫) শিল্প মন্ত্রণালয়ের অন্যূন যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা;
(৬) কৃষি মন্ত্রণালয়ের অন্যূন যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা;
(৭) মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অন্যূন যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা;
(৮) খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অন্যূন যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার একজন
কর্মকর্তা;
(৯) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অন্যূন যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা;
(১০) জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অন্যূন যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা;
(১১) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অন্যূন যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার একজন
কর্মকর্তা;
(১২) জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান, পদাধিকারবলে;
(১৩) পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা;
বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, এপ্রিল ৬, ২০০৯ ২৭৫৫
(১৪) ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি এর সভাপতি,
পদাধিকারবলে;
(১৫) ঔষধ শিল্প সমিতির সভাপতি, পদাধিকারবলে;
(১৬) কনজুমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর সভাপতি, পদাধিকারবলে;
(১৭) জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি, পদাধিকারবলে;
(১৮) ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এর পরিচালক, পদাধিকারবলে;
(১৯) সরকার কর্তৃক মনোনীত তিনজন বিশিষ্ট নাগরিক;
(২০) সরকার কর্তৃক মনোনীত বাজার অর্থনীতি, ব্যবসা, শিল্প ও জনপ্রশাসনে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন
অন্যূন দুইজন মহিলা সদস্য সমন্বয়ে চারজন সদস্য;
(২১) সরকার কর্তৃক মনোনীত একজন শিক্ষক প্রতিনিধি;
(২২) সরকার কর্তৃক মনোনীত একজন শ্রমিক প্রতিনিধি;
(২৩) সরকার কর্তৃক মনোনীত একজন কৃষক প্রতিনিধি; এবং
(২৪) মহাপরিচালক, যিনি উহার সচিবও হইবেন।
৬। সদস্য পদের মেয়াদ।⎯(১) উপ-ধারা (২) এর বিধান সাপেক্ষে পরিষদের কোন মনোনীত সদস্য
তাহার মনোনয়নের তারিখ হইতে দুই বৎসর ছয় মাসের জন্য সদস্য পদে বহাল থাকিবেন।
(২) উপ-ধারা (১) এর বিধান সত্তে¡ও মনোনয়নকারী কর্তৃপক্ষ যে কোন সময় উহার প্রদত্ত কোন
মনোনয়ন বাতিল করিয়া উপযুক্ত নূতন কোন ব্যক্তিকে মনোনয়ন প্রদান করিতে পারিবে।
৭। পরিষদের সভা।⎯(১) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে, পরিষদ উহার সভার
কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে।
(২) পরিষদের সভা চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে ও সময়ে অনুষ্ঠিত হইবে।
(৩) প্রতি ২ (দুই) মাসে পরিষদের কমপক্ষে একটি সভা অনুষ্ঠিত হইবে।
(৪) পরিষদের সকল সভায় চেয়ারম্যান সভাপতিত্ব করিবেন।
(৫) চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, সভায় সভাপতিত্ব করিবেন।
(৬) অন্যূন ১০ (দশ) জন সদস্যের উপস্থিতিতে পরিষদের সভার কোরাম গঠিত হইবে।
২৭৫৬ বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, এপ্রিল ৬, ২০০৯
(৭) উপস্থিত সদস্যগণের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে এবং
ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভাপতিত্বকারী ব্যক্তির একটি নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে।
(৮) শুধুমাত্র কোন সদস্যপদে শূন্যতা বা পরিষদ গঠনে ত্রæটি থাকিবার কারণে পরিষদের কোন
কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না এবং তৎসম্পর্কে কোন প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না।
৮। পরিষদের কার্যাবলী।⎯পরিষদের কার্যাবলী হইবে নিম্নরূপ, যথা ঃ⎯
(ক) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন
এবং উহা বাস্তবায়নে মহাপরিচালক ও জেলা কমিটিকে নির্দেশনা প্রদান;
(খ) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে প্রয়োজনীয় প্রবিধানমালা প্রণয়ন;
(গ) ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ সম্পর্কে সরকার কর্তৃক প্রেরিত যে কোন বিষয় বিবেচনা
করা এবং মতামত প্রদান;
(ঘ) ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় আইন ও প্রশাসনিক
নির্দেশনা প্রণয়নের বিষয়ে সরকারকে পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান;
(ঙ) ভোক্তা-অধিকার সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতন করিবার জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষা ও
প্রচারণামূলক কার্যক্রম গ্রহণ;
(চ) ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণের সুফল এবং ভোক্তা-অধিকার বিরোধী কার্যের কুফল
সম্পর্কে গণসচেতনতা গড়িয়া তুলিবার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ;
(ছ) ভোক্তা-অধিকার সম্পর্কে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা;
(জ) অধিদপ্তর, মহাপরিচালক এবং জেলা কমিটির কার্যক্রম তদারকি ও পর্যবেক্ষণ; এবং
(ঝ) উপরি-উক্ত দায়িত্ব পালন ও কর্তব্য সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় যে কোন
ব্যবস্থা গ্রহণ।
৯। পরিষদের তহবিল।⎯(১) পরিষদের কার্যাবলী পরিচালনার জন্য উহার একটি নিজস্ব
তহবিল থাকিবে এবং নিম্নবর্ণিত উৎসসমূহ হইতে প্রাপ্ত অর্থ উক্ত তহবিলে জমা হইবে, যথা ঃ⎯
(ক) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;
(খ) সরকারের অনুমোদনক্রমে কোন বিদেশী সরকার, সংস্থা বা কোন আন্তর্জাতিক সংস্থা
কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;
(গ) কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;
বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, এপ্রিল ৬, ২০০৯ ২৭৫৭
(ঘ) পরিষদের অর্থ বিনিয়োগ হইতে প্রাপ্ত মুনাফা; এবং
(ঙ) অন্য কোন বৈধ উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ।
(২) পরিষদের তহবিল বা উহার অংশবিশেষ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত খাতে বিনিয়োগ করা
যাইবে।
(৩) তহবিলে জমাকৃত অর্থ পরিষদের নামে তৎকর্তৃক অনুমোদিত কোন তফসিলী ব্যাংকে জমা
রাখা হইবে।
(৪) প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে তহবিল রক্ষণ ও উহার অর্থ ব্যয় করা যাইবে।
১০। জেলা ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ কমিটি প্রতিষ্ঠা।⎯(১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে,
প্রত্যেক জেলায় জেলা ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ কমিটি নামে একটি জেলা কমিটি থাকিবে, যাহা
নিম্নরূপ সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথা ঃ⎯
(ক) জেলা প্রশাসক, পদাধিকারবলে, যিনি উহার সভাপতিও হইবেন;
(খ) জেলা শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি, পদাধিকারবলে;
(গ) সরকার কর্তৃক স্বীকৃত কোন ভোক্তা-অধিকার প্রতিষ্ঠান কর্তৃক মনোনীত একজন
প্রতিনিধি;
(ঘ) সিভিল সার্জন, পদাধিকারবলে;
(ঙ) পুলিশ সুপার, পদাধিকারবলে;
(চ) পৌরসভা বা, ক্ষেত্রমত, সিটি কর্পোরেশনের মেয়র কর্তৃক মনোনীত একজন
প্রতিনিধি;
(ছ) সরকার কর্তৃক মনোনীত বাজার অর্থনীতি, ব্যবসা, শিল্প এবং জনপ্রশাসনে
অভিজ্ঞতাসম্পন্ন, চারজন প্রতিনিধি;
(জ) জেলা প্রশাসক কর্তৃক মনোনীত তাহার কার্যালয়ে কর্মরত অন্যূন সহকারী কমিশনার
পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা, যিনি উহার সচিবও হইবেন।
(২) জেলা কমিটির মনোনীত সদস্যগণ তাহাদের মনোনয়নের তারিখ হইতে দুই বৎসর ছয়
মাসের জন্য সদস্য পদে বহাল থাকিবেন ঃ
তবে শর্ত থাকে যে, মনোনয়ন প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ যে কোন সময় তৎকর্তৃক প্রদত্ত মনোনয়ন
বাতিল করিয়া নূতন কোন ব্যক্তিকে মনোনয়ন প্রদান করিতে পারিবেন।
২৭৫৮ বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, এপ্রিল ৬, ২০০৯
১১। জেলা কমিটির দায়িত্ব ও কার্যাবলী।⎯জেলা কমিটির দায়িত্ব ও কার্যাবলী হইবে
নিম্নরূপ, যথা ঃ⎯
(ক) ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ সম্পর্কে পরিষদ কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশনা, যদি থাকে,
প্রতিপালন করা;
(খ) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, পরিষদের কার্যাবলী সম্পাদনে উহাকে প্রয়োজনীয়
সহযোগিতা প্রদান করা;
(গ) ভোক্তা-অধিকার বিষয়ে নাগরিকদের সচেতন করিবার জন্য প্রয়োজনীয় প্রচারপ্রচারণা, সভা, সেমিনার ও কর্মশালা আয়োজন করা;
(ঘ) পাইকারী ও খুচরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ ভোক্তাদের ব্যবহারের জন্য অন্যান্য পণ্য
উৎপাদন ও বিপণন প্রতিষ্ঠানসমূহের কার্যাবলী তদারক ও পরিবীক্ষণ করা;
(ঙ) পরিষদ কর্তৃক অর্পিত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করা; এবং
(চ) উপরি-উক্ত কার্যাবলী সম্পাদনের প্রয়োজনে আনুষঙ্গিক যে কোন কার্য সম্পাদন করা।
১২। জেলা কমিটির সভা।⎯(১) এই ধারার অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, জেলা কমিটি উহার
সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে।
(২) জেলা কমিটির সভা উহার সভাপতি কর্তৃক নির্ধারিত স্থান ও সময়ে অনুষ্ঠিত হইবে ঃ
তবে শর্ত থাকে যে, প্রতি মাসে জেলা কমিটির কমপক্ষে একটি সভা অনুষ্ঠিত হইবে।
(৩) জেলা কমিটির সভাপতি উক্ত কমিটির সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন।
(৪) অন্যূন ৫ (পাঁচ) জন সদস্যের উপস্থিতিতে সভার কোরাম গঠিত হইবে।
(৫) শুধুমাত্র কোন সদস্যপদে শূন্যতা বা কমিটি গঠনে ত্রæটি থাকিবার কারণে জেলা কমিটির
কোন কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না এবং তৎসম্পর্কে কোন প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না।
১৩। উপজেলা কমিটি, ইউনিয়ন কমিটি ইত্যাদি।⎯(১) অধিদপ্তর, এই আইনের উদ্দেশ্য
পূরণকল্পে, প্রয়োজনবোধে, প্রতিটি উপজেলায় উপজেলা ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ কমিটি এবং প্রতিটি
ইউনিয়নে ইউনিয়ন ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ কমিটি গঠন করিতে পারিবে।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রত্যেক উপজেলা কমিটি ও ইউনিয়ন কমিটির⎯
(ক) সদস্য সংখ্যা, সদস্যদের মনোনয়ন, যোগ্যতা, অপসারণ ও পদত্যাগ সংক্রান্ত
বিধানাবলী ; এবং
(খ) দায়িত্ব, কার্যাবলী এবং সভার কার্যপদ্ধতি,
প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, এপ্রিল ৬, ২০০৯ ২৭৫৯
১৪। জেলা কমিটি, ইত্যাদির তহবিল।⎯(১) প্রতিটি জেলা কমিটি, উপজেলা কমিটি এবং
ইউনিয়ন কমিটির একটি করিয়া তহবিল থাকিবে।
(২) জেলা কমিটি, উপজেলা কমিটি এবং ইউনিয়ন কমিটির তহবিল রক্ষণ, উহার অর্থ ব্যয়
এবং তৎসংক্রান্ত বিষয়াদি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
(৩) এই আইনের অধীন মামলা, ল্যাবরেটরী পরীক্ষার খরচসহ জেলা কমিটির প্রয়োজনীয়
অন্যান্য ব্যয় প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, জেলা কমিটি, উপজেলা কমিটি বা, ক্ষেত্রমত, ইউনিয়ন
কমিটির তহবিল হইতে নির্বাহ করা যাইবে।
১৫। বাজেট।⎯পরিষদ প্রতি বৎসর, সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে, পরবর্তী অর্থ-
বৎসরের বার্ষিক বাজেট বিবরণী সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে, অনুমোদনের জন্য সরকারের নিকট
পেশ করিবে এবং উহাতে উক্ত অর্থ-বৎসরে সরকারের নিকট হইতে জেলা কমিটি, উপজেলা কমিটি
এবং ইউনিয়ন কমিটিসহ পরিষদের কী পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হইবে উহার উল্লেখ থাকিবে।
১৬। হিসাব রক্ষণ ও নিরীক্ষা।⎯(১) পরিষদ যথাযথভাবে উহার তহবিলের হিসাব রক্ষণ
করিবে এবং হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রস্তুত করিবে।
(২) বাংলাদেশের মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অতঃপর মহাহিসাব নিরীক্ষক নামে অভিহিত,
বা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি প্রতি বৎসর পরিষদের তহবিলের হিসাব
নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা প্রতিবেদনের একটি করিয়া অনুলিপি সরকার ও পরিষদের নিকট পেশ
করিবেন।
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে মহাহিসাব নিরীক্ষক কিংবা তাহার
নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি পরিষদের সকল রেকর্ড, দলিল ও কাগজপত্র, নগদ
বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভান্ডার এবং অন্যবিধ সম্পত্তি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং
পরিষদের যে কোন সদস্য, মহাপরিচালক এবং পরিষদের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ
করিতে পারিবেন।
১৭। বার্ষিক প্রতিবেদন।⎯পরিষদ প্রতি বৎসর ৩০ জুনের মধ্যে পূর্ববর্তী ৩১ ডিসেম্বরে সমাপ্ত
এক বৎসরের স্বীয় কার্যাবলীর বিবরণ সম্বলিত একটি বার্ষিক প্রতিবেদন সরকারের নিকট পেশ করিবে
এবং সরকার, যথাশীঘ্র সম্ভব, উহা জাতীয় সংসদে উত্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।

ৃতীয় অধ্যায়
অধিদপ্তর, মহাপরিচালক, ইত্যাদি
১৮। অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা, ইত্যাদি।⎯(১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে একটি অধিদপ্তর
থাকিবে, যাহা জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নামে অভিহিত হইবে।
২৭৬০ বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, এপ্রিল ৬, ২০০৯
(২) সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর
প্রতিষ্ঠা করিবে।
(৩) অধিদপ্তর পরিষদের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সহায়তা প্রদান করিবে এবং
পরিষদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য দায়ী থাকিবে।
১৯। অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়, ইত্যাদি।⎯(১) অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় অবস্থিত
হইবে।
(২) সরকার, প্রয়োজন মনে করিলে, ঢাকার বাহিরে যে কোন জেলায় অধিদপ্তরের জেলা
কার্যালয় স্থাপন করিতে পারিবে।
২০। মহাপরিচালক।⎯(১) অধিদপ্তরের একজন মহাপরিচালক থাকিবেন।
(২) মহাপরিচালক সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং তাহার চাকুরীর শর্তাদি সরকার কর্তৃক

অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯.pdf




Comments are closed.

     এই বিভাগের আরও খবর




অনলাইন জরিপ

জাতিসংঘের বিশেষ দূত এলিস ক্রুজ বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুফল সব মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে না। আপনিও কি তা-ই মনে করেন?

View Results

Loading ... Loading ...

পুরনো সংখ্যার নিউজ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০