ভালুকা প্রতিনিধি :
ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় প্রথম করোনা আক্রান্ত এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার রাত ৩টার দিকে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। তবে মরদেহ কোথায় দাফন হবে এখনো তার পরিবার ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিছুই জানা যায়নি। বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের ওপর নিভর করছে বলে জানা গেছে।
মৃত ওই বৃদ্ধের নাম আবু হানিফা (৬০)। তিনি পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের খারুয়ালী গজারিখাল এলাকার বাসিন্দা। তার গ্রামের বাড়ি উপজেলার মেদুয়ারী ইউনিয়নের বনকূয়া গ্রামে। তার বাবার নাম মোবারক হোসেনের ছেলে।
আবু হানিফের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভালুকা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন।
তিনি জানান, খবর পেয়েছি গত রাত ৩টায় ভালুকার প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী আবু হানিফ ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে মারা গেছেন।
সূত্রে জানা যায়, আবু হানিফা গত তিন মাস ধরে কিডনি রোগে ভুগছিলেন। তার একটি কিডনির ৭৫ ভাগ ও অপরটি ৮০ ভাগ ডেমেজ ধরা পড়ে। তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (মমেক) প্রতি সপ্তাহে দুবার ডায়লোসেস করতেন।
হাসপাতালে ডায়লোসেস বন্ধ থাকায় গত ১৮ এপ্রিল তিনি প্রাইভেট ক্লিনিকে ডায়লোসেস করতে যান। ক্লিনিক থেকে তাকে বলা হয় করোনার পরীক্ষা করে আসার জন্য। পর দিন ১৯ এপ্রিল দুপুরে ময়মনসিংহ এস কে হাসপাতালে (পিসিআর ল্যাব) গিয়ে নমুনা (ছোয়াব) দিয়ে আসেন।
রাতে পিসিআর ল্যাব থেকে মোবাইল ফোনে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে জানানো হয় আবু হানিফের কোভিড-১৯ পজেটিভ। ২০এপ্রিল বিকালে তাকে ঢাকা উত্তরার কুয়েত মৈত্রি সরকারি হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে তাকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
সেখানে দীর্ঘ ১৩ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জালড়ে শনিবার রাতে মারা যান আবু হানিফ।
আবু হানিফের ছেলে রকিবুল হাসান রনি জানান, রোববার সকাল সাড়ে ৭টায় আমার আব্বার মোবাইলে ফোন করলে অন্য একজন ফোন রিসিভ করেন।
তিনি জানান, ভোর রাতে আব্বা মারা গেছেন। আমি হাসপাতালে বসে আছি; আব্বার মরদেহ পরীক্ষা নিরীক্ষার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত দিলে বলতে পারবো মরদেহ কোথায় দাফন করা হবে।