দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে সিরিজ জেতা বিশ্বের যে কোনো দলের জন্যই বিরাট কঠিন। এশিয়ার দলগুলোর জন্য চ্যালেঞ্জটা বেড়ে হয় কয়েকগুণ। এই চ্যালেঞ্জ নিতে এসে গত জানুয়ারিতে ধবলধোলাই হয়ে গেছে ভারত। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে এশিয়ার দলটিকে ৩-০ ব্যবধানে হারান বাভুমা-রাবাদারা।
৫০ ওভারের ক্রিকেটে ভারত খাবি খেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে। তিন ম্যাচের একটিতে কেবল লড়াই করতে পেরেছেন কোহলি-রাহুলরা। বাকি দুটিতে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করেছেন তারা। প্রতিবেশী দলটি যেখানে মান বাঁচাতে পারেনি, সেখানেই ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকায় কোনো সংস্করণে সিরিজ জিতেছে টাইগাররা।
সেঞ্চুরিয়নে প্রথম ওয়ানডেতে সম্মিলিত পারফরম্যান্সের ওপর দাঁড়িয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩৮ রানে হারায় বাংলাদেশ। জোহানেসবার্গে পরের ম্যাচে অবশ্য সাত উইকেটের জয় দিয়ে ঘুরে দাঁড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকা। তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেটা রূপ নেয় অলিখিত ফাইনালে। সেখানেই বাজিমাত করে তামিম ইকবালের দল।
বাংলাদেশ উৎসব করেছে সেই সেঞ্চুরিয়নেই। দ্বিপাক্ষিক কোনো সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে জিততে না পারা টাইগাররা এবার তিন ম্যাচের দুটিতেই জিতল। দুটো জয়ই সেঞ্চুরিয়নে। বুধবার রাতে ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের নায়ক তাসকিন আহমেদ। দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৫৪ রানে গুঁড়িয়ে দেওয়ার পথে ডানহাতি এই পেসার নিয়েছেন পাঁচ উইকেট।
বাংলাদেশের বিপক্ষে এটাই সর্বনিম্ন সংগ্রহ প্রোটিয়াদের। আর সেঞ্চুরিয়নে নিজেদের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বনিম্ন। রান তাড়ায় ১০ উইকেটে জয়ের আভাস দিয়ে বাংলাদেশ হারায় কেবল ওপেনার লিটন দাসের উইকেট। পরে সাকিব আল হাসানকে নিয়ে ম্যাচটা অনায়েসেই শেষ করেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। সাকিব ১৮ এবং তামিম ৮৭ রানে অপরাজিত থাকেন।
২০২১ সালের এপ্রিলে ঠিক একই অভিজ্ঞতা হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। সেবার এশিয়ার দল হিসেবে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারে তারা। কাকতালীয় ব্যাপার হচ্ছে, সেই সিরিজেও বাংলাদেশের মতো সেঞ্চুরিয়নের দুই ম্যাচ জিতেছিল পাকিস্তান। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে স্বাগতিকরা জিতেছিল জোহানেসবার্গে। এবার যেন সেই সিরিজের ফলটার পুনরাবৃত্তি হলো।
তবে এশিয়ার আরেক দল হিসেবে গত বছরের সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে এসে ওয়ানডে সিরিজে শ্রীলঙ্কা হেরেছিল ২-১ ব্যবধানে।