আজ শনিবার ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

||
  • প্রকাশিত সময় : এপ্রিল, ২৬, ২০২০, ২:৫৯ পূর্বাহ্ণ




ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জানাযার পর এবার আলোচনায় গৌরীপুরে গণসমাবেশ!

নিজস্ব প্রতিবেদক :
ব্রা‏হ্মণবাড়িয়ার জানাযা কাণ্ড’র রেশ না কাটতে এবার আলোচনায় গৌরীপুর উপজেলার মাওহা ইউনিয়নের নহাটা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গণসমাবেশ হয়। এ সমাবেশকে কেন্দ্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় শুরু হয়েছে। তবে গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ বোরহান উদ্দিন জানান, স্কুলের মাঠে গণসমাবেশ বিষয়ে কোন অভিযোগ আসেনি।


এ সমাবেশকে কেন্দ্র করে সাংবাদিক সাজ্জাতুল ইসলাম সাজ্জাদ নিজস্ব ফেসবুকে ‘প্রসঙ্গ : মাওহা ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব’ শিরোনামে একটি ভিডিও এবং কিছু ছবি পোস্ট করেন। তারপরেও প্রতিবাদ ঝড় শুরু হয় ময়মনসিংহের গৌরীপুরে। মাওহা ইউনিয়নের বাসিন্দা মজিবুর রহমান লিখেছেন ‘এযেন আর এক সরাইল ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার’। এ ইউনিয়নের ছাত্রলীগ কর্মী মোঃ হুমায়ুন কবির রাকিব বলেন ‘যেখানে জনপ্রতিনিধি গণ জনসভা করতে পারে, কোন বাধা নেই, সেখানে গরীব মানুষগুলো কেন? দোকান চালু করতে পারবেনা! আমি মনে করি ৪নং মাওহা ইউনিয়নের সকল হাট ও মসজিদ গুলোকেও উম্মুক্ত করে দেয়া হোক।
সবার প্রশ্ন কেন এ গণসমাবেশ? উত্তর মিলেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে যাওয়া ২মিনিট ১৪ সেকেন্ডের ভিডিওতে। অতিথিরা মঞ্চ থেকে বারবার বলছেন, আপনারা কার্ড নিয়ে এসেছেন, আপনারাই চাল বিক্রি করেছেন, তদন্তে আসলে এই কথা বলবেন, ঠিক আছে, বলবেন তো, যা সত্য তাই বলবেন। বলবেন, নিজেদের প্রয়োজনে ১০/১৫ কেজি যার যতটুকু প্রয়োজন হয় না, তা বিক্রি করে দেন। এ সভা অনুষ্ঠিত হয় গত ২১ এপ্রিল, সেইদিন থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লেও এ নিয়ে প্রশাসনের কোন সাড়াশব্দ এখনও দেখা মিলেনি। নিশ্চুপ প্রশাসন!


জানা যায়, দুর্নীতি বিরোধী অভিযানের অংশ হিসাবে ত্রাণের চাল উদ্ধারে প্রশাসন অভিযান চালায়। এ অভিযানে মাওহা ইউনিয়নের দু’দোকান থেকে বিপুল পরিমাণ চাল উদ্ধার করেন ইউএনও সেঁজুতি ধর, অফিসার ইনচার্জ মোঃ বোরহান উদ্দিন ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা বিপ্লব সরকার। সেই অভিযানের প্রেক্ষিতে ১জন গ্রেফতার ও পৃথক ২টি মামলা হয়। এ মামলা ও গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি, চালচুরি সঙ্গে জড়িত মূলহোতাদের আড়াল করতেই ডাকা হয় ‘এই গণসমাবেশ।’
হুমায়ুন কবির রাকিব আরো মন্তব্য করেন ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া আমাদের ৪ নং মাওহা ইউনিয়ন, গৌরীপুর, ময়মনসিংহ। করোনার ভয়ে সারা বিশ্ব আতংকে কিন্তু আমাদের মাওহা ইউনিয়নে যাদের ১০ টাকা কেজি চালের কার্ড আছে, তাদেরকে মাওহা ইউনিয়নের নহাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে ডাকা হয়। কিন্তুু কেন ডাকা হয় ভিডিও টা শেষ পর্যন্ত দেখুন। সচেতন মানুষ হয়ে এমন অচেতন কাজ করবেন আপনারা ভাবতেই অবাক লাগে। এই ভিডিওটাতে দেখলাম গৌরীপরের কিছু মিডিয়াদের কাজ হলো জনসমাগম করে সত্য প্রকাশ করা।


তিনি আরো লিখেছেন করোনা বলে যে কিছু একটা আছে তারা জানেই না। চাল চোর মনে হয় আমাদের মাওহা ইউনিয়নে নাই। দয়াকরে যিনি গৌরীপুরের ইউএনও আছেন আমাদের ইউনিয়নে আসার প্রয়োজন নাই। আমরা আমাদের ফ্যামিলি কে করোনার হাত থেকে বাঁচাতে চাই। এমন জনসমাগম আমরা চাই না, জনগনকে বোকা বানানোর কোন প্রয়োজন নাই।
এদিকে এম এইচ আবু হানিফ মন্তব্য করেন যারা আজ আমাদের গ্রামে মানে নহাটায় এত লোক একসাথে করেছে অবশ্যই তারা তাদের স্বার্থের জন্য এই কাজটা করেছে। তাই আমাদের গ্রামবাসির উচিৎ হবে এই সমস্ত স্বার্থবাদী নেতাদের বয়কট করা। আরেকজন আনিছুর রহমান আপন মন্তব্য করেন এই সমাবেশে যারা উপস্থিত ছিলো সকলকে ১৪ দিনের হোম কোয়ারান্টাইন এ রাখার দরকার। মাহাদী হাসান বলেন, আমাদের ৪নং মাওহার ইউনিয়নের ছোট বড় নেতা কর্মীরা কই, কই আমাদের বড় ভাইয়েরা, সবাই বলে এলাকার লোকজনের জন্য এই করবে-সেই করবে। তাহলে আজ নহটা এই লোকের সমাগম কেন, এতে কি করোনার ভয় নাই?
সাংবাদিক সাজ্জাতুল ইসলাম সাজ্জাত লিখেছিলেন- ‘প্রসঙ্গ : মাওহা ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব চাল নিয়ে চালবাজি!! ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার মাওহা ইউনিয়নের নহাটা স্কুল মাঠে আজ মঙ্গলবার দুপুরে কেন এতো নারী পুরুষের সমাগম ঘটলো? এলাকার সচেতন লোকজন কি এখানে কেউ ছিলেন না? দেশের আজ যে অবস্থা। সরকার সারাদেশ লকডাউন করে জনসমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে। আর আপনারা লোকজনকে ডেকে এনে একি করলেন? শুনলাম অনেক জনপ্রতিতনিধিরা নাকি এর সাথে জড়িত? তারা উপস্থিত ছিলেন। আপনারাতো সরকারের অংশ। কোথায় জনগণকে সর্তক করার বদলে তাদের আজ মৃত্যুর মিছিলে ঠেলে দিলেন? সত্যি এলাকার খুব তি করে ফেললেন।
নিজেদের স্বার্থের জন্যে আজ সরকারের লকডাউন আইনকে বৃদ্ধাঙ্গী দেখালেন? সাবাশ আপনাদের। যদি কোনভাবে করোনার হাত থেকে ওরা বেঁচে যায় তাহলে পুনরায় ভোট পাবেন সেই আশায়? সত্যি আপনারা উদ্ভুদ প্রাণী!! তবে দু:খ করার কিছু নেই। এর খেসারত আপনাদেরই গুণতে হবে। আজ যারা লকডাউন অমান্য করে এই সমাবেশে উপস্থিত হয়েছিলেন ছবি ও ফুটেজ দেখে তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো উচিত। না হয় এলাকার অনেক বড় তি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। আর যারা এই সমাবেশের আয়োজন করেছেন তারা কি জবাব দিবেন সেটা প্রশাসনের উপর রইল। যদি কথাগুলো কারো বিপে গিয়ে থাকে মা করবেন। যেহেতু বেঁচে থাকার সম্ভবনা খুবই ণি।
হ্যাঁ আরেকটি কথা মিথ্যা প্রলোভনে নিজেদের স্বার্থের জন্যে এখানে যাদের জমায়েত করেছেন তাদের করোনা সুরা কতটুকু দিয়েছেন আপনারা? আজকের একটি ভিডিওতে দেখলাম সুবিধাভোগীরা একবাক্যে বলেছেন তাদের ১০টাকা কেজির চাল মহাজনের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। বেশ ভাল কথা, তাহলে সরকার আপনাদের চাল দিয়েছেন কি বিক্রি করার জন্যে না পেট চালানোর জন্যে? যদি ১০টাকা কেজির চাল আপনাদের দরকার নাই হয় তবে অনেক গরীর অসহায়দের রেখে আপনাদের কেন এই কার্ড দেয়া হলো? এখন প্রশ্ন হলো আপনারা কাকে বাচাঁনোর জন্যে এই নাটকে অভিনয় করলেন? এতে কি আপনাদের সুফল আসবে? ততদিন অপোর পালা। নাটকের পরিচালককেও ধন্যবাদ। যিনি শাক দিয়ে মাছ ডাকার চেষ্ঠা করেছেন। আল্লাহ্ আমাদের সকলকে বুঝার তৌফিক দান করুন। আমাদের সহায় হোন। সকলকে মাপ করুন। আমিন। (করোনা সংক্রমণের হারে ময়মনসিংহ বিভাগ ঝুকিপুর্ণ অবস্থান )
এদিকে আরেক গণমাধ্যম কর্মী আবু সাঈদ লিখেছেন কিসের জন্য সরকারের লকডাউন অমান্য করে আজ এই এলাকাকে ঝুকিতে পেলেদিল। আর বর্তমানে কোন জনসমাগম করলে তো প্রশাসনের অনুমতি লাগে। মাওহা ইউনিয়নের বাসিন্দা মোঃ সাইফুল্লাহ সুমন লিখেছেন প্রতিবাদের ভাষা এমন হলে কোথায় যাবে আম জনতা, বাংলার মানুষকে ভয় আর লোভ সব কিছু করল চুপ, যারা প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে তাদের মতার দৌড় সরকার প্রশাসনের চাইতে বেশী। সৌদি প্রবাসী আবুল খায়ের লিখেছেন আগামী ১৪ দিনের ভিতর যদি মাওহা ইউনিয়নের কেউ করোনা আক্রান্ত হয়, তবে বুঝতে হবে আজকের এই সমাবেশ তার কারন বাকীটা, আল্লাহ জানেন?

(বিস্তারিত আসছে- গৌরীপুরে হয়ে গেলো আরেক গণসমাবেশ)




Comments are closed.

     এই বিভাগের আরও খবর




অনলাইন জরিপ

জাতিসংঘের বিশেষ দূত এলিস ক্রুজ বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুফল সব মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে না। আপনিও কি তা-ই মনে করেন?

View Results

Loading ... Loading ...

পুরনো সংখ্যার নিউজ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০