শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪ -|- ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০-বসন্তকাল -|- ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

যে কারণে বৈধ কাজ করেও উপার্জন হারাম হয়

প্রকাশিত হয়েছে- শুক্রবার, ২৭ আগস্ট, ২০২১
মুফতি তাকি উসমানি || অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময় : আগস্ট, ২৭, ২০২১, ৯:২৩ পূর্বাহ্ণ

এক ব্যক্তি কোনো প্রতিষ্ঠানে কিংবা কোনো দপ্তরে আট ঘন্টা চাকরি করে। এর অর্থ হলো, সে আট ঘন্টা সময় ওই প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে এবং চুক্তিবদ্ধ হয়েছে যে, আমি এত টাকা বেতনের বিনিময়ে আট ঘন্টা সময় আপনার কাজ করব।

এখন সেই ব্যক্তি যদি বেতন তো পুরোপুরি নেয় কিন্তু আট ঘণ্টার কিছু কম ডিউটি করে কিংবা কিছু সময় ব্যক্তিগত কাজে ব্যয় করে। তা হলে তার এই আমলও ‘তাত্বফিফ’-এর অন্তর্ভুক্ত হবে। যেটি নাজায়েজ ও কবিরা গুনাহ।
.
এই ব্যক্তিও ওজন ও পরিমাপে কমদাতার ন্যায় গুনাহগার হবে। কারণ যদি সে আট ঘণ্টার পরিবর্তে সাত ঘণ্টা ডিউটি করে তা হলে সে এক ঘণ্টা ফাঁকি দিল। অর্থাৎ সে নিজের হক তথা বেতন পুরোপুরি নিচ্ছে কিন্তু অন্যের হক তথা সময় কম দিচ্ছে। অতএব বেতনের ওই অংশ তার জন্য হারাম হবে যা সে ব্যক্তিগত কাজে ব্যয়কৃত সময়ের বদলে গ্রহণ করছে।

আগের দিনে দপ্তরে বসে ব্যক্তিগত কাজ গোপনে করা হতো। কিন্তু আজকাল উন্মুক্তভাবে করা হয়। বেতন বাড়াও, ভাতা বাড়াও, অমুক-তমুক সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হোক ইত্যাদি ধরনের দাবি-দাওয়া পেশ করার জন্য বিক্ষোভ, মিছিল-মিটিং ও হরতালের জন্য সর্বদা প্রস্তুত।

কিন্তু নিজের দায়িত্ব কতটুকু আদায় হলো এর কোনো পরোয়া নেই। আট ঘণ্টার চাকরি নেওয়া হলো। এই আট ঘণ্টাকে কতটুকু নিষ্ঠার সঙ্গে ব্যয় করা হলো তা কেউ ভাবে না।
.
কুরআনে কারিম এমন লোকদের জন্য কষ্টদায়ক শাস্তি ঘোষণা করেছে, যারা অন্যের বেলায় তাদের হক কম দেয় এবং নিজের হক গ্রহণ করার সময় পুরোপুরি গ্রহণ করে।

মনে রাখবেন, আল্লাহতায়ালা এক মিনিটের হিসাব নিবেন। এ বিষয়ে কোনো প্রকারের ছাড় দেবেন না। <<যুগান্তর>>