শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪ -|- ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০-বসন্তকাল -|- ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে আট প্রজাতির করোনা ভাইরাস

প্রকাশিত হয়েছে- শনিবার, ৪ এপ্রিল, ২০২০
||
  • প্রকাশিত সময় : এপ্রিল, ৪, ২০২০, ১:৫৪ অপরাহ্ণ

অনলাইন ডেস্ক

গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে উৎপত্তি হয় করোনা ভাইরাসের। যা এখন বিশ্বব্যাপী মহামারি আকার ধারণ করেছে। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, উহান থেকে ছড়ানো করোনা ভাইরাসের সঙ্গে বিশ্বের অন্যান্য স্থানের করোনা ভাইরাসের মিল নেই।

বিজ্ঞানীদের দাবি করোনা ভাইরাসের আটটি প্রজাতি পুরো বিশ্বজুড়ে ছড়িয়েছে। এসব ভাইরাস দ্রুত তাদের জিনগত বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করছে। আর এজন্যই ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে করোনা ভাইরাসে ব্যাপক প্রাণহানি হলেও ভারতীয় উপমহাদেশে এ তেমন প্রভাব পড়েনি।

এ বিষয়ে ভারতের পদ্মভূষণ পুরস্কার জয়ী চিকিৎসক জি পি নাগেশ্বর রেড্ডি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, চীন ও ভারতে ভাইরাসটির জিনগত বৈশিষ্ট্য উন্মোচন করা হয়েছে। তবে ভারতে হামলা চালানো ভাইরাসটির জিনগত বৈশিষ্ট্যে তারতম্য রয়েছে। ভারতে যে করোনাভাইরাসে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন সেটির স্পাইক প্রোটিনে কিছু জিনগত পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে।

গবেষকরা বলেছেন, যে সব জায়গায় করোনা হামলা চালিয়েছে সব থেকে বেশি সেখানকার গড় তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ৪ থেকে ৯ গ্রাম। তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা বাড়লে করোনা জিনগত পরিবর্তন ঘটিয়ে দুর্বল হয়ে পড়ে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, যে কোন ভাইরাসের ভিতরে ডিএনএ ও আরএনএর মতো বংশীয় নিউক্লিওটাইড থাকে। এটি প্রোটিনের আবরণে মোড়া অবস্থায় থাকে। কিছু প্রোটিন স্পাইক ভাইরাসের দেহ থেকে বেরিয়ে থাকে। করোনাভাইরাসের ভিতরে একটি ফিতার আকৃতির আরএনএ রয়েছে। ভাইরাসের গা থেকে বেরিয়ে রয়েছে এস-প্রোটিন নামে স্পাইক। এই আরএনএ ভাইরাস সব সময়ই সব সময় জিনগত পরিবর্তন ঘটাতে থাকে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

সার্স, মার্স, সোয়াইন ফ্লু যে কোনও ভাইরাসের বিস্তারেই আবহাওয়ার প্রভাব ছিল। করোনার ক্ষেত্রেও তাই। আবহাওয়ার তারতম্যে এই ভাইরাসের গতিবিধি ভিন্ন হয়। ভাইরাসের প্রাণঘাতী ক্ষমতাও নির্ভর করে আবহাওয়ার তারতম্যে। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, শ্বাসনালীতে প্রবেশের পরই করোনা কোষ দখল করে লাখ লাখ সংস্করণ তৈরি করছে। তাই উপসর্গ প্রকাশ পাওয়ার আগেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। ইতালিতে যে প্রজাতির করোনা আক্রমণ চালিয়েছে সেটির ইআরএনএতে তিনটি নিউক্লিওটাইড পরিবর্তন লক্ষ্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা। ফলে সেটি প্রাণঘাতী হয়ে উঠেছে।

জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির তথ্য বলছে, এখনও পর্যন্ত সারা বিশ্বে ১০ লাখ ৯৯ হাজার ৩৮৯ জনের বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৫৯ হাজার ১৯৩ জন। জি নিউজ, নিউ ইয়র্ক পোস্ট।