বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-গ্রীষ্মকাল -|- ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

বিক্ষোভের ভয়ে আবারও আসাম সফর বাতিল মোদির

প্রকাশিত হয়েছে- বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২০
||
  • প্রকাশিত সময় : জানুয়ারি, ৯, ২০২০, ৯:৩৪ অপরাহ্ণ

অনলাইন ডেস্ক :

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামে ১০ জানুয়ারির সফর বাতিল করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সফর বাতিলের এ ঘটনা গত এক মাসে দ্বিতীয়বারের মতো ঘটলো। বিশ্লেষকরা বলছেন, নাগরিকত্ব আইন বিরোধী আন্দোলনকারীরা ব্যাপক বিক্ষোভের হুঁশিয়ারির পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী সফর বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামে ১০ জানুয়ারি একটি জাতীয় স্তরের ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির থাকার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের একটি সূত্র বিবিসিকে নিশ্চিত করেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আসাম সফরে যাচ্ছেন না। তাছাড়া কেন্দ্রীয় প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো বা পিআইবির জারিকৃত সংবাদ বিবৃতিতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন এমন ব্যক্তিদের তালিকায় মোদির নাম নেই।

এরপর থেকেই বিশ্লেষকরা বলছেন সম্ভাব্য বিক্ষোভ ঠেকাতে মোদি এই সফর বাতিল করছেন। কেননা, মোদি আসাম যাবেন এমন খবর প্রকাশিত হওয়ার পর নাগরিকত্ব আইন বিরোধী আন্দোলনকারী সংগঠনগুলো ঘোষণা দেয়, প্রধানমন্ত্রী আসামের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গেলে কালো পতাকা নিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখানো হবে।

তাছাড়া, গতমাসে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবের সঙ্গে গুয়াহাটিতে এক শীর্ষ বৈঠক হওয়ার কথা ছিল মোদীর। নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ব্যাপক আন্দোলনে আসাম উত্তপ্ত হলে সেখানকার বৈঠক বাতিল করা হয়। তাই বিশ্লেষকরা দুই দুই চার মিলিয়ে বলছেন এবারও বিক্ষোভের ভয়ে আসাম যাচ্ছেন না মোদি।

তবে, বিজেপি নেতা রঞ্জিত দাশ এসব যুক্তিকে অমূলক উল্লেখ করে বলেন, ‘বিক্ষোভ হবে বলে দেশের প্রধানমন্ত্রী কোনো অনুষ্ঠানে আসবেন না, এসব বলার কোনও অর্থ হয় না। আর যে আন্দোলনের কথা বলা হচ্ছে, তাতে কত মানুষের সমর্থন আছে?’ ‘আমরা প্রতিদিন নানা জেলায় যেসব সভা সমাবেশ করছি, বিশেষ করে অসমীয়া এলাকায়, তাতে হাজার হাজার মানুষ আসছেন। এতেই বোঝা যায় যে আন্দোলনের পেছনে খুব বেশি সমর্থন নেই। তারা আবার প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কী বিক্ষোভ করবে? প্রশ্ন তোলেন বিজেপি নেতা।

উল্লেখ্য, গত ১১ ডিসেম্বর নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাশের পরই এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে সরব হয় গোটা ভারতের অধিকাংশ রাজ্য। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভারতের আসাম।