গৌরীপুর প্রতিনিধি ঃ
মেয়ে আর নাতীদের নিরাপদে পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন আব্দুল রাশিদ (৬০)। ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের গৌরীপুর উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নের বড়ইতলা বাজারে সোমবার (১৪ জুন/২০২১) বিকালে বাস ও মাহেন্দ্র সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই তিনি প্রাণ হারান। হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যান তার মেয়ে কামরুন্নাহার (৩৫)। গুরুত্বর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন তার অপর মেয়ে রুবি আক্তার (১২), নিহত কামরুন্নাহারের মেয়ে পারুল আক্তার (৭)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ খান আব্দুল হালিম সিদ্দিকী। তিনি জানান, এ পর্যন্ত এই দুর্ঘটনায় ৩জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত আরেকজন হলেন অটোরিকশা চালক সুরুজ আলী (৫৫)। তিনি গৌরীপুর উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নের রুকনাকান্দা গ্রামের মৃত ফয়লুর রহমানের পুত্র। সুরুজ আলীর মেয়ের জামাতা মো. রুহুল আমিন (৩০) বাদী হয়ে মঙ্গলবার (১৫জুন/২০২১) বেপরোয়া দ্রুত গাড়ি চালাইয়া হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে মামলা দায়ের করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, বড়ইতলা বাজারে দাঁড়িয়ে ছিলো ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জগামী যাত্রীবাহি বাস বিপরিত দিক থেকে আসা ময়মনসিংহগামী মাহেন্দ্র গাড়িকে সাইট দিকে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা অটোরিকশাকে গাছের সঙ্গে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলে অটোরিকশা চালক সুরুজ আলী (৫৫), মাহেন্দ্র গাড়ির যাত্রী আব্দুর রাশিদ (৬৫) ও হাসপাতালে নেয়ার পর তার মেয়ে কামরুন্নাহার (৩৫) মারা যান। নিহতের পরিবার সূত্র জানায়, সুরুজ আলীর কোন পুত্র সন্তান নেই। কামরুন্নাহার ও তার বোন রুবি আক্তার গার্মেন্টে কাজ করতো। তাদেরকে নিরাপদে কর্মস্থলে পৌঁছে দিতেই যাচ্ছিলো সুরুজ আলী। নিরাপদে মেয়ের পৌছে দিতে গিয়ে বাবা-মেয়ে দু’জনই প্রাণ হারান। সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা রুবি আক্তার ও পারুল আক্তারের অর্থাভাবে সুচিকিৎসা পাচ্ছে না। রুবি আক্তারের চাচা মোখলেছুর রহমান জানান, ওদের সহায় সম্বলহীন, গার্মেন্ট করেই জীবিকা নির্বাহ করতো।