বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ ২০২৪ -|- ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০-বসন্তকাল -|- ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

বসুন্ধরা গ্রুপের এমডিসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা

প্রকাশিত হয়েছে- সোমবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১
বাহাদুর ডেস্ক || ওয়েব-ইনচার্জ
  • প্রকাশিত সময় : সেপ্টেম্বর, ৬, ২০২১, ৯:২৬ অপরাহ্ণ

কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন মুনিয়ার বোন নুসরাত জাহান তানিয়া। ঢাকার ৮ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম মাফরুজা পারভীন সোমবার বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অভিযোগ তদন্ত করে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি আগামী ৬ অক্টোবর মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেন।

বিষয়টি সমকালকে নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদীর আইনজীবী শাহ মো. আব্দুল কাইয়ুম। তিনি বলেন, ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ আমলে নিয়ে পিবিআইকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। মামলার অপর আসামিরা হলেন-আনভীরের বাবা বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, মা আফরোজা সোবহান, আনভীরের স্ত্রী সাবরিনা এবং শারমিন, সাইফা রহমান মিম, মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও ইব্রাহিম আহমেদ রিপন।

বাদীর আইনজীবী মাসুদ সালাউদ্দিন বলেন, সায়েম সোবহান আনভীর ফুসলিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মুনিয়ার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে তাকে বিয়ে না করে নৃশংসভাবে হত্যা করে। আর এতে তার পরিবারের সদস্যসহ অন্য আসামিরা সাহায্য করে। তিনি বলেন, মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

গত ১৯ এপ্রিল রাতে ঢাকার গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় ২১ বছর বয়সী মুনিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই রাতেই আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে আনভীরের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা করেন মুনীয়ার বড় বোন তানিয়া। আদালত তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপর মৃত্যুর সঙ্গে বিবাদীর কোনো ‘সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি’ জানিয়ে গত ১৯ জুলাই আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। পুলিশের ওই প্রতিবেদনে অনাস্থা জানিয়ে মামলার বাদী তদন্তের আবেদন করেছিলেন। গত ১৮ আগস্ট ঢাকার মহানগর হাকিম ওই আবেদন খারিজ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে সায়েম সোবহান আনভীরকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন।