আজ বৃহস্পতিবার ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

||
  • প্রকাশিত সময় : অক্টোবর, ৩০, ২০২০, ৮:০৬ অপরাহ্ণ




ফার্মেসীতে ভুল ওষুধ বিক্রির দায় থেকে বাঁচতে ওসির বিরুদ্ধে অভিযোগ ব্যবসায়ীর

ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি

ত্রিশালের ফরহাদ মেডিসিন কর্ণার নামে একটি ফার্মেসী থেকে দেয়া ভুল ওষুধ খেয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন ত্রিশাল থানার ওসি মাহমুদুল ইসলাম। ব্লাড সুগার নেমে যায় তিন এর নীচে। প্রেসার কমে যায়। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচেন তিনি। গত ২১ অক্টোবর এই ঘটনা ঘটে। এবিষয়ে থানায় ডেকে ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদ করায় ওসির উপর ক্ষিপ্ত হন ওই ফার্মেসীর মালিক আব্দুল কাদির মীর। তার এক ছেলে পুলিশের এসআই ও মেয়ের জামাইয়ের আত্মীয় বড় পুলিশ কর্মকর্তা। ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতেই ওই ব্যবসায়ী উল্টো ওসির বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ করেন পুৃলিশ সদর দপ্তরে।

জানা যায়, গত ২১অক্টোবর ফরহাদ মেডিসিন কর্ণার থেকে ত্রিশাল থানার ওসি তার লোক দিয়ে জারডিমেট ৫/৫০০ পাওয়ারের ২৫টি ট্যাবলেট কিনে আনেন। এর মধ্যে ৫টি ট্যাবলেট কাটা ছিলো। ২৫টির মধ্যে দুই পাতার ২০টি ট্যাবলেটের পাওয়ার সঠিক থাকলেও কাটা পাতার ৫টি ট্যাবলেট অন্য গ্রুপের গ্লিপিটা এম ৫০/৫০০। ওষুধ কিনে এনে না দেখে কাটা পাতার একটি ট্যাবলেট খেয়ে তার ব্লাড সুগার তিনের নীচে নেমে যায়। প্রেসার কমে যায়। গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তার স্ত্রীর কাছে ধরা পড়ে ভুল ওষুধ খাওয়ার বিষয়টি। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচেন তিনি।

ত্রিশাল থানার ওসি মাহমুদুল ইসলাম জানান, বিষয়টি সম্পর্কে জানার জন্য ওই ব্যবসায়ীকে ডেকে এনে চাহিদার ওষুধের প্যাকেটে ভুল ওষুধ দেয়ার কারন জানতে চাইলে তারা বিষয়টি স্বীকার করে ক্ষমা চান। এর জন্য কোনো সমস্যা হলে আইনগত ব্যবস্খা নেয়া হবে বলে তাদের চলে যেতে বলা হয়। তাদের নির্যাতনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তাদের ভুলটা ঢাকতে এবং ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতেই আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হচ্ছে। আমি তো মারাও যেতে পারতাম ভুল ওষুধ খেয়ে।

এদিকে বিষয়টি নিয়ে ওসির স্থানীয় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার বা রেঞ্জ ডিআইজির কাছে অভিযোগ না করে ওষুধ ব্যবসায়ী পুলিশ মহাপরিদর্শকের কাছে পুলিশ সদর দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন গত ২৭ অক্টোবর।

অভিযোগকারী আব্দুল কাদির মীর সাংবাদিকদের জানান, স্থানীয় কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ দিলে বিচার পাওয়া যাবে না এবং পুলিশ সদর দপ্তরে তার মেয়ের জামাইয়ে আত্মীয় বড় কর্মকর্তা আছেন সে জন্য আইজির কাছে অভিযোগ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ওসির সাথে আমাদের শত্রুতা নেই। ইচ্ছা করে ভুল ওষুধ দেয়া হয়নি। থানায় নিয়ে গালিগালাজ করা হয়েছে। কোনো শারীরিক নির্যাতন করা হয়নি । আমার ছেলের কাছে এস আই রফিক টাকা দাবী করলেও আমরা টাকা দেইনি।




Comments are closed.

     এই বিভাগের আরও খবর




অনলাইন জরিপ

জাতিসংঘের বিশেষ দূত এলিস ক্রুজ বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুফল সব মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে না। আপনিও কি তা-ই মনে করেন?

View Results

Loading ... Loading ...

পুরনো সংখ্যার নিউজ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০