বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-গ্রীষ্মকাল -|- ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

প্রশাসনের ব্যর্থতা ঢাকতেই সাবেক ভিপি শাহীন গ্রেফতার নাটক- ডক্টর সামীউল আলম লিটন

প্রকাশিত হয়েছে- রবিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২০
||
  • প্রকাশিত সময় : এপ্রিল, ১৯, ২০২০, ১১:৫৫ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক :
‘তল্লিবাহক অপরিপক্ক গৌরীপুর উপজেলা প্রশাসনের ব্যর্থতা ঢাকতেই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ভিপি শাহীন গ্রেফতার নাটক- ফেসবুকে এ মন্তব্য করেন ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডক্টর সামীউল আলম লিটন। তিনি তার নিজস্ব ফেসবুকে ১৭ এপ্রিল ১টা ৪৭মিনিটে এ মন্তব্য করেন।
উল্লেখ্য যে, গৌরীপুরে কালোবাজারে চাল বিক্রির অভিযোগে মোঃ মাহবুবুর রহমান শাহিন ওরফে ভিপি শাহীন, ও বোকাইনগর ইউনিয়নের মেম্বার বালুচড়া গ্রামের আবু সাঈদ সাহেদের পুত্র মোঃ স্বপন মিয়া, কালিবাড়ীর লুটন রাজবরের পুত্র মহেষ রাজবর, একই গ্রামের রিয়াজ উদ্দিনের পুত্র রফিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বিপ্লব সরকার। গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ বোরহান উদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশ ডিলার শাহীন, রফিক ও মহেষকে গ্রেফতার করে। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জানান, অনুসন্ধান ও জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ইউপি সদস্য স্বপন মিয়ার ও ডিলার মাহবুবুর রহমান শাহিনের পরস্পর যোগসাজসে সরকার কর্তৃক দরিদ্র ও অসহায় ব্যক্তিদের বিপর্যয়কালীন সময়ে জীবন রক্ষার্থে সরকারি কোষাগার হইতে ভর্তুকি দিয়া ১০টাকা কেজি মূল্যের বিতরণের জন্য প্রদত্ত চাল কালোবাজরে পাচার করে বেশি দামে বিক্রি করছিলো।
এছাড়াও গৌরীপুর সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি শাহীনের মুক্তির দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চলছে প্রতিবাদের ঝড়।

ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডক্টর সামীউল আলম লিটন তার ফেসবুকে আরো একটি মন্তব্যে লিখেছেন :

সময় এসেছে আওয়াজ তুলার, সময় এসেছে ত্যাগী ও সৎ নেতাকর্মীদের চরিত্র হননকারীদের মুখোশ উন্মোচন করার। সময় এসেছে এই দুর্যোগময় মুর্হূতে মানবতার নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পাশে দাঁড়ানোর।

শাহীনকে বলির পাঠা বানানো হয়েছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ গৌরীপুর উপজেলা শাখার সাবেক সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান লিখেছেন :

“আমার জানামতে গৌরীপুর সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি মাহবুবুর রহমান শাহীন ভাই এমন কাজ করতে পারে না। হয়তো ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে। বলির পাঠা বানানো হয়েছে শাহীন ভাইকে এটা আমার বিশ্বাস।”

এতোটুকুই কি আপনাদের কর্তব্য? এমন প্রশ্ন রেখে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ গৌরীপুর পৌর শাখার সাবেক সভাপতি উত্তম সরকার লিখেছেন ফেসবুক টাইমলাইনে :

কাল রাত্রে থেকে আজ পর্যন্ত অনেকেই শাহীন ভাইকে নিয়ে দেখছি অনলাইনে শুধু লেখালেখি করছেন এতোটুকুই কি আপনাদের কর্তব্য?
শুধু গণমাধ্যমে না লিখে চলেন কি করনীয় যায় এবং আইনগত পথে আমরা হাঁটি
আর শহীন ভাইকে যারা এই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত করেছে তাদেরকে খুঁজে বের করি।
সাবেক ছাত্রলীগের নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
নোংরা পলিটিক্সের শিকার উল্লেখ করে কালিপুর মধ্যম তরফের শহীদুল ইসলাম মিল্টন লিখেছেন :
মাহবুবুর রহমান শাহীন (ভিপি শাহিন) স্বচ্ছ রাজনীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত । ঐতিহ্যবাহী গৌরীপুর সরকারি কলেজের ১৯৯৭-৯৮ শিক্ষাবর্ষে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে ভিপি নির্বাচিত হয়েছিল এই ভিপি শাহিন। ছাত্র রাজনীতির তখন রমরমা অবস্থা । ভিপি জিএস দের তখন বিপুল পাওয়ার । তার পরেও শাহীন কখনো দুর্নীতি করে পয়সা কামাই করে নি । শাহিনের শ্লোগান ছাড়া ছাত্রলীগের মিছিল কল্পনা করা যেত না । তার পিছনে যারা রাজনীতি করতো তারাও আজ যথেষ্ট টাকার মালিক । কিন্তু শাহিনের সংসারে দেখেছি শুধু অভাব আর অভাব । আমরা তাকে কত গালমন্দ করেছি, জীবনে কি করলা ? সে মিষ্টি হেসে উত্তর দিত, একদিন মরতে তো হবে, ওপারে জবাব তো দিতে হবে ।
সেই শাহীন নাকি আজকে ১৭০ কেজি চাল যার মূল্য ১৫০০ টাকা চুরির দায়ে জেল খাটছে । এটাও কি সম্ভব? রসিকতার একটা সীমা থাকা উচিত ।
নোংরা পলিটিক্স এর শিকার হয় শুধু স্বচ্ছ ও উদারপন্থী রাজনীতিবিদরাই । শাহিন জেলে যাওয়ায় তা আবার প্রমাণিত হলো ।

ডিলারশীপ ফিরিয়ে দেয়ার দাবী জানিয়ে সাবেক ভিপি শাহীনের বন্ধু মিজানুর রহমান সেলিম তার ফেসবুকে লিখেছেন :

ন্যায় বিচারের স্বার্থে, ভিপি শাহীন গ্রেফতার মামলাটি পূনঃতদন্ত করা হোক। একজন সাবেক নন্দিত ছাত্রনেতা , মার্জিত রাজনীতিক ভিপি শাহীনকে গ্রেফতারে তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
১৭০ কেজি চাল কালোবাজারে বিক্রির মিথ্যা অভিযোগে, একজন সহজ সরল, বিনয়ী, পরিচ্ছন্ন , বিচক্ষন রাজনীতিক সাবেক নন্দিত ছাত্রনেতা মাহবুবুর রহমান শাহীনকে গ্রেফতার যে একটি যড়যন্ত্রের অংশ, এবং স্থানীয় প্রশাসনের অদূরদর্শী, হঠকারী সিদ্ধান্ত, তা ইতোমধ্যে গৌরীপুর উপজেলাসহ সর্বত্র সচেতন মহলে বিষয়টি প্রতিয়মান হয়েছে। কেননা, যেখানে প্রশাসনের ছত্রছায়ায় শত শত ত্রাণের বস্তা লুটেরার দলে নিয়ে যাচ্ছে, অসংখ্য কার্ডের চাল আত্বসাতের অভিযোগে, শুধুমাত্র ডিলারশিপ লাইসেন্স বাতিল, জামানত বাজেয়াপ্ত এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। অথচ ভিপি শাহীনের ক্ষেত্রে ভিন্নচিত্র। বিষয়টি সহজেই অনুমেয়। এটিতে যে ষড়যন্ত্র, প্রতিহিংসা, রাজনৈতিক ইন্ধন জড়িত। তাইতো স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকাও যে প্রশ্নবিদ্ধ ? শুধুমাত্র দু ‘ একজনের পরিকল্পিত তথ্যের ভিত্তিতে, ১৭০ কেজি চাল কালোবাজারীর দায় চাপিয়ে , তাকে গ্রেফতার, ডিলারশীপ বাতিল, জামানত বাজেয়াপ্ত করা, ন্যায় বিচারের পরিপন্থী নয়কি ? আর তাই, আমরা গৌরীপুরবাসীসহ দেশের সচেতন মহল ন্যায় বিচারের স্বার্থে, ভিপি শাহীনের মামলাটি পুনঃতদন্তের মাধ্যমে, ঘটনার সত্যতা যাচাইপূর্বক, প্রকৃত ঘটনা জনসম্মুখে তুলে ধরে, প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে , পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহনে এবং এই সময়ে তার ডিলারশীপ ফিরিয়ে দিতে, সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করি ।

 

ফাইসা গেছে মুছওয়ালা উল্লেখ করে রাজগৌরীপুরের লিটন ভাই ফেসবুক আইডিতে লিখা হয়েছে :

কথায় আছেনা,,খাইছে দাড়িওয়ালা,,ফাইসা গেছে মুছওয়ালা,,ভিপি শাহিন ভাইয়ের বেলায়ও ঠিক এমনটা হয়েছে, ভাই যদি সত্যিকারের অপরাধি হত,তাহলে ওসির ফোন পেয়ে ওনি সৎ এবং সাহসী ব্যাক্তির পরিচয় দিতনা, বরং লেজ গুটিয়ে পালিয়ে থাকত,,কিন্তু শাহিন ভাই সেটা করে নাই,,তার বিশ্বাস ছিল তিনি নির্দোষ প্রশাসন তার সাথে আপোষহীন আচরন করবে,,কিন্তু কিছু অসৎ লোকের প্ররোচনায় স্বিকার তিনি,তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়,সময় সবকিছু বলে দিবে,,কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা,, কঠিন জবাব দিহি করতে হবে যারা এই ষড়যন্ত নামক সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত,,ভাইয়ের নিঃস্বর্ত মুক্তি চাই।

গৌরীপুর হলুদ সাংঘাতিকে ভরপুর-সাংবাদিক এখন সাংঘাতিক উল্লেখ করে চিন্ময় কুমার ঘোষ রনি লিখেছেন :

গৌরিপুরে হলুদ সাংঘাতিকে ভরপুর, সাংবাদিক এখন সাংঘাতিক
ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে সাবেক ছাত্রনেতা ভিপি শাহিন ভাইয়ের উপর আনীত অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের দাবী করছি…
সুষ্টু তদন্ত হলে প্রকৃত অপরাধী বের হবে”

 

সৎ লোক কোন সময় পরাজিত হয় না উল্লেখ করে মোঃ মামুন করিম তার ফেসবুকে লিখেছেন :

সৎ লোক কোন সময় পরাজিত হয় না,সাময়িক অসুবিধায় পরে।
দল ক্ষমতায়, দলীয় প্রভাব থাকা অবস্তায় যে লোকটি বিভিন্ন ফার্মে,বিভিন্ন ফ্যাক্টরীতে, ঔষধ কোম্পানীতে চাকরী করে আসছে সততার সাথে।
ঔষধ কোম্পানীতে চাকরী অবস্তায় অনেকে প্রশ্ন করতো আপনি ক্ষমতাশীল দলের প্রভাবশালী নেতা। আপনার এই চাকরী বেমানান।
তহন শাহীন ভাই উওর দিতো দলীয় ক্ষমতার জোড়ে যদি পরকালে মাফ পাওয়া যেত। তবে এই চাকরী করতে আসতাম না।
তার কথা একটাই ছিলো হালাল রিযিক নিজে খাবো, পরিবারকে খাওয়াবো।
হালাল রিযিকের জন্য যদি অামার অন্যের বাড়িতে কাজও করতে হয় তবু আল্লাহ যেন আমাকে অসৎ পথে না নেয়।
আর আজ সেই শাহিন ভাইকে এমন পরিস্তির স্বীকার
হতে হয়েছে।
এটা শুধু শাহিন ভাইয়ের লজ্জা নয়।
ছাএনেতাদের লজ্জা।
গৌরীপুরবাসীর লজ্জা।
এর সঠিক তদন্ত হলে শাহিন ভাইয়ের বিজয় সুনিশ্চিত।
আল্লাহ সবাইকে হেফাযত করুক।(আমীন)