শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪ -|- ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০-বসন্তকাল -|- ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

প্যানেল ভিত্তিক নিয়োগ দাবিতে শিক্ষকদের গণঅনশন

প্রকাশিত হয়েছে- রবিবার, ১৯ জুন, ২০২২
পাপ‌িয়া ব‌িনত‌ে হ‌োসেন || নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা।
  • প্রকাশিত সময় : জুন, ১৯, ২০২২, ১২:০৪ অপরাহ্ণ

প্যানেল ভিত্তিক নিয়োগের দাবিতে নিয়োগ বঞ্চিত বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধনধারীদের গণঅনশন কর্মসূচি জোরদার হচ্ছে। দাবির পক্ষে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বঞ্চিতরা যোগ দিচ্ছেন এ কর্মসূচীতে। রোববার (১৯জুন) অনশন কর্মসূচীর ১৫তম দিনেও দাবিতে অনঢ় চাকুরীপ্রার্থীরা অনশন করে যাচ্ছেন।

গত ৫ জুন থেকে শুরু হওয়া অনশনের শিক্ষকরা দাবি জানিয়ে বলেন, বর্তমানে বেতনভুক্ত কর্মরত (ইনডেক্সধারী) শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত না করে, নিবন্ধনধারী চাকরি প্রত্যাশীদের কোটা বিহীন স্ব স্ব নীতিমালায় নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত নিবন্ধন পরীক্ষা বন্ধ রেখে প্যানেল ভিত্তিক নিয়োগ দিতে হবে।

এ সময় তারা বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) অদূরদর্শিতা তুলে ধরে বলেন, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) শিক্ষক নিয়োগের জন্য প্রত্যেক নিবন্ধনধারীর কাছ থেকে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের জন্য আলাদা আলদা ফি নির্ধারণ করেছেন এবং অনির্দিষ্ট আবেদনের ব্যবস্থা চালু করে বেকার নিবন্ধনধারীদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে সর্বস্বান্ত করছে। যোগ্য শিক্ষক নির্বাচন ও নিয়োগ সুপারিশের পরিবর্তে এনটিআরসিএ অর্থসংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত পাচ্ছে।

তারা আরও বলেন, ২০০৬ সালে প্রকাশিত গেজেটের আলোকে পূর্বের নিবন্ধিত শিক্ষকদের নিয়োগের কোনো সুরাহা না করে, ২০১৫ সালে গেজেট অনুযায়ী এককভাবে নিয়োগ সুপারিশের উদ্দেশ্যে ১৩তম পরীক্ষা নেয় এনটিআরসিএ।
এ সময় ক্ষোভপ্রকাশ করে তারা বলেন, জাল সনদধারীরা এখনো চাকরিতে এখন বহাল আছে, অথচ বৈধ সনদধারীরা বেকার হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কৃর্তপক্ষের স্বেচ্ছাচারী আচারণ তুলে ধরে নিবন্ধনধারীরা বলেন, একই চাকরির জন্য একই কর্তৃপক্ষের অধীনে হাজার হাজার আবেদন করতে হয়, এমন নজির পৃথিবীর কোথাও নেই।

কর্মসূচীতে সভাপতিত্ব করছেন প্যানেল প্রত্যাশী নিবন্ধিত শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি মো. আমির হোসেন। সঞ্চালনা করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলাম। দাবির পক্ষে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জিম এম ইয়াছিন, সদস্য পাপ‌িয়া ব‌িনত‌ে হ‌োসেন, আমির হোসেন, সুজাউর রহমান, রায়হান আনসারী, সিরাজুল ইসলাম, গুলরুক মনি, কাকলি পারভীন, আনিসুর রহমান, শাহনাজ পারভীন জনি, সুমন দাশ, আল মুমিন, তানিয়া আক্তার, নাজমা আক্তার, মোঃ তুহিন মিয়া, এম এ হায়দার, মোঃ রাশেদুল ইসলাম, রহিমা খাতুন (লাবনী), তাসলিমা খাতুন, হোমায়রা শাহরিন তুলি, শারমিন আফরোজ চায়না, নাদিয়া তামান্না, আসমাউল হুসনা এজিলা, মোতালেন হুসাইন, মোঃ তাহেরুল ইসলাম, আফিয়া আক্তার, রাইহান কবির রনো, সুমা সরকার, মিন্টূ লাল মধু, মাইনউদ্দিন, জামিনী কান্ত সরকার, মনিকা বিশ্বাস প্রমুখ। দেশের ৬৪টি জেলার দুই শতাধিক শিক্ষক অনশন কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করেন।