শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-গ্রীষ্মকাল -|- ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

পুতিন যুদ্ধে জড়াবেন না, আশা বাইডেনের

প্রকাশিত হয়েছে- বৃহস্পতিবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২২
বাহাদুর ডেস্ক || ওয়েব-ইনচার্জ
  • প্রকাশিত সময় : জানুয়ারি, ২০, ২০২২, ১০:৫২ পূর্বাহ্ণ

ইউক্রেনে চলমান গৃহযুদ্ধ নিরসনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কার্যকরী ভূমিকা রাখলেও তিনি পুরোপুরিভাবে যুদ্ধে জড়াবেন না বলে আশা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

সম্প্রতি একটি সংবাদ সম্মেলনে জো বাইডেন বলেন, ‘আমি আশা করব, রাশিয়ার সঙ্কটে তিনি (পুতিন) কাজ করে যাবেন, সেখানে তাকে কিছু করতে হবে।’

তবে তিনি রুশ প্রেসিডেন্টকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ইউক্রেনে আগ্রাসনের বিষয়ে রাশিয়াকে চরম মূল্য চুকাতে হবে। খবর বিবিসি, রয়টার্স ও সিএনএনের।

এদিকে মস্কো ইউক্রেনে সরাসরি যুদ্ধে লিপ্ত হওয়ার ব্যাপারটি অস্বীকার করে এলেও দেশটির সীমান্তে ১ লাখেরও বেশি সেনা মোতায়েন করেছে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রাশিয়া আক্রমণের নির্দেশ দিলে পশ্চিমা বিশ্ব কী প্রতিক্রিয়া জানায়, সেটা জানতে যখন প্রতীক্ষায় ছিল বিশ্ব রাজনীতি, তখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট গত বুধবার সংবাদ সম্মেলনে আসেন।

জো বাইডেন বলেন, ‘রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ করলে তার জবাবদিহিতা করতে হবে, জানতে চাওয়া হবে কী কারণে তারা এটি করল। এটি যদি ছোটখাটো অনুপ্রবেশের ঘটনাও হয়, তবে আমরা সেখানে কী করা উচিত আর কী করা উচিত না সে বিষয়ে নিশ্চয়ই মুখোমুখি হব। তারা যদি মনে করে থাকে যে তারা ইউক্রেনে তাদের সামর্থ্যের সবটুকু করবে, তবে তা রাশিয়ার জন্য বড় বিপর্যয় ডেকে আনবে।’

জো বাইডেনের সংবাদ সম্মেলনের পর হোয়াইট হাউজ এক বিবৃতিতে ইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র নিজের অবস্থান জানায়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাশিয়ার সেনারা যদি ইউক্রেন সীমান্ত অতিক্রম করে যায়, তবে সে আগ্রাসন নিয়ে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশগুলো তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাবে।’

ইউক্রেন সঙ্কট নিয়ে গত সপ্তাহে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার এক আলোচনা সভা ব্যর্থ হয়েছে। সঙ্কট নিরসনে পশ্চিমা দেশগুলোর প্রস্তাব রাশিয়া প্রত্যাখান করেছে। রাশিয়া দাবি করছে, ইউক্রেন কখনও ন্যাটোতে যোগদান করবে না এবং প্রতিরক্ষামূলক জোটের সামরিক কার্যক্রম পোল্যান্ডসহ সদস্য রাষ্ট্রগুলোতে সীমিত করা উচিত।

ইউক্রেন সীমান্তে কিছুদিন আগেই রাশিয়ার হাজারো সেনা মোতায়েন নিয়ে কিয়েভ ও এর মিত্রদেশগুলো শঙ্কিত হয়ে উঠেছিল। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে নতুন সামরিক অভিযান চালাতেই মস্কো একাজ করেছে বলে সংশয় প্রকাশ করেছিল তারা। এই শঙ্কার মধ্যেই রাশিয়া এ সপ্তাহে বেলারুশে অতিরিক্ত সেনা পাঠিয়েছে।

আগামী মাসে অনুষ্ঠেয় যৌথ সামরিক মহড়ার জন্যই এই সেনা সমাবেশ বলে জানিয়েছে বেলারুশ। তবে এগুলোর কোনোটি ইউক্রেনে হামলা চালানোর জন্য করা হচ্ছে না বা এমন কোনো পরিকল্পনাও নেই বলে রাশিয়া দাবি করেছে। কিন্তু নেটো জোটে ইউক্রেইনের যোগদান আটকানোসহ নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পেতে রাশিয়া ওয়াশিংটনের ওপর চাপও সৃষ্টি করেছে।