বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-গ্রীষ্মকাল -|- ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

পাকিস্তানে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন করা হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২০
||
  • প্রকাশিত সময় : জানুয়ারি, ৮, ২০২০, ১১:০৭ পূর্বাহ্ণ

বাহাদুর ডেস্ক :

পাকিস্তানে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ইতিমধ্যেই জার্মানী ও থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে বঙ্গবন্ধু চেয়ার চালু করেছে। এ ছাড়া যুক্তরাজ্যে ক্যাম্পব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি বঙ্গবন্ধু সেন্টার স্থাপন করেছে। পাশাপাশি ভারত, তুরস্ক, ফিলিস্তিন এবং কম্বোডিয়ার বিভিন্ন নগরীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে সড়কের নামকরণ করা হয়েছে। পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশের বাংলাদেশ মিশনসমূহে বঙ্গবন্ধুর মূরাল স্থাপন করা হবে।

রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবর্ষ উদযাপন সাব-কমিটির বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন। খবর বাসসের।

এদিকে মুজিববর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন আধুনিক মালয়েশিয়ার রূপকার ও দেশটির প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদ। এছাড়াও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাসটিন ট্রুডো, সংযুক্ত আরব আমীরাতের যুবরাজ জায়েদ আল নাহিয়ান, ভারতের সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জী, ভারতের কংগ্রেস দলের সভাপতি সোনিয়া গান্ধী, এবং জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুনও মুজিব বর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা ইতোমধ্যেই মুজিব বর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগদানের বিষয়ে তাদের সম্মতি পেয়েছি। তবে তাদের কে কত তারিখে ঢাকায় পৌছুবেন, এ বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, কয়েকজন বিশ্ব নেতা ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের বিশেষ অনুষ্ঠানে যোগ দিবেন এবং আর অন্যেরা মার্চ ২০২০ থেকে মার্চ ২০২১ সালের মধ্যে অনুষ্ঠিত অন্যান্য অনুষ্ঠানে যোগ দিবেন।

তিনি বলেন, আমরা চাই না ১৭ মার্চের অনুষ্ঠানে অনেক বিশ্ব নেতা যোগ দিক, আমরা চাই অনধিক চার পাঁচ জন নেতা এ দিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিক, অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিবৃন্দ অন্যান্য অনুষ্ঠানে যোগ দিবেন। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু’র জন্ম শত বর্ষ উদযাপন উপলক্ষে বিদেশে বাংলাদেশের ৭৭টি মিশন তাদের স্ব স্ব স্বাগতিক দেশে ২৬১টি অনুষ্ঠান করবে। আমরা বঙ্গবন্ধু’র আদর্শ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে চাই। বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের বন্ধুই নন, তিনি সারা বিশ্বের সকল শান্তিপ্রিয় মানুষের বন্ধু ছিলেন।

মোমেন বলেন, মুজিব বর্ষব্যাপী মুজিবাদর্শ তুলে ধরা ছাড়াও সরকার চায় এ সময়টাতে বিশ্বব্যাপী এমন এক নূতন বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং করতে, যে বাংলাদেশ হচ্ছে অপার সম্ভাবনা ও সুযোগ সুবিধার এক গতিশীল অর্থনীতির দেশ।

টি.কে ওয়েভ-ইন