গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি ঃ
‘গৌরীপুরে ভুতুড়ে বিদ্যুৎ প্রত্যাহারের দাবি’, গৌরীপুরে ‘ভুতুড়ে’ বিদ্যুৎ বিল প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ’, গৌরীপুরে মুদি দোকানীর একমাসের বিদ্যুৎ বিল ৯লাখ ২৪হাজার ৩২৭টাকা এ নিয়ে নানা শিরোনামে দৈনিক যুগান্তর, দৈনিক স্বজন, ময়মনসিংহের কাগজ, দৈনিক বাহাদুর, একাত্তর টেলিভিশন, সময় টেলিভিশনসহ দেশের অসংখ্য প্রিন্ট ও ইলেকট্টনিক্স মিডিয়া এ সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় দেশজুড়ে আলোচিত ঘটনায় পরিণত হয়।
এসব সংবাদ প্রকাশের প্রেক্ষিতে তত্ত্বাধায়ক প্রকৌশলী (পরিচালন ও সংরক্ষণ সার্কেল-১) মো. উবাইদুল ইসলাম, অতিরিক্ত পরিচালক (বাণিজ্যিক পরিচালন) মো. শেখ আব্দুল গফুর, নির্বাহী প্রকৌশলী (বিবিধ-৩) প্রকৌশলী মো. মোফাজ্জল হোসেন খান, এনার্জি এডিটিং ইউনিট সহকারী প্রকৌশলী কৌশিক ভদ্র ও গৌরীপুরের আবাসিক প্রকৌশলী নিরঞ্জন কুন্ডু’র নেতৃত্বে ৫সদস্যের উচ্চ উপার্যের তদন্ত টিম বিদ্যুৎ গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলতে ও ঘটনা সম্পর্কে জানতে মঙ্গলবার (১৬ মার্চ/২০২১) ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার কোনাপাড়া গ্রামে। তদন্ত দল গ্রাহকদের দুর্ভোগ ও বিদ্যুৎ বিলে গ্রাহক হয়রানির বিষয়টি তুলে ধরেন।
এ তদন্তটিমের ঘটনাস্থল পরিদর্শক ও গ্রাহকদের অভিযোগ নিয়ে একই দিনে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উয়ন্নন বোর্ড ময়মনসিংহের বিতরণ কেন্দ্রীয় অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে গ্রাহকদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভায় গ্রাহকদের ভুতুড়ে বিল প্রত্যাহার ও গ্রাহকদের অভিযোগ নিয়ে শান্তিপূর্ণ সমাধান অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উয়ন্নন বোর্ড ময়মনসিংহের বিতরণ কেন্দ্রীয় অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগ মানুষের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। গ্রাহক সন্তুষ্টির মাধ্যমে এ বিভাগে উন্নয়ন কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করবে। কোন গ্রাহক হয়রানির শিকার হবে না। তিনি আরো বলেন, হেলাল উদ্দিনের বিষয়টি নিষ্পত্তি করে দেয়া হলো। প্রত্যেক গ্রাহক সম্মানিত, তাদেরকে কোনরূপ হয়রানি করা চলবে না।
অপরদিকে গৌরীপুর উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কর বলেন, আমরা বিদ্যুৎ ব্যবহার করবো, নিয়মিত বিলও পরিশোধ করবো। অসুদাপয় বা চুরি করে কেউ বিদ্যুৎ ব্যবহার করলে তাকে ধরিয়ে দেয়ার দায়িত্বও আমাদের।
সভায় ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল হোসেন বলেন, সংবাদকর্মীরা সবসময় নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। হেলাল উদ্দিনের বিষয়টি আমরা জানার পর সপ্রণোদিতভাবেই তাকে কিভাবে রক্ষা করা যায়, তার জন্য কাজ করেছি। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাগণও গ্রাহক হয়রানি যেন না হয় সে বিষয়টি দেখভাল করছেন। আমরাও চাইবো বিদ্যুৎ বিভাগের কোন গ্রাহক আর যেন হয়রানির শিকার না হন। গৌরীপুর যুগান্তর প্রতিনিধি মো. রইছ উদ্দিন সভায় জানান, গৌরীপুর উপজেলার কোনাপাড়া গ্রাম সবজি এলাকাখ্যাত। এখানকার মানুষ সহজ সরল, তারাও চায় বৈধভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে, কোন ঝামেলায় যেতে চায় না। তাদেরকে সহজশর্তে হয়রানিমুক্তভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ করে দিন।
সভায় বক্তব্য রাখেন বিতরণ কেন্দ্রীয় অঞ্চলের তত্ত্বাধায়ক প্রকৌশলী (পরিচালন ও সংরক্ষণ সার্কেল ২) মো. হাবিবুর রহমান, (পরিচালন ও সংরক্ষণ সার্কেল-১) মো. উবাইদুল ইসলাম, অতিরিক্ত পরিচালক (বাণিজ্যিক পরিচালন) মো. শেখ আব্দুল গফুর, ময়মনসিংহের নির্বাহী প্রকৌশলী (বিক্রয় বিতরণ বিভাগ-২) প্রকৌশলী ঈন্দ্রজিৎ দেবনাথ, ময়মনসিংহ এনার্জি অডিটিং নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাজমুল হাসান, ময়মনসিংহ বিতরণ কেন্দ্রীয় অঞ্চলের সহকারী প্রধান প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ, নির্বাহী প্রকৌশলী (বিবিধ-৩) প্রকৌশলী মো. মোফাজ্জল হোসেন খান, উপ পরিচালক (প্রশাসন, বিতরণ কেন্দ্রীয় অঞ্চল) মো. সাকিব হোসেন, সিনিয়র সহকারী পরিচালক (হিসাব) সুমন চন্দ্র সরকার, গৌরীপুর আবাসিক প্রকৌশলী (সহকারী প্রকৌশলী) নিরঞ্জন কুন্ডু, সভায় ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল হোসেন, গৌরীপুর যুগান্তর প্রতিনিধি মো. রইছ উদ্দিন, বিদ্যুৎ গ্রাহক মো. হেলাল উদ্দিন, গৌরীপুর পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কর, বিদ্যুৎ গ্রাহক মো. মামুন মিয়া বক্তব্য রাখেন।