আজ বৃহস্পতিবার ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

||
  • প্রকাশিত সময় : জানুয়ারি, ২৩, ২০২১, ৮:১৯ অপরাহ্ণ




নির্বাচনী মাঠে না থাকতে পারি এজন্য আমার প্রচারণায় বাধা দেওয়া হচ্ছে

প্রধান প্রতিবেদক :
বিপুল ভোটে দু’বার নির্বাচিত গৌরীপুর পৌরসভার জনপ্রিয় মেয়র ও পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থী সৈয়দ রফিকুল ইসলামের নির্বাচনী মাঠে বারবার প্রচারণায় বাধা দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমি যাহাতে নির্বাচনী মাঠে না থাকতে পারি তারজন্য আমার প্রচারণায় একাধিকবার বাধা দেয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনে একাধিকবার অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার পাইনি। গতকাল শুক্রবার (২২ জানুয়ারি/২০২১) নিজ বাসায় এ সংবাদ সম্মেলন করেন।

তিনি আরো বলেন, মাসুদুর রহমান শুভ্র আমার ছেলে বয়সী। নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী থাকতে পারে। তাকে মেরে ফেলতে হবে-এ এমন জঘন্যতম রাজনীতি আমি শিখি নাই। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের চিহ্নিত করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি আমিও চেয়েছিলাম। অথচ আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান শুভ্র হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। তার জবাব ৩০জানুয়ারির পৌর নির্বাচনে জনগন ব্যালটের মাধ্যমেই দিবেন, ইনশাল্লাহ। ভোটেই প্রমাণ হবে আমি নির্দোষ কি-না?
মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে আমাকে হত্যা মামলার মিথ্যা আসামি করা হয়েছে। কারাগারে থেকেই আমি মনোনয়ন ফরম পূরণ করেছি। কিন্তু যাচাই-বাছাইয়ে আমার মনোনয়ন বাতিল করা হয়। পরে আপিলের মাধ্যমে প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছি। সব ষড়যন্ত্র, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আমাকে নৌকা প্রতীক থেকেও বঞ্চিত করা হয়েছে। আমি গৌরীপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও গৌরীপুর পৌরসভার বর্তমান মেয়র হিসেবে এবারের নির্বাচনেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলাম। এ মামলায় আমাকে আসামি করার কারণে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সৈয়দ রফিকুল ইসলাম হত্যা মামলায় জামিনে মুক্ত হয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।

সৈয়দ রফিকুল ইসলাম বলেন, গৌরীপুর মধ্যবাজারে হাটের দিনে প্রকাশ্যে আমার প্রচারণায় বাধা দেয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর কর্মীরা আমার নির্বাচনের প্রচারণায় প্রতিদিন বাধা দিচ্ছেন। আমি নিজেও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এসব বিষয়ে অন্তত পাঁচবার রির্টানিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করলেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি।

তিনি আরো বলেন, আমার অনেক পোস্টারও ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। টাঙানো পোস্টার ছিঁড়ে রাস্তায় ফেলে দেয়া হয়েছে, খালেও পড়ে রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের মনিটরিং টিম কোন প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেয়নি। প্রত্যেকটি কেন্দ্রের সামনে, জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তা-হাট, বাজার ও মোড়ে মোড়ে পোস্টার ছিলো। অথচ আজকে সেই পোস্টার নেই! এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার জনপ্রিয়তা ঈর্ষান্বিত হয়েই এসব ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটাচ্ছে। আমার প্রতীক নারিকেল গাছ, ৩০জানুয়ারি নির্বাচনে ব্যালটের মাধ্যমে পৌরবাসী ইনশাল্লাহ তার জবাব দিবেন।

উল্লেখ্য যে, গত ১৭ অক্টোবর গৌরীপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান শুভ্রকে হত্যা করে দুবৃর্ত্তরা। তিনিও গৌরীপুর পৌরসভার মেয়র প্রার্থী হিসাবে কাজ করে যাচ্ছিলেন।

টি.কে ওয়েভ-ইন




Comments are closed.

     এই বিভাগের আরও খবর




অনলাইন জরিপ

জাতিসংঘের বিশেষ দূত এলিস ক্রুজ বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুফল সব মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে না। আপনিও কি তা-ই মনে করেন?

View Results

Loading ... Loading ...

পুরনো সংখ্যার নিউজ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০