অনলাইন ডেস্ক :
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস বলেছেন ধর্ষকের কোন দল নেই। আজ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণের প্রতিবাদের রোকেয়া হলের সামনে থেকে রাজু ভাস্কর্য পর্যন্ত আলপনা আঁকার কর্মসূচিতে তিনি একথা বলেন।
সঞ্জিত চন্দ্র দাস বলেন, ধর্ষক ধর্ষকই তার কোনো দল নাই, ধর্ম নাই। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সবসময় অসাম্প্রদায়িক চেতনা লালন করে তারই ধারাবাহিকতায় আমরা ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলে ধর্ষকের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করছি।
এদিকে ঢাবি ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত ভার ঢাকা মহানগর (উত্তর বিভাগ) গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়েছে। ক্যান্টনমেন্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহান হক সোমবার (৬ জানুয়ারি) রাতে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ডিবি পুলিশ ইতোমধ্যে মামলার তদন্ত কাজ শুরু করেছে।
ধর্ষণের ঘটনায় অজ্ঞাত একজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার সকালে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলাটি দায়ের করেন ওই ছাত্রীর বাবা। ক্যান্টনমেন্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গত রবিবার সন্ধ্যায় কুর্মিটোলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নেমে যাওয়ার পর তাকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ করেন ওই ছাত্রী।
ওসি বলেন, মামলার এজাহারে মেয়েটিকে একজন ধরে নিয়ে ধর্ষণ করে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এছাড়াও ওই এলাকাটি একটু গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল এলাকা। ঘটনাস্থলটি আমরা এখনই প্রকাশ করতে চাচ্ছি না।
ঘটনার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শেওড়া যাওয়ার উদ্দেশে ঢাবির বাসে ওঠেন ওই শিক্ষার্থী। সন্ধ্যা ৭টার দিকে শেওড়ার বিপরীত পাশে কুর্মিটোলায় বাস থেকে নামেন তিনি। সেখানে অজ্ঞাত ব্যক্তি মুখ চেপে তাকে পাশের একটি স্থানে নিয়ে অজ্ঞান করে ধর্ষণ করে।
রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফিরলে তিনি নিজেকে নির্জন স্থানে আবিষ্কার করেন। সেখান থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় গন্তব্যে পৌঁছান ওই ছাত্রী। পরে রাত ১২টার দিকে তাকে ঢামেক হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করান তার সহপাঠীরা।
এদিকে ঢাবি শিক্ষার্থী ধর্ষণের প্রতিবাদ ও ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল রয়েছে ঢাবি ক্যাম্পাস। এ ঘটনায় বিচার নিশ্চিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান।