শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-গ্রীষ্মকাল -|- ১১ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

দলের বিরুদ্ধে দল : ৩১ ওয়ার্ডে আ’লীগ প্রার্থীর মুখোমুখি ‘স্বতন্ত্র’ ৪২

প্রকাশিত হয়েছে- মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২০
||
  • প্রকাশিত সময় : জানুয়ারি, ১৪, ২০২০, ১১:৪৭ পূর্বাহ্ণ

বাহাদুর ডেস্ক :

নির্বাচনী প্রচার জমেছে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনে। মেয়র পদে সরাসরি দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হলেও কাউন্সিলর প্রার্থীরা নির্বাচন করছেন দলের সমর্থন নিয়ে। প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থীদের ব্যাপারে দলীয় সমর্থন ঘোষণা করেছে। তবে দুই দলেই ‘স্বতন্ত্র’ অথবা ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হিসেবে নিজ নিজ দলের বিরুদ্ধে লড়ছেন সমর্থনবঞ্চিতরা

অনুরোধ-উপরোধ আর ‘সাংগঠনিক শাস্তির’ কড়া হুঁশিয়ারির পরও দমানো যায়নি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি ও ডিএসসিসি) নির্বাচনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগের ‘স্বতন্ত্র’ প্রার্থীদের। মনোনয়ন প্রত্যাহারের দলীয় নির্দেশ উপেক্ষা করে শেষ পর্যন্ত ‘নির্বাচনী লড়াই’ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে ৩১টি ওয়ার্ডে এখনও অনড় ৪২ প্রার্থী। বেশকিছু জায়গায় দল সমর্থিত ও প্রত্যাখ্যাত প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা এবং সংঘাত-সহিংসতার ঘটনাও ঘটেছে।

আগামী ৩০ জানুয়ারি ডিএনসিসি ও ডিএসসিসি নির্বাচনে মেয়র ছাড়াও ১২৯টি সাধারণ ও ৪৩টি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড মিলিয়ে মোট ১৭২টি কাউন্সিলর পদে ভোট হবে। এর মধ্যে রয়েছে ডিএনসিসিতে ৫৪টি সাধারণ ও ১৮টি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড; ডিএসসিসিতে ৭৫টি সাধারণ ও ২৫টি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড।

নির্বাচন কমিশন ও সংশ্নিষ্ট সূত্রগুলো থেকে দুই সিটি মিলিয়ে ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের অন্তত ৪২ জন ‘স্বতন্ত্র’ বা ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী থাকার তথ্য মিলেছে। এর মধ্যে ডিএনসিসির ১৪টি ওয়ার্ডে ১৭ জন এবং ডিএসসিসির ১৭টি ওয়ার্ডে ২৫ জন ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী রয়েছেন। কোনো কোনো ওয়ার্ডে একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থীও রয়েছেন। দক্ষিণের ৩৬ ও  ৬৯ নম্বর ওয়ার্ডে সর্বোচ্চ তিনজন করে বিদ্রোহী প্রার্থী দলীয় সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে মাঠে নেমেছেন। কয়েকটি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদেও বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। এসব বিদ্রোহী প্রার্থী গত ৯ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময়সীমা পার হলেও নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়াননি। ইতোমধ্যে প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে পুরোপুরি প্রচারে নেমেও পড়েছেন তারা।

জানা গেছে, ক্ষমতাসীন দল ও সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের প্রভাবশালী নেতারাই মূলত দলীয় সমর্থনবঞ্চিত হয়ে ‘স্বতন্ত্র’ প্রার্থিতার আড়ালে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হয়েছেন। তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন বর্তমান ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের অনেকেও। ফলে দল সমর্থিত ও দল প্রত্যাখ্যাত প্রার্থীদের নির্বাচনে ‘প্রভাব বিস্তারের’ প্রবণতা থেকে সংঘাত-সহিংসতার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এমনকি ঘটতেও শুরু হয়েছে। ডিএসসিসির ২ নম্বর ওয়ার্ডের বিদ্রোহী প্রার্থী জহিরুল ইসলাম ভূঞা ভুট্টু একই ওয়ার্ডের দল সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী ও বর্তমান কাউন্সিলর আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে তার ওপর হামলার অভিযোগ এনে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। গত শনিবার রাজধানীর শান্তিবাগ এলাকায় এ হামলার সময় বাধা দিতে গিয়ে তার ছেলে আহত হন বলেও অভিযোগ করেন ভুট্টু। তবে আনিসুর রহমান এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারে যত প্রচেষ্টা :গত ২৮ ও ২৯ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ছাড়াও ১৭২টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে দল সমর্থিত প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে এসব প্রার্থীর নাম ঘোষণার পরও সে সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে প্রায় ৩০০ বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন।

এমন প্রেক্ষাপটে গত ৩ ও ৪ জানুয়ারি দলের নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের যৌথ সভায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বিক্ষুব্ধ প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পদক্ষেপ নিতে দুই সিটির নির্বাচন পরিচালনা সমন্বয় কমিটির নেতাদের নির্দেশ দেন। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের পৃথক বর্ধিত সভায় দলের কেন্দ্রীয় নেতারা বিক্ষুব্ধ প্রার্থীদের মাঠ থেকে সরে দাঁড়াতে অনুরোধ জানান। মনোনয়নপত্র তুলে না নিলে দলীয় পদ-পদবি থেকে বহিস্কার অথবা ভবিষ্যতে পদবঞ্চিত করার হুঁশিয়ারিও দেন তারা।

এরপর দুই সিটির ওয়ার্ডভিত্তিক বিদ্রোহী প্রার্থীর তালিকা তৈরি করে তাদের প্রার্থিতা থেকে বিরত করতে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়। মহানগরের এই চার শীর্ষ নেতা বিক্ষুব্ধ প্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ জানুয়ারির মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের তাগিদ দেন। সে ক্ষেত্রে দলের অপূর্ণাঙ্গ ঢাকা মহানগর কমিটিসহ থানা-ওয়ার্ড কমিটিগুলো পুনর্গঠনের সময় তাদের বিভিন্ন পদে পদায়ন এবং ভবিষ্যতে অন্যভাবেও ‘মূল্যায়নের’ প্রতিশ্রুতি দেন নগর নেতারা। কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিরত না থাকলে ভবিষ্যতে দলীয় কোনো পদে না আনা এবং সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের পদে থাকলে বহিস্কারের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়। সর্বশেষ ৮ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকরা বিদ্রোহী প্রার্থীদের চিঠি পাঠিয়ে দল সমর্থিত প্রার্থীদের সমর্থন করে নিজ নিজ মনোনয়ন প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। দলের এসব উদ্যোগে অনেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করায় বিদ্রোহী প্রার্থীর সংখ্যা অনেক কমেও গেছে। এরপরও অনেক জায়গায় তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অনড় রয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি এবং দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির বলেছেন, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে যারা প্রার্থী হয়েছিলেন, তাদের বোঝানো হয়েছে। এতে অনেকেই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। দুই সিটির নির্বাচন পরিচালনায় গঠিত কমিটির এই দুই সদস্য সচিব বলেন, প্রত্যাহারের শেষ সময়সীমা পার হওয়ার পরও কেউ স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করলে তাদের বিরুদ্ধে আগামীতে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত :প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেওয়ায় অথবা কারও কারও প্রার্থিতা বাতিল হওয়ায় এরই মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চারজন কাউন্সিলর প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এই চারজন হচ্ছেন- ডিএসসিসির ২৫ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডে আনোয়ার ইকবাল, ৪৩ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর আরিফ হোসেন এবং সংরক্ষিত ৬ নম্বর নারী ওয়ার্ডে (১৬, ১৭ ও ২১ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ড) বর্তমান কাউন্সিলর নারগীস মাহতাব ও সংরক্ষিত ৮ নম্বর ওয়ার্ডের (২২, ২৩, ২৬ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ড) নিলুফার রহমান।

উত্তরে দল প্রত্যাখ্যাত প্রার্থী যারা :ডিএনসিসির ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে দল সমর্থিত প্রার্থী কদম আলী মাতবরের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন ইসমাইল হোসেন বেনু। একইভাবে ৩ নম্বর ওয়ার্ডে দল সমর্থিত জিন্নাত আলী মাতবরের বিরুদ্ধে বর্তমান কাউন্সিলর কাজী জহিরুল ইসলাম মানিক, ৫ নম্বরে দল সমর্থিত বর্তমান কাউন্সিলর আবদুর রউফ নান্নুর বিরুদ্ধে জুয়েল রানা, ৬ নম্বরে দল সমর্থিত সালাউদ্দিন রবিনের বিরুদ্ধে তাইজুল ইসলাম চৌধুরী বাপ্পি, ৭ নম্বরে দল সমর্থিত তফাজ্জল হোসেনের বিরুদ্ধে ইয়াকুব আলী ও কাজী স্বপন, ১১ নম্বরে দল সমর্থিত দেওয়ান আবদুল মান্নানের বিরুদ্ধে অলিউর রহমান বাবুল ও মনসুর আলী, ১৩ নম্বরে দল সমর্থিত বর্তমান কাউন্সিলর হারুন-অর-রশিদ মিঠুর বিরুদ্ধে ইসমাইল মোল্লা, ১৪ নম্বরে মইজউদ্দিনের বিরুদ্ধে বর্তমান কাউন্সিলর হুমায়ুন রশিদ জনি এবং ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে দল সমর্থিত বর্তমান কাউন্সিলর মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে আজিজুর রহমান স্বপন প্রার্থী হয়েছেন।

২০ নম্বর ওয়ার্ডে প্রথমে জাহিদুর রহমান দুলালকে দলীয় সমর্থন দেওয়া হয়। তিনি মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর প্রার্থিতায় পরিবর্তন এনে বর্তমান কাউন্সিলর মো. নাছিরকে সমর্থন দেওয়া হয়। কিন্তু এখানে জাহিদুর রহমান দুলালও প্রার্থী রয়ে গেছেন। এছাড়া ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে দল সমর্থিত শাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে আতিকুর রহমান, ২৪ নম্বরে দল সমর্থিত বর্তমান কাউন্সিলর সফিউল্লাহ শফির বিরুদ্ধে তালুকদার সারওয়ার, ২৫ নম্বরে দল সমর্থিত আবদুল্লাহ আল মঞ্জুরের বিরুদ্ধে আশরাফ উদ্দিন কাঞ্চন ও মোকসেদ আলী মোল্লা এবং ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে দল সমর্থিত বর্তমান কাউন্সিলর তৈমুর রেজা খোকনের বিরুদ্ধে ইসমাইল চৌধুরী আজাদ বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন।

দল সমর্থিত প্রার্থীদের মধ্যে উত্তর সিটির ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর আবদুর রউফ নান্নু ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর হারুন-অর-রশিদ মিঠু বলেন, ভোটের মাঠের শক্ত প্রতিপক্ষ বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের মোকাবিলা করতে হচ্ছে তাদের। দলীয় সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে প্রার্থী হওয়া ব্যক্তিরাও তাদের মাথাব্যথার কারণ। তবে এরপরও জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী তারা।

দল থেকে মনোনয়ন না পেয়েও নির্বাচনকারী প্রার্থীদের একজন উত্তর সিটির ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইসমাইল চৌধুরী আজাদ বলেন, জনগণের সমর্থন ও জনমত তার পক্ষে থাকলেও দল তাকে সমর্থন না দেওয়ায় কর্মী-সমর্থকরা হতাশ হয়েছেন। এ অবস্থায় এলাকাবাসী ও কর্মী-সমর্থকদের চাপে অনেকটা বাধ্য হয়েই প্রার্থী হয়েছেন তিনি। তার বিশ্বাস, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে তিনিই ভোটে জিতবেন।

দক্ষিণের দল প্রত্যাখ্যাত প্রার্থী যারা :ঢাকা দক্ষিণ সিটির ২ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর আনিসুর রহমান আবারও দলীয় সমর্থন পেয়েছেন। কিন্তু সেখানে দল থেকে মনোনয়ন না পেলেও প্রার্থী হয়েছেন জহিরুল ইসলাম ভূঞা ভুট্টু। ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ইসমাইল জবিউল্লাহকে দলীয় সমর্থন দেওয়া হলে তিনি মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। পরে প্রার্থিতায় পরিবর্তন এনে বর্তমান কাউন্সিলর সুলতান মিয়াকে সমর্থন দেওয়া হয়। এমন প্রেক্ষাপটে ইসমাইল জবিউল্লাহও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোট করছেন।

৯ নম্বর ওয়ার্ডে ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত বর্তমান কাউন্সিলর এ কে এম মোমিনুল হক সাঈদ এবার দলীয় সমর্থন পাননি। তবে পলাতক অবস্থায়ই প্রার্থী হয়েছেন। তার স্ত্রী ফারহানা আহম্মেদ বৈশাখীও একই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন। এখানে দল থেকে সমর্থন পেয়েছেন মোজাম্মেল হক।

১২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রথমে দলীয় সমর্থন পেয়েছিলেন ম. ম. মামুন রশিদ শুভ্র। পরে প্রার্থিতা বদলে বর্তমান কাউন্সিলর গোলাম আশরাফ তালুকদারকে সমর্থন দেওয়া হলেও শুভ্র প্রার্থী হিসেবে রয়ে যান। মনোনয়ন না পেয়ে আরও একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ সেকান্দার আলীও নির্বাচন করছেন এ ওয়ার্ডে।

একইভাবে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে দলসমর্থিত মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে সাইফুল ইসলাম রনি ও নুরুল আমিন পাটোয়ারী, ৩৬ নম্বরে দল সমর্থিত বর্তমান কাউন্সিলর রঞ্জন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে সমিন রায়, বাবুল দাস ও জাহাঙ্গীর ইসলাম, ৩৭ নম্বরে দল সমর্থিত বর্তমান কাউন্সিলর আবদুর রহমান মিয়াজীর বিরুদ্ধে হাজী শাহাবুদ্দিন জনি, ৩৯ নম্বরে দল সমর্থিত রোকন উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে বর্তমান কাউন্সিলর ময়নুল হক মনজু (চাঁদাবাজির অভিযোগে বর্তমানে গ্রেপ্তার ও কারাগারে), ৫৩ নম্বরে দল সমর্থিত বর্তমান কাউন্সিলর মোহাম্মদ নূর হোসেনের বিরুদ্ধে আসাদুজ্জামান মামুন, ৫৪ নম্বরে দল সমর্থিত বর্তমান কাউন্সিলর মো. মাসুদের বিরুদ্ধে মনির হোসেন স্বপন, ৫৮ নম্বরে দল সমর্থিত বর্তমান কাউন্সিলর শফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে ফিরোজ আহমেদ এবং ৫৯ নম্বরে দল সমর্থিত বর্তমান কাউন্সিলর আকাশ কুমার ভৌমিকের বিরুদ্ধে আওলাদ হোসেন ও খোরশেদ আলম নির্বাচন করছেন।

এ ছাড়া ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডে দল সমর্থিত বর্তমান কাউন্সিলর মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে সহিদুল ইসলাম, ৬৯ নম্বরে দল সমর্থিত বর্তমান কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান হাসুর বিরুদ্ধে আতিকুর রহমান তোতা মিয়া, সালাউদ্দিন আহমেদ ও শহিদুল ইসলাম, ৭৩ নম্বরে দল সমর্থিত বর্তমান কাউন্সিলর শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে আমিনুল ইসলাম চৌধুরী উজ্জল, ৭৪ নম্বরে দল সমর্থিত ফজর আলীর বিরুদ্ধে আজিজুল হক মেম্বার এবং ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডে দল সমর্থিত বর্তমান কাউন্সিলর সৈয়দ তোফাজ্জল হোসেনের বিরুদ্ধে আতাউর রহমান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন।

টি.কে ওয়েভ-ইন