শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪ -|- ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০-বসন্তকাল -|- ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

তারাকান্দায় ভিক্ষাবৃত্তি ত্যাগ করলেন ওরা পাঁচজন

প্রকাশিত হয়েছে- শুক্রবার, ১২ আগস্ট, ২০২২
রফিক বিশ্বাস || নিজস্ব প্রতিবেদক, তারাকান্দা
  • প্রকাশিত সময় : আগস্ট, ১২, ২০২২, ৭:৩৮ অপরাহ্ণ

সরকারি সহায়তা পেয়ে ভিক্ষাবৃত্তি ত্যাগ করার শপথ করেছেন ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার ওয়াই গ্রামের জমিলা খাতুন, মাধবপুর গ্রামের জোসনা বেগম.মোছাঃ সখিনা খাতুন, কামারগাও গ্রামের মোছাঃ রহিমা খাতুন ও রাজদারিকেল গ্রামের রুকুমনি রবিদাস।
দীর্ঘদিন যাবৎ তারা ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবন যাপন করছেন। তবে এখন থেকে তারা আর ভিক্ষা না করার শপথ করেছেন। কারণ তারা থাকার জন্য পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর উপহারের জমিসহ ঘর ও জীবিকা নির্বাহের জন্য পেয়েছেন আয়ের একটি উৎস। তারা সবারই ষাটোর্ধ। জীবনের এই ক্রান্তিলগ্নে এসে অন্যের কাছে হাত পেতে খেতে হবে না, এই ভেবে তারা খুবই আনন্দিত।

ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান কর্মসূচির আওতায় ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা উপজেলা সমাজসেবা অধিদফতরের পক্ষ থেকে এই পাঁচজনের মধ্যে দুইজনকে ব্যাটারী চালিত রিক্সা, দুইজন কে গরু ও একজন ভিক্ষুককে দোকান করে দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত আনুষ্ঠানিক ভাবে অটোরিক্সা, দোকানের চাবি ও গরু প্রদান করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) জিন্নাত শহীদ পিংকি, তারাকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল খায়ের,উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী রনু ঠাকুর, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম নয়ন ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রুবেল মন্ডল প্রমুখ।

ভিক্ষুক সখিনা খাতুন বলেন, ‘ অন্যের কাছে হাত পাতলে লজ্জা লাগে। কিন্তু উপায় ছিলো না।পেটে ক্ষুধা রেখে মুখে লাজ করলে চলবে না। তাই এতদিন ভিক্ষা করে সংসার চালিয়েছি। আজ থেকে আর ভিক্ষা করতে হবে না।’

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মিজাবে রহমত বলেন, “আপাতত পাঁচ জনকে স্বাবলম্বী করতে এ উদ্যোগ।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সমাজ গড়তে উপজেলাকে ভিক্ষুকমুক্ত করতে এ উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।