শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪ -|- ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০-বসন্তকাল -|- ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

ঢাবিতে ছাত্রলীগের প্রতিবাদী আল্পনা অঙ্কন

প্রকাশিত হয়েছে- মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২০
||
  • প্রকাশিত সময় : জানুয়ারি, ৭, ২০২০, ৬:০১ অপরাহ্ণ

অনলাইন ডেস্ক :

অনতিবিলম্বে ধর্ষকদের গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের মানববন্ধন ও প্রতিবাদী আল্পনা অঙ্কন।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি নাহিয়ান খান জয়ের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি বের করা হয়। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনসহ অনেক নেতাকর্মী। এসময় তারা ধর্ষণের ঘটনায় সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান। ছবি সৌজন্যে- সনজিত দাস, ফেসবুক

রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় আলপনা-মানববন্ধনে প্রতিবাদ জানাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে প্রতিবাদের অংশ হিসেবে রোকেয়া হলের সামনে থেকে রাজু ভাস্কর্য পর্যন্ত আলপনা আঁকার কর্মসূচি শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বে বিভিন্ন হলের নেতাকর্মীরা এতে অংশগ্রহণ করেছেন। চারুকলার অনুষদের শিক্ষার্থীদের সহায়তায় এ আলপনা আঁকা হচ্ছে।

অপরদিকে ধর্ষণের প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর মো. আখতারুজ্জামানের কাছে স্মারকলিপি দেন তারা। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সদস্য সচিব আমানউল্লাহ আমানের নেতৃত্বে সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন। স্মারকলিপি দেওয়ার পর রাজু ভাস্কর্যের পাশে তারা এক সমাবেশের আয়োজন করেন।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের উদ্যোগে প্রতিবাদের অংশ হিসেবে মৌন মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এতে বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবু হুরায়রা বলেন, আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় ধর্ষণের ঘটনা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে। ১৯৮৯ সালের পর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত যদি পরিসংখ্যানগুলো দেখা যায় তাহলে দেখা যাবে যে ধর্ষণের পরিমান দ্রুত গতিতে বাড়ছে। কিন্তু কয়েকটা ঘটনা বাদে কোনো ধর্ষককেই আমাদের বিচার ব্যবস্থা শাস্তির আওতায় আনতে পারেনি। যা আমাদের বিচার বিভাগের ব্যর্থতার পরিচয় বহন করে।

একই বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করার দাবি জানান।