ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ডিভোর্স দেওয়ায় সাবেক স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে পালিয়েছে এমদাদ হক নামের এক যুবক (২৬)। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের দত্তগ্রাম গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত তরুণীর নাম লাকি আক্তার (২৩)।
প্রতিবেশীরা জানায়, ৫ বছর আগে দত্তগ্রাম গ্রামের সাহেদ আলীর মেয়ে লাকি আক্তারকে প্রেম করে বিয়ে করেন তার চাচাতো ভাই এমদাদুল হক। এমদাদ দত্তগ্রামের আহাম্মদ আলীর ছেলে। সে ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করত। লাকি ও এমদাদের সংসারে দুই বছর পূর্বে মাঈশা নামের কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। বিয়ের পর থেকেই নানা বিষয় নিয়ে লাকির ওপর নির্যাতন চালাত এমদাদ। এ কারণে ৫ মাস আগে স্বামীকে ডিভোর্স দেন লাকি। এরপর ঢাকায় গিয়ে একটি পোশাক কারখানায় কাজ নেয়। মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে ঢাকা থেকে বাড়িতে ফেরেন লাকি। খবর পেয়ে ওই বাড়িতে গিয়ে লাকির বুকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান এমদাদ। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় লাকির।
লাকির ভাবি শিপা বেগম জানান, তার ননদ মেয়েকে খাবার খাওয়ানোর সময় এমদাদ ছুরি নিয়ে দৌড়ে আসে। ওই সময় তিনি ও তার চাচী আলেয়া খাতুন তাকে ফেরাতে গিয়ে রক্তাক্ত হন। এরপর সে লাকির বুকে ছুরি বসিয়ে দেয়।
খবর পেয়ে ময়মনসিংহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরীপুর সার্কেল) সাখের হোসেন সিদ্দিকীসহ ঈশ্বরগঞ্জ থানার পুলিশের দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাখের হোসেন সিদ্দিকী বলেন, ‘পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। এমদাদের বাবা আহাম্মদ আলী ও মা মমতাজ বেগমকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে। ঘটনার পর থেকে এমদাদ পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’