আজ শুক্রবার ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রফিক বিশ্বাস || নিজস্ব প্রতিবেদক, তারাকান্দা
  • প্রকাশিত সময় : জানুয়ারি, ১৬, ২০২২, ৬:৫৫ অপরাহ্ণ




ঝুঁকি নিয়ে টিকা নিচ্ছে শিক্ষার্থীরা

 ১২ থেকে ১৮ বছরের শিশুদের করোনার টিকার আওতায় আনতে ময়মনসিংহের তারাকান্দায় শুরু হয়েছে শিক্ষার্থীদের টিকাদান কর্মসূচি। গত ৮ জানুয়ারি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স  কার্যালয়ে তিনটি বুথ খুলে টিকাদান শুরু হলেও সেখানে স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। গতকাল রবিবার এ তিনটি বুথে ১৮৬৬ জন শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, রবিবার সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা টিকা নিতে জড়ো হয়। ফলে একই সময় বিশাল সংখ্যক শিক্ষার্থী জড়ো হওয়ায় বড় ধরনের ভিড় জমে যায়। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছিলেন তাদের অভিভাবকরাও। এ কারণে সেখানে স্বাস্থ্যবিধি পালনের সুযোগ ছিল না। গাদাগাদি করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কার্যালয়ে তিনটি বুথে টিকা নিয়েছে শিক্ষার্থীরা। অনেকের মুখে মাস্কও দেখা যায়নি। এতে করে টিকা নিতে এসে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়তে হয়েছে বিশাল সংখ্যক শিক্ষার্থীকে।
এমন অব্যবস্থাপনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে অভিভাবকরা জানান, একই সঙ্গে এত বিশাল সংখ্যক শিক্ষার্থীকে এক কেন্দ্রে নিয়ে টিকাদানের সিদ্ধান্ত সঠিক হয়নি। এ অব্যবস্থাপনার কারণে করোনামুক্ত হওয়ার বদলে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। কর্তৃপক্ষ চাইলে আরও আগে থেকেই কেন্দ্র সংখ্যা বাড়িয়ে শিক্ষার্থীদের টিকাদানের পরিসর বাড়ানো যেত।
ওমর ফারুক নামে এক অভিভাবক জানান, তার অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে সকাল সাড়ে ১০ টায় টিকাকেন্দ্রে এসেছে। আসার পর থেকে যেভাবে গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে আছে তাতে ভয় বাড়ছে।
এ ছাড়া একাধিক অভিভাবকের অভিযোগ, শিক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা দেওয়া হচ্ছে। ফাইজারের এ টিকা প্রয়োগে বেশ কিছু নিয়ম-নীতি মানতে হয়। কিন্তু এখানে নিয়মের কিছুটা ব্যত্যয় ঘটছে।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে কোনো নিয়মের বালাই নেই। কেউ শারীরিক দূরত্ব মানছে না। সবাই গা ঘেঁষে দাঁড়াচ্ছে। এতে কারও করোনা হয়ে থাকলে অন্যদের মধ্যেও তা সংক্রমিত হবে। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া উচিত ছিল।
গোপালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. দুলাল মিয়া বলেন, গ্রাম থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে টিকা নেওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য ঝুঁকি হয়ে যায়। এলাকা ভিত্তিক বা বিদ্যালয়ে টিকা দিলে ভালো হতো।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবু বকর সিদ্দিক জানান,  শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে গিয়ে টিকা দিতে চেষ্টা করেছি। উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে ৩২ হাজার শিক্ষার্থীর ডাটা পেয়েছি। গতকাল রবিবার পর্যন্ত ১৫ হাজার শিক্ষার্থীকে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।




Comments are closed.

     এই বিভাগের আরও খবর




অনলাইন জরিপ

জাতিসংঘের বিশেষ দূত এলিস ক্রুজ বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুফল সব মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে না। আপনিও কি তা-ই মনে করেন?

View Results

Loading ... Loading ...

পুরনো সংখ্যার নিউজ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০