শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪ -|- ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০-বসন্তকাল -|- ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

জয় দিয়ে বিপিএল টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের মিশন শেষ করলো রংপুর রেঞ্জার্স

প্রকাশিত হয়েছে- শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২০
||
  • প্রকাশিত সময় : জানুয়ারি, ১০, ২০২০, ৯:২৭ অপরাহ্ণ

অনলাইন ডেস্ক :

জয় দিয়ে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের মিশন শেষ করলো রংপুর রেঞ্জার্স। শুক্রবার টুর্নামেন্টের ৩৯তম ম্যাচে ঢাকা প্লাটুনকে ১১ রানে হারিয়েছে রংপুর।

প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪৮ রান করে রংপুর। জবাবে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৮ রান করে ম্যাচ হারে ঢাকা। এই হারের পরও ১১ ম্যাচে ৭ জয় ও ৪ হারে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানেই থাকলো প্লে-অফ নিশ্চিত করা ঢাকা। অপরদিকে ১২ ম্যাচে ৫ জয় ও ৭ হারে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে থেকে বিদায় নিলো রংপুর।

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্বান্ত নেয় ঢাকা প্লাটুন। টসের বিপরীতে ব্যাট হাতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারে সিপনার মেহেদি হাসানের কাছ থেকে ১টি করে চার-ছক্কায় ১০ রান তুলে নেন রংপুরের অধিনায়ক অস্ট্রেলিয়ার শেন ওয়াটসন।

তবে পরের ওভারের তৃতীয় বলে ওয়াটসনকে বিদায় করেন ঢাকার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। ৮ বলে ১০ রান করেন ওয়াটসন। এরপর প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন আরেক ওপেনার মোহাম্মদ নাইম ও দক্ষিণ আফ্রিকার ক্যামেরন ডেলপোর্ট। ডেলপোর্ট ৬ ও নাইম ১৭ রান করে আউট হন। এতে ৫০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে রংপুর।

তবে চতুর্থ উইকেটে মারমুখী মেজাজে ব্যাট করেন ইংল্যান্ডের লুইস গ্রেগরি ও আল-আমিন হোসেন। মাত্র ২৭ বলে ৪৯ রান যোগ করেন তারা। গ্রেগরিকে ৪৬ বলে থামিয়ে জুটিটি ভাঙ্গেন শ্রীলংকার থিসারা পেরেরা। আউট হওয়ার আগে ৩২ বলের ইনিংসে ৫টি চার ও ২টি ছক্কা হাকান গ্রেগরি। ১৯তম ওভারে আউট হন আল-আমিন। তখন দলের রান ১৪০। ২৪ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩৫ রান করেন আল-আমিন। তারপরও উইকেটরক্ষক জহিরুল ইসলামের ২৪ বলে ৩টি চারে ২৮ রানে লড়াকু সংগ্রহ পায় রংপুর। ৩ ওভারে ২২ রানে ৩ উইকেট নেন পেরেরা।

জয়ের জন্য ১৫০ রান তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারে ওপেনার এনামুল হক বিজয়কে হারায় ঢাকা। ৫ রান করে রান আউটের ফঁদে পড়েন তিনি। এরপর শুরুর ধাক্কাটা ভালোভাবে কাটিয়ে উঠেন আরেক ওপেনার তামিম ইকবাল ও পিঞ্চ হিটার মেহেদি। গেল দু’ম্যাচে মাত্র ২ রান করা মেহেদি, আজ ছিলেন বেশ সতর্ক। দেখেশুনে খেলছিলেন তিনি। কিছুটা মারমুখী ছিলেন তামিম। তাই ৩৮ বলে দ্বিতীয় উইকেটে ৪৬ রান জমা করেন তামিম-মেহেদি। তবে এই দু’ব্যাটসম্যানকেই থামিয়ে রংপুরকে খেলায় ফেরার পথ দেখান স্পিনার আরাফাত সানি। ২৪ বলে ৩টি চারে মেহেদি ২০ এবং ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩৩ বলে ৩৪ রান করেন তামিম। দলীয় ৭৯ রানের মধ্যে মেহেদি-তামিমের আউটের পর ঢাকার মিডল-অর্ডারে মিনি ধস নামে। ৪০ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারায় ঢাকা। আর সেখানেই ঢাকার ম্যাচ জয়ের আশা শেষ হয়ে যায়। এ সময় তাসকিন আহমেদ-পাকিস্তানের জুনায়েদ খান ২টি করে ও গ্রেগরি-মুস্তাফিজুর ১টি করে উইকেট শিকার করেন।

তারপরও আশায় ছিলো ঢাকা। কারন উইকেটে ছিলেন মাশরাফি। শেষ ১২ বলে ৩১ রান প্রয়োজন পড়ে ঢাকার। উইকেট ছিলো ১টি। মুস্তাফিজুরের ১৯তম ওভারে ১টি ছক্কায় ৮ রান তুলতে পারেন ঢাকার অধিনায়ক মাশরাফি। তাই শেষ ওভারে ২৩ রান দরকার পড়ে ঢাকার। কিন্তু গ্রেগরির শেষ ওভার থেকে মাশরাফি ১টি চার ও ১টি বাই থেকে পাওয়া বাউন্ডারিতে ১১ রানের বেশি তুলতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১৩৮ রানের সংগ্রহ পায় ঢাকা। রংপুরের জুনায়েদ-তাসকিন-সানি ২টি করে উইকেট নেন।