মঙ্গলবার, ২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-গ্রীষ্মকাল -|- ১৪ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল গোলাম পরওয়ারসহ আটক ৯

প্রকাশিত হয়েছে- সোমবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১
বাহাদুর ডেস্ক || ওয়েব-ইনচার্জ
  • প্রকাশিত সময় : সেপ্টেম্বর, ৬, ২০২১, ৯:৩৬ অপরাহ্ণ

একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত দল জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কমিটির সেক্রেটারী জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদসহ দলটির সাত নেতাসহ ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি অফিস থেকে তাদের আটক করা হয়। পুলিশ দাবি করেছে, রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী গোপন ষড়যন্ত্রমূলক বৈঠক করার সময়ে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়।

গ্রেপ্তার অপর নেতারা হলেন- দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য আবদুর রব, অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহ ও মোবারক হোসাইন এবং শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত। অপর দু’জন অফিসটির কর্মী বলে জানা গেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম জানা যায়নি।

জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ

পুলিশ বলছে, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত একটি বাড়িতে জামায়াত সমর্থিত শ্রমিক সংগঠনের একটি অফিস রয়েছে। ওই অফিসে দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় কমিটির কয়েক নেতা গোপন বৈঠক করছিলেন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ভাটারা থানা পুলিশ ওই অফিসটি ঘিরে ফেলে। এরপর ভেতরে অভিযান চালিয়ে জামায়াদের ওই নেতাদের আটক করা হয়। ওই সময়ে আরও কয়েকজন পালিয়ে যান।

পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মো. আসাদুজ্জামান সমকালকে বলেন, আটক হওয়া জামায়াতের নেতারা অফিসটিতে গোপনে রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রমূলক বৈঠক করছিলেন। তারা দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে গোপনে একত্রিত হন। বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে অভিযান চালিয়ে ৯ জনকে আটক করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আটক হওয়া নেতাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রমূলক গোপন বৈঠকের অভিযোগে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

পুলিশের অপর একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আটক হওয়া প্রায় সবার বিরুদ্ধেই বিভিন্ন সময়ে জ্বালাও-পোড়াও, ভাঙচুর ও নাশকতার মামলা রয়েছে। এসব মামলায় তারা জামিনে রয়েছেন কিনা তা যাচাই করা হচ্ছে। জামিনে না থাকলে পুরনো মামলাগুলোতেও গ্রেপ্তার দেখানো হবে।

এদিকে সন্ধ্যায় জামায়াতের পক্ষ থেকে এক বিবৃতি দিয়ে দাবি করা হয়েছে, তাদের কেন্দ্রীয় সাত নেতাসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দলটির আমীর ডা. শফিকুর রহমানের পক্ষ থেকে পাঠানো ওই বিৃবতিতে দাবি করা হয়, সোমবার জামায়াতের নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের সভাপতিত্বে এক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এ বৈঠক থেকে অন্যায়ভাবে সাতজন কেন্দ্রীয় নেতাসহ ৯ জনকে আটক করা হয়। অবিলম্বে তাদের মুক্তি চেয়ে গ্রেপ্তারের নিন্দা ও প্রতিবাদও জানানো হয় ওই বিবৃতিতে।