শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪ -|- ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০-বসন্তকাল -|- ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

জরুরি সেবার সব মন্ত্রণালয় খোলা হয়েছে

প্রকাশিত হয়েছে- রবিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২০
||
  • প্রকাশিত সময় : এপ্রিল, ২৬, ২০২০, ৫:১৪ অপরাহ্ণ

অনলাইন ডেস্ক

করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় কয়েক দফায় সাধারণ ছুটি বাড়ানো হলেও রবিবার (২৬ এপ্রিল) জরুরি সেবা দানকারী সব মন্ত্রণালয় খুলে দেয়া হয়েছে। তবে প্রতিটি মন্ত্রণালয়েই সীমিত পরিসরে লোকবল দিয়ে জরুরি কাজ চলছে।

রবিবার মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা অফিস করছেন।

দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ও সচিব, কৃষি মন্ত্রী ও সচিব, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ও সচিব, প্রাণিসম্পদ সচিব, তথ্যসচিব, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী, বাণিজ্য সচিব অফিস করছেন।

দুর্যোগকালীন সহায়তা দিতে সরকারের কাজ অব্যাহত রাখার অংশ হিসেবে কিছু অফিস খোলা রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মোঃ. তাজুল ইসলাম। এসময় তিনি বলেন, ত্রাণ নিয়ে অনিয়ম এখন নিয়ন্ত্রণে আছে, ত্রাণ নিয়ে কোনো অনিয়ম সহ্য করা হবে না।

কৃষি মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, আগে থেকেই মাঠ পর্যায়ের অফিসগুলো খোলা ছিল। এখন মন্ত্রণালয়ের বেশির ভাগ ডেস্কের কর্মকর্তা-কর্মচারী অফিস করছেন।

করোনার কারণে সাধারণ ছুটি আরো ১০ দিন বাড়িয়েছে সরকার। ২৬ এপ্রিল থেকে ৫ মে পর্যন্ত ছুটি বাড়িয়ে ২৩ এপ্রিল এ আদেশ জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তবে এ ছুটিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অধীন দপ্তরসহ ১৮টি মন্ত্রণালয়-বিভাগের দপ্তরসমূহ সীমিত পরিসরে খোলা রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়, দেশব্যাপী করোনা ভাইরাস মোকাবেলা এবং এর ব্যাপকতা বিস্তার রোধকল্পে অধিকতর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সরকার ২৬ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল এবং ৩-৫ মে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। ওই ছুটির সঙ্গে আগামী ১ ও ২ মের সাপ্তাহিক ছুটিও সংযুক্ত থাকবে।

সাধারণ ছুটি চলাকালীন ঢাকাসহ সব বিভাগ এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগসহ ১৮টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অধীন দপ্তরসমূহ সীমিত পরিসরে খোলা রাখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়ার পর গত ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল এবং পরে ৫-৯ এপ্রিল, পরে ১৪ এপ্রিল এবং সর্বশেষ ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়েছিল। এরপর ৫ মে পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়েছে।