হায়, ১৫, আগষ্ট,
তুমি বাঙালির শোক,
তুমি যোগাও প্রেরণা, শক্তি, সাহস।
হে বাঙালি,
আজ তোমাদের কান্নার দিন,
কাঁদো অবিরাম হে এতিম, হে অর্বাচীন !
তোমাদের অশ্রুতে বরষার
খরস্রোতা নদে আজ বন্যা জাগে,
শরতের সাদা মেঘ আর কাশফুলে
কবিতা ফুটে যেন ঘন কৃষ্ণ মূর্তিরাগে।
আজ কি কেবল কাঁদবে
সেই বত্রিশ, ধানমন্ডি ?
না, তোমার আমার হৃদয়ের সীমানা
পেরিয়েছে আজ ক্ষুদ্রগণ্ডি।
বত্রিশ আজ, বাংলার সকল ধানীমাঠ
রক্তবোনা মাঠে ফলা সোনাধান,
বত্রিশ, নদী আর খালে বিলে
শাপলা, শালুক ঝিলমিল স্রোতটান।
বত্রিশ, সকল সবুজঘেরা ঘনবনে
শালিক, ফিঙ্গে, ঘুঘুর কূজন,
বত্রিশ, সতেরো কোটি বাঙ্গালীর
প্রস্ফুটিত কোমল মন।
চেয়ে দেখো,সুহৃদয় অনিমেষ
বত্রিশ আজ, সমগ্র বাংলাদেশ।
বঙ্গবন্ধু, তুমি ফিদেল ক্যাস্ট্রোর
দেখা হিমালয়,
আগস্ট এলেই লজ্জায়
বাঙালির মাথা নত হয় !
দূষ্কৃতিকারীরা আমাদের ললাটে
দিয়েছে কলংকের লেপনী,
অবোধহেতু আমরা
তোমায় রক্ষা করতে পারিনি।
দিতে পারিনি তোমার এনে দেয়া
স্বাধীনতার যথার্থ প্রতিদান,
তোমার আদর্শ লালনই হোক
বাঙালির দায়মুক্তির একমাত্র সোপান।
কবিতা : বত্রিশ ও বঙ্গবন্ধু
এম এ ওয়াহেদ (ওয়াজেদ)