শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-গ্রীষ্মকাল -|- ১১ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

গৌরীপুরে যৌতুক ও নারী নির্যাতন মামলায় পুলিশ কন্সটেবল জেল হাজতে

প্রকাশিত হয়েছে- মঙ্গলবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
প্রধান প্রতিবেদক || দৈনিক বাহাদুর
  • প্রকাশিত সময় : ফেব্রুয়ারি, ১৫, ২০২২, ৮:০৬ অপরাহ্ণ

বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে ময়মনসিংহের গৌরীপুরে স্ত্রীর দায়েরকৃত নারী নির্যাতন ও যৌতুকের মামলায় সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি/২০২২) পুলিশ কন্সটেবল হুমায়ন কবির (৩১) গেলো কারাগারে। ময়মনসিংহের ৩য় বিচারিক আদালতের বিজ্ঞ বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রওশন জাহানের আদালতে শুনানী শেষে তাকে কারাগারে প্রেরণের এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ময়মনসিংহ কোর্ট ইন্সপেক্টর পূসন কান্তি দাস।

মামলার বাদীপক্ষে ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট নুরুল হক শুনানীতে অংশ নেন। তিনি জানান, উপজেলার সহনাটী ইউনিয়নের ধোপাজাঙ্গালিয়া গ্রামের মো. আব্দুল মান্নানের কন্যা মোছা. রেবেকা সুলতানার সঙ্গে ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় রীতিনীতি অনুযায়ী ২০১২সনের ৪এপ্রিল বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন একই ইউনিয়নের ঘাটেরকোনা গ্রামের মো. হাবিবুর রহমানের পুত্র হুমায়ুন কবির (২৮)। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের টাকার জন্য রেলওয়ে পুলিশ বিভাগে কর্মরত পুলিশ কন্সটেবল হুমায়ুন কবির তার স্ত্রী’র ওপর অমানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছি। এ মামলায় শুনানী শেষে হুমায়ুন কবিরকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন বিজ্ঞ বিচারক।

নির্যাতনের শিকার নারী এ প্রতিনিধিকে জানান, তার স্বামী কুমিল্লা জেলার লাকসাম রেলওয়ে থানার কন্সটেবল হিসেবে কর্মরত আছেন। নির্যাতনের ঘটনায় বিচার প্রার্থী হয়ে বিভাগীয় অভিযোগ দায়ের করি। সেই অভিযোগের ঘটনায় ২০২১সনের ১৬জুলাই লাকসাম থানায় সাক্ষ্য দিতে গেলে তার স্বামী সেখানেও নির্যাতন করে। এরপর তাকে সড়ক দুর্ঘটনা আহত হয়েছে বলে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দু’দিন পর জ্ঞান ফিরে আসে। তিনি আরো জানান, বিভাগীয় অভিযোগ দেয়ায় নির্যাতনের মাত্রা আরো বেড়ে যায়। এরপর আমি বাধ্য হয়ে ময়মনসিংহে আদালতে মামলা করি। এ মামলার হাজিরা দিয়ে গৌরীপুরে আসার পথে ২০২১সনের ২৪নভেম্বর তারিখে আবারও গৌরীপুর-ময়মনসিংহ সড়কের তাঁতকুড়া এলাকায় পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়। নির্যাতনের শিকার হয়ে ৫দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি/২০২২) ভিকটিম রেবেকা সুলতানা জানান, তিনি এক কন্যা সন্তান নিয়ে অত্যন্ত কষ্টে দিনযাপন করছেন। চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটছে। তিনি মামলা হাজিরা বা ঘর থেকে বের হতেই আতঙ্কে আছেন।
এ বিষয়ে জানতে লাকসাম রেলওয়ে থানার সরকারি নাম্বারে একাধিকবার কল দিলেও ফোন রিসিভ করেননি। চট্টগ্রাম রেলওয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল গফুর জানান, পুলিশ সদস্য হুমায়ুন কবীরের স্ত্রী রেবেকা সুলতানার দেয়া অভিযোগের তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। বিজ্ঞ আদালত হুমায়ুন কবীরকে জেলহাজতে প্রেরণ করায় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।