‘গৌরীপুরে মৃত মিটারে কৃষকের নামে ৮লাখ ৩৩হাজার টাকার বিদ্যুৎ বিল’, মৃত মিটারে জীবীত বিল!সহ নানা শিরোনামে দৈনিক যুগান্তর, দৈনিক স্বজন, দৈনিক আজকালের খবর, দৈনিক সংবাদ, দৈনিক বাহাদুর, দৈনিক ময়মনসিংহের কাগজ ও বিভিন্ন অনলাইনে সংবাদ প্রকাশের প্রেক্ষিতে এ ভৌতিক বিদ্যুৎ বিল থেকে মুক্তি পেলেন কৃষক মো. সাইফুল ইসলাম। তিনি উপজেলার ২নং গৌরীপুর ইউনিয়নের বেকারকান্দা গ্রামের মৃত মীর হোসেনের পুত্র। ভৌতিক বিদ্যুৎ বিলের ঘটনা তদন্তের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগ তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তার প্রেক্ষিতে বুধবার (৩০মার্চ/২০২২) তাকে ১হাজার ২৪টাকার চুড়ান্ত বিল প্রদান করা হয়।
এ বিল ওইদিনেই চুড়ান্ত নিষ্পত্তি বিলের টাকা জনতা ব্যাংক লিমিটেড গৌরীপুর শাখার ব্যবস্থাপক মো. ফয়েজ আহমেদ খান রাসেলের নিকট তুলে দিয়ে ভৌতিক বিল থেকে মুক্তি পান কৃষক।
এ কমিটির প্রধান করা হয়েছে গৌরীপুরে নবযোগদানকৃত আবাসিক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ আল নোমান। কমিটির অপর সদস্য ২জন হলেন প্রকৌশলী মো. বিল্লাল হোসেন ও মো. শরিফুল ইসলাম।
গৌরীপুরে আবাসিক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ আল নোমান জানান, কৃষকের অব্যবহৃত মিটারটিতে কোনো বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। তাকে ডিমান্ডচার্জ হিসেবে ১হাজার ২৪টাকার বিদ্যুৎ বিল দেযঅ হয়েছে।
কৃষক মো. সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সাংবাদিকদের লেখালেখির জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নজর আসে। আজ সেই বিদ্যুৎ বিল থেকে মুক্তি পেলাম।
সরজমিন ও দালিলিক কাগজপত্রে দেখায় যায়, বেকারকান্দা গ্রামের মৃত মীর হোসেনের পুত্র মো. সাইফুল ইসলাম একজন কৃষক। তিনি নিজের জমিতে পানি উত্তোলনের জন্য সেচ লাইন গ্রহণ করেন। তার সেচ মিটার নং ই-২৮৬৯৪০, গ্রাহক নং ৭৫৭৪৪৫৩৮, হিসাব নং ৩১৩/৪২৯৪। তার এ বিদ্যুৎ লাইনটি ২০১৯সনে সকল বকেয়া পরিশোধ করে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। এরপর থেকেই ওই বিদ্যুৎ মিটারটি তারবিহীন অবস্থায় বিদ্যুতের খুঁটিতে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন মিটারটিতে জং ধরছে। খুঁটিতে থাকা কাঠও পচে গেছে।
দেয়া বিদ্যুৎ বিল পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০২১সালের এপ্রিল মাসে ২২হাজার ২৫০টাকা, মে মাসে ২হাজার ৬৮৪টাকা, জুন মাসে ২হাজার ৬৮৪টাকা, জুলাই মাসে ৪লাখ ১৬হাজার ১৮৭ টাকা, আগস্টে ২৩হাজার ৩৫৯টাকা, সেপ্টেম্বরে ১লাখ ৩৭হাজার ৩০৮টাকা, অক্টোবরে ১লাখ ৩৯হাজার ১৭৯টাকা, নভেম্বরে ১লাখ ৩৯হাজার ৮৩৯টাকা এবং ডিসেম্বর মাসে ১