ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার বোকাইনগর ইউনিয়নের নিজামাবাদ বাসাবাড়ি এলাকায় মামলার আসামীরা জামিনে এসে বাদীর বাবা আব্দুল হামিদ খান পাঠান ওরফে তারা মিয়া (৭০) ধরে নিয়ে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় রোববার (৬ নভেম্বর/২০২২) দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাবাকে নির্যাতনের ঘটনায় বিচার চেয়ে মো. রুবেল খান পাঠান বাদী হয়ে শনিবার গৌরীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
গ্রেফতার ও মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ খান আব্দুল হালিম সিদ্দিকী। তিনি জানান, বৃদ্ধকে নির্যাতনের ঘটনায় মামলার এক নম্বর আসামী মো. হাবিবুর রহমান আবু (৪২) ও অপর আসামী মোছা. আছিয়া খাতুন (৩৮) কে গ্রেফতার করে রোববার বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
মামলার বাদী মো. রুবেল খান পাঠান জানান, বুধবার আসামী আমার একটি মামলা আসামীরা জামিনে আসে। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মামলা করায় ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বাবাকে মো. হাবিবুর রহমান আবু, মো. নয়ন খান পাঠান, মোছা. আছিয়া খাতুন, মো. আশিক খান পাঠান, হালিমা আক্তারসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩জন মিলে ধরে নিয়ে যায়। তিনি আরও জানান, ওরা ধরে নিয়ে তার বৃদ্ধ বাবাকে মারপিট করে। টেনে-হেঁচড়ে মাটিতে ফেলে দিয়ে মেহগণি গাছের সঙ্গে বেঁধে তারা নির্মমভাবে নির্যাতন চালায়। নির্যাতনে মুখের ৩টি দাঁত ও চোখে জখম হয়।
জানা যায়, হাবিবুর রহমান আবু গংদের সঙ্গে আব্দুল হামিদ খান পাঠান ওরফে তারা মিয়ার সঙ্গে জমি-জমা সংক্রান্ত দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছে। মৃত খালে খান পাঠানের পুত্র আব্দুল হামিদ খান পাঠান ওরফে তারা মিয়া বাদী হয়ে এ বছরের ২০জানুয়ারি ১৪৪ধারা জারির জন্যে ১৫৫নং মামলা দায়ের করে। নিজামাবাদ মৌজার এসএ ১৪১৪ ও বিআরএস ৫২১০ ও ৫২১১ দাগের ৩০জমিতে নিয়ে ময়মনসিংহ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়াও শান্তিশৃঙ্খলা বিঘ্নের আশংকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১০৭ধারা আরও একটি মামলা করেন তিনি। গত ২৭জুলাই ধানের চারারোপনে বাঁধা দেয়াকে কেন্দ্র করে মো. রুবেল মিয়া বাদী হয়ে গৌরীপুর থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলার প্রতিবেদন ৩ আগস্ট বিজ্ঞ আদালতে প্রদান করেছে পুলিশ। আসামীদের অপর হামলা-লুটপাটের ঘটনায় ২ আগস্ট রুবেলের স্ত্রী ইয়াসমিন বাদী হয়ে ময়মনসিংহ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৪নং আদালতে আরও একটি মামলা দায়ের করেন। রুবেল মিয়া জানান, আসামীদের অত্যাচার-নির্যাতন থেকে বাঁচাতে একাধিকবার আইনের আশ্রয় নিয়েও আমরা বাঁচতে পারছি না।