শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-গ্রীষ্মকাল -|- ১১ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

গৌরীপুরে পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২১
তাসাদ্দুল করিম || ওযেব ইনচার্জ
  • প্রকাশিত সময় : সেপ্টেম্বর, ১, ২০২১, ১০:৩০ অপরাহ্ণ

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে স্নাতক পড়ুয়া এক কলেজছাত্রীকে (২১) ধর্ষণের অভিযোগে মোঃ রানা (৩০) নামে এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে গৌরীপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য উপজেলার অচিন্তপুর ইউনিয়নের খালিয়াজুরী গ্রামের মজনু মিয়ার ছেলে। সে নরসিংদীর পলাশ থানায় কনস্টেবল পদে কর্মরত। ভুক্তভোগী পরিবার ও মামলা সূত্রে সাথে কথা বলে জানা গেছে, পুলিশ সদস্য মোঃ রানা ওই কলেজছাত্রীর বড় ভাইয়ের বন্ধু। বন্ধুত্বের সুবাদে বাড়িতে আসা-যাওয়ার করতে গিয়ে ওই কলেজছাত্রীর সাথে রানার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।

গত শুক্রবার (২৭ আগস্ট) রাতে বাড়িতে একা পেয়ে কলেজছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে রানা। এই ঘটনার পর কলেজছাত্রীর মা বাড়িতে এসে রানা দেখতে পেয়ে রাতের বেলায় তাকে বাড়িতে আসতে নিষেধ করে। পরের দিন শনিবার (২৮ আগস্ট) রাতে রানা মুঠোফোনে যোগাযোগ করে ওই কলেজছাত্রীকে বাড়ির পাশে একটি নার্সারিতে নিয়ে ধর্ষণ করে। এসময় স্থানীয়রা তাদের আপত্তিকর অবস্থায় আটক করলে রানা কৌশলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার কলেজছাত্রী খালিয়াজুরী গ্রামে রানার বাড়িতে এসে অবস্থান নিয়ে বিয়ের দাবিতে দুইদিন অনশন শুরু করে। কিন্ত রানার পরিবার ওই বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখান করে। পরে কলেজছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে বাদী হয়ে গৌরীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী সাংবাদিকদের বলেন তিন বছর ধরে রানার সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক। বিয়ের প্রলোভনে সে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে। আমি এই ঘটনার বিচার সুষ্ঠু বিচার চাই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুঠোফোনে পুলিশ সদস্য রানা মিয়া বলেন শোনেছি আমার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আইনের মাধ্যমে প্রমাণ হবে কে নির্দোষ ও কে দোষী। এই মুহূর্তে এই বিষয়ে আর কোন মন্তব্য করতে চাচ্ছিনা। গৌরীপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ভিকটিমকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশ মামলাটি তদন্ত করছে। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের বিষয়ে থানায় বার্তা পাঠানো হয়েছে।