গৌরীপুরে নির্বাচনের ফলাফলকে কেন্দ্রে করে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে মারধর করার অভিযোগে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এম এ কাইয়ুমকে আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে এ ঘটনাটি ঘটেছে। রাতেই আইন শৃংখলা বাহীনি কাইয়ুমকে আটক করে পরে সোমবার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সজল চন্দ্র সরকার বাদী হয়ে গৌরীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।মামলার আসামী করা হয়েছে ডৌহাখলা ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এম এম কাইয়ুমসহ অজ্ঞাত আরো ১৫/২০ জনকে।
উপজেলা নির্বাচন অফিস ও মামলা সুত্রে জানাযায় রোববার (২৬ ডিসেম্বর ) চতুর্থ ধাপে গৌরীপুর উপজেলার ১০ টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ভোট গ্রহন শেষে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সজল চন্দ্র সরকার ফলাফল ঘোষনা কক্ষে বসে ভোটকেন্দ্রের তথ্য সংগ্রহ করে ফলাফল ঘোষনা করছিলেন। এ সময় ডৌহাখলা ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এম এ কাইয়ুম ও তার সহযোগীরা ফলাফর ঘোষনা কক্ষে এসে নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে তাঁতকুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের ফলাফলের কপি চান। তকন নির্বাচন কর্মকর্তা তাদের জানান ওই কেন্দ্রের ফলাফলের কপি এখনো আসেনি। পরে কাইয়ুম ও তার সহযোগীরা উত্তেজিত হয়ে নির্বাচন কর্মকর্তাকে মারধর ও ফলাফল ঘোষনার কক্ষে হামলা ও ভাংচুর করে। ওই দিন রাত ১১ টায় ডৌহাখলা ইউনিয়নের ভোট গনণা শেষে এম এ কাইয়ুমকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষনা করা হয়।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সজল চন্দ্র সরকার বলেন হামলা ও ভাংচুরের ঘটনার পরপরই উধ্বতর্ন কতৃপক্ষের নির্দেশে আইনের আশ্রয় নিয়েছি। এই মুহুর্তে এর চেয়ে বেশী কিছু বলতে পাছি না।
গৌরীপুর থানার ওসি খান আব্দুল হালিম সিদ্দিকী জানান নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ও তাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।