শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪ -|- ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০-বসন্তকাল -|- ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

গৌরীপুরে তাল্লু স্পিনিং মিলস লিমিটেডের শ্রমিকরা বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলন

প্রকাশিত হয়েছে- বৃহস্পতিবার, ১৪ মে, ২০২০
||
  • প্রকাশিত সময় : মে, ১৪, ২০২০, ১২:৩০ পূর্বাহ্ণ

স্টাফ রির্পোটার :
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে বুধবার (১৩ মে/২০২০) তাল্লু স্পিনিং মিলস লিমিটেডের শ্রমিকরা বকেয়া বেতন-ভাতা ও ঈদ বোনাসের দাবিতে কর্মবিরতি ঘোষণা দিয়ে আন্দোলনের নামে। মিলের গেইটের ভিতরে অবস্থান কর্মসূচী ও এক পর্যায়ে গৌরীপুর-কলতাপাড়া সড়কে বিক্ষোভ ও অবরোধ কর্মসূচীও পালন করে। রাস্তায় কিছুক্ষণ থাকার পর আবারও মিলের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচী পালন করেন।
বুধবার সকালে শ্রমিকরা বেতন-ভাতার দাবিতে কাজে যোগ দেয়নি। শ্রমিকও কাজে যোগ না দেয়ায় মিলে অচল অবস্থায় বিরাজ করে। রাস্তা অবরোধ করায় জরুরী পন্যবাহী গাড়ী চলাচলেও বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। মিলের শ্রমিক আব্দুল জব্বার জানান, তাদের অনেকের ফেব্রুয়ারি মাসের বেতনও বকেয়া রয়েছে। হাজেরা আক্তার জানান, মার্চ মাসের বেতনও পায়নি। মিলের আরেক শ্রমিক তোফায়েল আলম জানান, তারা কখনও নির্ধারিত দিনে বেতন পান না। প্রতিমাসে বেতন নেয়ার জন্য আন্দোলন করতে হচ্ছে। গতমাসেও আন্দোলন করেছি।
খবর পেয়ে ছুটে আসেন গৌরীপুর থানার সাব ইন্সপেক্টর মোঃ নজরুল ইসলাম, মোঃ সোলায়মান। করোনা পরিস্থিতি ও ঈদ আগত হওয়ায় পুলিশ বিভাগ উদ্যোগী হলে মিল কর্তৃপকক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। প্রায় ৮ঘন্টা পর সাব-ইন্সপেক্টর নজরুল ইসলাম শ্রমিকদের জানান, আগামী সোমবার এপ্রিল ও বিগত বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ করবে। এ প্রতিশ্রুতির প্রেক্ষিতে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন। সোমবারের মধ্যে বেতন না পেলে লাগাতার কর্মসূচীর হুশিয়ারী নেন শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মিল শ্রমিক জানান, তাদের বেতন প্রথমে প্রত্যেক মাসের ৫তারিখ, পরে ১০তারিখের মধ্যে দেয়া হতো। এখন ফেব্রুয়ারি আর মার্চ দু’মাস চলে গেছে, বেতন দেয়নি। এই মাসেরও ২১তারিখ আজ বেতন পাচ্ছি না। কখন বেতন পাবো তাও অনিশ্চিত! এদিকে মিলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনও ফেব্রুয়ারি মাস থেকে বকেয়া থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্যবস্থাপক (ইলেকট্টিক বিভাগ) মোঃ ইসমাহিল হোসেন। তিনি জানান, শ্রমিকদের শুধু এপ্রিল মাসের বেতন বকেয়া, কয়েকজনের মার্চ মাসেরও আছে।
অপরদিকে কলতাপাড়া গ্রামের আইয়ুল হক জানান, এ মিলে প্রতিবার বেতন নিতে শ্রমিকদের আন্দোলন করতে হচ্ছে। এ আন্দোলনের কারণে এলাকাবাসীও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। মিলের আরেক শ্রমিক রাহিমা খাতুন জানান, শ্রম আইনে বেতন পাচ্ছি না, বাড়ছে না প্রতিমাসেও ইনক্রিমেনও। ব্যবস্থাপক (ইলেকট্টিক বিভাগ) মোঃ ইসমাহিল হোসেন জানান, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং শ্রমিকদের বেতনের বিষয়টি মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। সোমবারের মধ্যে দিয়ে দেয়া হবে। গৌরীপুর থানার সাবইন্সপেক্টর মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, শ্রমিক ও মিল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সমাধান করে দিয়েছি। শ্রমিকরা যেন আর কখনও রাস্তায় না আসে সে ব্যাপারেও সতর্ক করা হয়েছে।