শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪ -|- ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০-বসন্তকাল -|- ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

গৌরীপুরে জাল দলিলের ঘটনায় প্রধান আসামী আব্দুল কদ্দুছ জেল হাজতে!

প্রকাশিত হয়েছে- মঙ্গলবার, ২৩ মে, ২০২৩
প্রধান প্রতিবেদক || দৈনিক বাহাদুর
  • প্রকাশিত সময় : মে, ২৩, ২০২৩, ১০:০২ অপরাহ্ণ

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে জাল দলিল তৈরির অভিযোগে সোমবার (২২ মে/২০২৩) এ চক্রের মূলহোতা হাফেজ মো. আব্দুল কদ্দুছকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে বিজ্ঞ আদালত। তিনি উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নের পানাটি গ্রামের হোসেন আলী মুন্সীর পুত্র। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৪নং আমলী আদালতের বিচারক ড. রাশিদ হোসাইনের আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

মরিচালী গ্রামের মৃত ফজর আলীর পুত্র মো. আব্দুস সোবহান জানান, মরিচালী মৌজার বিআরএস খতিয়ানের ১৪৫ এর ৫৯৯ দাগ নম্বরে দেড় শতাংশ ও ৬১১নং দাগে ৮শতাংশ সংক্রান্ত মামলা চলছে। এ জমি আত্মাসাৎ করতে হাফেজ মো. আব্দুল কদ্দুছ ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে ২০২০সনের ২৪ জানুয়ারি ছালেমা খাতুন, দুলেনা খাতুন, হাজেরা খাতুনের নিকট থেকে দলিল করে নেন। এ ঘটনায় বিজ্ঞ আদালতে মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় নিষেধাজ্ঞা লঙ্গন করে ভুয়া দলিল তৈরি করে। এ বিষয়ে তিনি অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে গৌরীপুর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার হেলেনা পারভীন ও তৎকালীন সহকারী (ভূমি) মোসা: নিকহাত আরা পৃথক তদন্তে ভূমি অফিসের ২৭২৮ (আইএক্স-আই) ২০২১-২২ নং নামজারী ও জমা খারিজ মোকদ্দমা এম-৪৯/০২/১৭নং যে ডিসিআরের কপি, এক্স ৮৬৪৪৮১ নং ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের রশিদ জাল প্রমাণিত হয়।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে উপজেলা সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের মোহরার মনিন্দ্র চন্দ্র দাস বাদী হয়ে ২০২২সনের ১নভেম্বর গৌরীপুর থানায় মূলহোতা হাফেজ মো. আব্দুল কদ্দুছকে প্রধান আসামী করে ৭জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার অন্য আসামীরা হলেন জমিদাতা ছাহেরা ওরফে সাহারা খাতুন, ছুলেমা খাতুন, হাজেরা খাতুন, জাহেরা ওরফে জাহানারা খাতুন, দলিল লেখক মো. গোলাম হাচিবেশ শাহীদ মুন্সী ও সাবরেজিষ্ট্রি অফিসের নৈশ্য প্রহরী কাউসার মিয়া।

দলিল লেখক মো. গোলাম হাচিবেশ শাহীদ মুন্সী এ প্রতিনিধিকে জানান, বিআরএস রেকর্ডের কপি এবং জাতীয় পরিচয়পত্র ভেরিফাইয়ের মাধ্যমে তিনি দলিল করেছেন। জমি গ্রহিতা হাফেজ আব্দুল কদ্দুছ সব কাগজপত্র নিজে এনে দিয়েছেন। রেজিষ্ট্রি অফিসে খাজনার রশিদ তৈরির কোনো সুযোগ নেই।
আরেকটি সূত্র জানায়, সাবষ্ট্রি অফিসে ভুয়া বিআরএস, খাজনার রশিদ, ডিসিআর কপি হরহামেশা পাওয়া যায়। দলিল লেখকের একটি চক্র এ কাজে জড়িত। ওই সূত্র আরো জানায়, ২০১০সনের ১৪জুন তারিখে সহনাটী ইউনিয়নের জমি বিক্রেতা মো. ফজলু মিয়া ১০৮১নং দলিল মূলে মোহাম্মদ অলি উল্লাহকে ১৫শতাংশ জমি বিক্রি করেন। ওই দলিলে ব্যবহৃত ১১৫নং বিআরএস কাগজ পরবর্তী জাল বলে প্রমাণিত হয়। আবার এই অলি উল্লাহ বিআরএস রেকডি ভূমির মালিক দেখিয়ে ২০১১সনের ২০জানুয়ারি তারিখে মো. নজরুল ইসলামের নিকট ২২৬নং দলিল মূলে বিক্রি করেন। এ দলিলেও ব্যবহৃত বিআরএস কপি ও অন্যান্য কাগজপত্র ছিলো জাল! এ প্রসঙ্গে দু’টি দলিলের সঙ্গে সম্পৃক্ত দলিল লেখক আব্দুল হান্নান জানান, তখনকার সময়ে বিআরএসের এসব কপি সাবরেজিষ্ট্রি অফিসে পাওয়া যেত। অনেকদিন আগে হয়েছে তাই এই মুর্হূতে এরবেশি কিছু বলতে পারছি না।