বুধবার, ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-গ্রীষ্মকাল -|- ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

গৌরীপুরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর চাল হরিলুট!

প্রকাশিত হয়েছে- সোমবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২০
||
  • প্রকাশিত সময় : এপ্রিল, ১৩, ২০২০, ৭:৪১ অপরাহ্ণ

গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি ঃ
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের খাদ্য অধিদপ্তরের দেয়া ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায় খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর অধিনে চাল একের পর এক ডিলারের বিরুদ্ধে হরিলুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। চালের দাবিতে সোমবার (১৩এপ্রিল/২০২০) মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে রামগোপালপুর ইউনিয়নের চাল বঞ্চিত সুবিধাভোগীরা। তাদের অভিযোগ ৫৩৫ জনের বরাদ্দকৃত ১৬হাজার ৫০ কেজি চাল ডিলার কালো বাজারে বিক্রি করে দিয়েছেন।
অপরদিকে একই কর্মসূচীর ২নং গৌরীপুর ইউনিয়নের ‘তালিকায় নাম আছে তারপরেও ৪বছর চাল পায়নি’ তাদের নামে নতুন কার্ড ইস্যু করেছে উপজেলা প্রশাসন। সুবিধাভোগীদের ৪বছর চাল কে নিয়েছে, তা জানতে কারণ দর্শানোর পত্র দেয়া হয়েছে এ কর্মসূচীর ডিলার ২নং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রুকনুজ্জামান পল্লবকে।
রামগোপালপুর ইউনিয়নের গুজিখাঁ গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের পুত্র মোঃ হাছেন আলী জানান, সোমবার তাদেরকে ৩০ কেজি করে চাল দেয়ার কথা ছিলো। কার্ড নিয়ে ৯এপ্রিল চাল বিতরণে তারিখ লিখে বিদায় দিয়েছে। একই অভিযোগ করেন মোছা রুমা আক্তার, মোছাঃ রেজিয়া বেগম, ফরিদা বেগম, মোছাঃ উকিল জান, মোঃ হোসেন আলী, মালেকা খাতুন, মোঃ হেলেনা খাতুন, দুদু মিয়াসহ দুই শতাধিক সুবিধাভোগী। সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে এসব দুর্নীতির বিরুদ্ধে উপজেলা পরিষদে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেন। এ প্রসঙ্গে ডিলার মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, তার অধিনে ৫৩৫জনকে চাল দেয়া হয়েছে। টাকা দেয়ার বিষয়টি মিথ্যে। খবর পেয়ে ছুটে আসেন রামগোপালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল্লাহ আল আমিন জনি, বিক্ষুব্ধ লোকজনের সঙ্গে কথা বলে অভিযোগ সত্যতা নিশ্চিত করেন। আজ মঙ্গলবার সবাইকে চাল দেয়া হবে বলে প্রতিশ্রæতিও দেন।
এ দিকে ২নং গৌরীপুর ইউনিয়নের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর অধিনে ১০ কেজি’র চাল ৪বছর যাবত অনেক কার্ডধারী না পাওয়ায় তদন্তে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেঁজুতি ধর। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ মোফাজ্জল হোসেন খান, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বিপ্লব কুমার সরকার ও গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ বোরহান উদ্দিন।
অভিযোগে জানা যায়, করোনা ভাইরাসের কারণে এ বছর প্রশাসনিক সিদ্ধান্তক্রমে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর অধিনে প্রত্যেক ডিলারের দোকানের সামনে সুবিধাভোগীদের তালিকা জনসম্মুখে প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত তালিকায় ২নং গৌরীপুর ইউনিয়নের প্রায় ৬০জনের নাম থাকলেও তারা চাল পাননি। বিগত ৪বছর যাবত এ চাল কে নিলো; ঘটনা তদন্ত ও সুবিধাভোগীদের চাল ফেরতের দাবিতে চাল বঞ্চিতরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও তাদের চাল ফেরত দেয়ার দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি দেন।
এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে রোববার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর ডিলার মোঃ রুকুনুজ্জামান পল্লবের দোকানে যান তদন্ত কমিটি। ডিলার ও চালবঞ্চিতদের সঙ্গে আলোচনা করেন। তদন্ত কমিটির প্রধান ইউএনও সেঁজুতি ধর চাল পায়নি এমন ৩৮জনের নামে তাৎক্ষনিক নতুন কার্ড ইস্যু করেন। তাদেরকে এ মাসে বিনামূল্যে ৩০ কেজি করে চাল প্রদানের জন্য ডিলারকে আদেশ দেন। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বিপ্লব কুমার জানান, এ কর্মসূচীর অধিনে প্রত্যেক সুবিধাভোগী বছরে ৫বার ৩০ কেজি করে ১৫০ কেজি চাল প্রতি কেজি ১০টাকা মূল্যে পাওয়ার কথা ছিলো। ইউএনও স্যারের নির্দেশে ডিলারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। ডিলার মোঃ রুকুনুজ্জামান পল্লব জানান, প্রত্যেক মাসে কার্ডধারী বা তার স্বজনরা চাল নিয়েছে