2. গৌরীপুর, রাজনীতি, স্লাইড
3. গৌরীপুরে আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রচারণায় নামলেন শফিকুল ইসলাম মিন্টু

গৌরীপুরে আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রচারণায় নামলেন শফিকুল ইসলাম মিন্টু

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গৌরীপুর উপজেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনকে ঘিরে সভাপতি ও সম্পাদক পদে সম্ভাব্যপ্রার্থীরা কেন্দ্র ও তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে এবার প্রচার-প্রচারণায় নেমেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গৌরীপুর উপজেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শফিকুল ইসলাম মিন্টু।
ছাত্রজীবনে তিনি ছাত্র রাজনীতিতে যোগ দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উদ্ভূদ্ধ হয়ে ১৯৮৪ সালে ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করেন এবং ছাত্রলীগের বিভিন্ন পদে আসীন হন। উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি ৯০’র স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে গৌরীপুর উপজেলা ও উত্তর ময়মনসিংহে সংগঠক হিসেবে কাজ করেছেন এবং স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে বলিষ্ট ভূমিকা রাখেন। সাংবাদিকতা ও রাজনীতির সাথে মিশে থেকে স্থানীয় রাজনীতিতে অনেক অবদান রয়েছে।
তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতিতে পরিক্ষীত সৈনিক। স্বৈরচারবিরোধী আন্দোলন ও জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রত্যেকটি আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী। তিনি একাধারে সাংবাদিক, শিক্ষানুরাগী ও সফল ব্যবসায়ী।
রাজনীতি ও সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি একজন সাংস্কৃতিক কর্মী ও শিক্ষাবিদ। বর্তমানে গৌরীপুর তথা উত্তর ময়মনসিংহের সেরা সংগঠন (গৌরীপুরের সকল সাংস্কৃতিক সংগঠনের ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্ম) ’বাংলা মঞ্চ’র আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীর কার্যকরী সদস্য, গৌরীপুর সংগীত নিকেতনের পরিচালক ও বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, গৌরীপুর উপজেলা শাখার সদস্য।
গৌরীপুরে গত ২৫ বছর ধরে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন ও কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত থেকে তিনি বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে চলমান আন্দোলন ও সরকারের ভূমিকা প্রচারের একজন অগ্রগামী সৈনিক তিনি।
সাংবাদিকতার পাশাপাশি শফিকুল ইসলাম মিন্টু গৌরীপুরের শিক্ষা-সংস্কৃতির ক্ষেত্রেও উজ্জল অবদান রেখেছেন। পড়াশোনা শেষ করে তিনি ১৯৯৮ সালে পূর্বধলা ডিগ্রি কলেজ ও পরে বারহাট্টা ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক হিসাবে চাকুরি করেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত থেকে শিক্ষা বিস্তারে বিশেষ অবদান রেখে চলেছেন। ২০১৫ সালে নিজে প্রতিষ্ঠা করেছেন গৌরীপুর পাবলিক কলেজ ও প্রতিভা মডেল স্কুল। বর্তমানে তিনি কলেজটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও প্রতিভা মডেল স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান তিনি। গৌরীপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির টানা দুইবার নির্বাচিত সদস্য, বোরহান উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টানা ২বার নির্বাচিত সভাপতি, গৌরীপুর ইসলামাবাদ সিনিয়ম মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি ও আজীবন দাতা সদস্য, গৌরীপুর মহিলা ডিগ্রী কলেজ পরিচালনা কমিটির নির্বাচিত সদস্য। শিক্ষায় বিশেষ অবদান রাখার জন্য পেয়েছেন ‘সাংবাদিক সুরেশ কৈরী পদক’।
তিনি গৌরীপুরের প্রখ্যাত ব্যবসায়ী মরহুম আরশেদ আলী বেপারী ও গৃহিণী মরহুমা সালেহা আক্তার খানমের ৬কন্যা ১পুত্র সন্তানের মাঝে তিনিই সর্বকনিষ্ট। গৌরীপুর সরযূবালা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ৫ম শ্রেণীতে প্রাথমিক বৃত্তি ও ময়মনসিংহ মৃত্যুঞ্জয় স্কুল থেকে জুনিয়র বৃত্তি ও এসএসসিতে স্টার মার্কসহ বৃত্তি প্রাপ্ত হন। আনন্দমোহন সরকারী কলেজ থেকে এইচএসসি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। ছাত্র জীবন থেকেই তিনি সাংবাদিকতা, রাজনীতি, ক্রীড়া ও বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। ছাত্রাবস্থায় লেখাপড়ার পাশাপাশি ১৯৮৬ সালে ঢাকা থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক একতা পত্রিকার মাধ্যমে তিনি সাংবাদিকতা শুরু করেন। পরবর্তীতে একে একে ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আজকের কাগজ, দৈনিক আল আমিন, দৈনিক মুক্তকণ্ঠ, দৈনিক সমকাল ও ময়মনসিংহ থেকে প্রকাশিত দৈনিক আজাকের বাংলাদেশ, দৈনিক ঈষিকা ও দৈনিক পরিচয়ে দীর্ঘদিন সাংবাদিকতা করেন। বর্তমানে তিনি দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক স্বদেশ সংবাদ পত্রিকা ও অনলাইন ঢাকা নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম ও উত্তরাধীকার ৭১ডট কমের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন। আশির দশকে সাংবাদিকতা শুরু থেকে একটানা ত্রিশ বছর তিনি মফস্বল সাংবাদিকতায় মেধা, সততা, পেশাদারিত্ব, দায়িত্বশীলতা ও অসাম্প্রদায়িক চিন্তা-চেতনার নিরবচ্ছিন্ন চর্চা করে চলেছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে তিনি বারবার আপোসহীন ও অকুতোভয়।
১৯৯৮ সালে তিনি গৌরীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি নির্বাচিত হন। এর পর একে একে সাতবার তিনি সংগঠনটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন এবং বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি গৌরীপুর উপজেলা শাখার বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এবং সাংবাদিক বহুমুখী সমবায় সমিতি লি. গৌরীপুর এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি পিআইবি ও বিসিডিজেসি থেকে সাংবাদিকতার উপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ ও সনদ লাভ করেছেন।
১৯৮৪ সালে এলাকার ক্রীড়ামোদী তরুণ যুবকদের নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন গৌরীপুরের স্বনামধন্য ক্রীড়া সংগঠন ‘ব্রাদার্স ইউনিয়ন’। সংগঠনটির টানা তিনবার সাধারণ সম্পাদক ও একবার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ফুটবল ও ক্রিকেট তাঁর প্রিয় খেলা। এক সময় তিনি ক্রিকেট খেলতেন। খেলাধূলার গুনগত মান উন্নয়নের জন্য কাজও করেছেন।
এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকল রাজনতৈনিক, সামাজিক, ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক, সাংবাদিক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ সকলের কাছে তিনি বিশেষ গ্রহণযোগ্য একজন মানুষ।

Comments are closed.

     এই বিভাগের আরও খবর