বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ ২০২৪ -|- ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০-বসন্তকাল -|- ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

গৌরীপুরের ১ম সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধের সংগঠক, ভাষা সৈনিক হাতেম আলী মিয়া (এমসিএ) ১৫ তম সাহাদত বার্ষিকীতে স্বরণে-

প্রকাশিত হয়েছে- রবিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২০
||
  • প্রকাশিত সময় : এপ্রিল, ২৬, ২০২০, ৪:৫৪ অপরাহ্ণ
আনোয়ার হোসেন শাহীন, স্টাফ রির্পোটার :
লেখাটি গৌরীপুর প্রেস ক্লাবের ৩২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী স্বারক প্রকাশনা ২০০৩ সালে প্রয়াত সাংবাদিকদের নিয়ে “আমরা যাদের হারিয়েছি ” এই শিরোনামে ‘ প্রয়াসে’ ছাপা হয়ে ছিল। চলছে মুজিব বর্ষ,হাতেম আলী মিয়ার ‘ মুজিব ভাই থেকে বঙ্গবন্ধু’ প্রসঙ্গে আলাপাচারিতা ও অন্তিম ইচ্ছা পূরণ না হওয়া কথাগুলো পাঠকের সামনে তুলে ধরা হলো।
হাতেম আলী মিয়া
—————
সাংবাদিক, রাজনীতিক। তিনি ১৯২৬ সালে ১৭ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলার নন্দুরা গ্রামে এক সম্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন।তাঁর পিতা মরহুম জহির উদ্দিন মাষ্টার ও মাতা মরহুমা মেহেরুন্নেছা।১৯৪৯ সালে গোবিন্দ পুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মেট্রিক ও ১৯৬২ সালে গৌরীপুর কলোজ থেকে আই এ পাশ করেন।
গৌরীপুরে সাংবাদিকতা খ্যাতি ও সুনাম বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে ছড়িয়ে আছে।তৎকালীন পাকিস্তান আমলে গৌরীপুরে সাংবাদিকতা জগতে প্রথমেই আসেন প্রাক্তন এম সি এ হাতেম আলী মিয়া (প্রয়াত)। তিনি ঢাকা থেকে ‘ দৈনিক ইত্তেফাক’ পত্রিকায় সাংবাদিকতা করতেন। বহু কষ্ট করে এই অঞ্চলের সংবাদ ও ছবি প্রেরণ করতেন ইত্তেফাক অফিসে। ( সুত্রঃ কাজী মোনায়েম এর ‘গৌরীপুর থানার সংবাদ ও সাংবাদিক ‘ প্রবন্ধ – সুবর্ণ বাংলা ১ম বর্ষ ১ম সংখ্যা ১৫ সেপ্টেম্বর ২০০২)।
আরো জানা যায়, ইত্তেফাকের শিশু – কিশোর পাতা’ কঁচি কাচার আসর’ গৌরীপুর শাখা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।এই কঁচি কাচাকে নিয়ে তৎকালীন গৌরীপুরের সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড হতো এবং ইত্তেফাকের পাতায় ছাপা হতো। আজো গৌরীপুরের একটি এলাকা কঁচিকাচা নামে পরিচিত।এর বেশী তেমন কিছু জানা যায়নি।
পরবর্তি সময়ে স্থানীয় ‘ পাক্ষিক সুবর্ণ বাংলা’য় তিনি ‘ মুজিব ভাই থেকে বঙ্গবন্ধু ‘ শিরোনামে একটি ধারাবাহিক লিখেছেন।সেই সাথে তিনি তাঁর রাজনৈতিক কর্মকান্ড নিয়ে কলাম লিখতেন।২০০২ সালে সুবর্ণ বাংলা প্রকাশের পর পত্রিকার বার্তা সম্পাদক হিসাবে তিনি আমাকে বলেছিলেন, আমি একটি পান্ডুলিপি তৈরী করেছি।এটি বই আকারে প্রকাশ করার ইচ্ছে আমার।সম্ভব হলে সুবর্ণ বাংলায় তা প্রকাশ করো। আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ কর্মী হিসাবে তাঁর স্নেহ – ভালবাসা ও রাজনীতি করার সুযোগসহ সান্নিধ্য পেয়েছিলাম।তাই বঙ্গবন্ধুর সাথে উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলো পাঠকদের তুলে ধরার আমার লক্ষ্য।এই বলে তিনি বেশ কয়েক পৃষ্ঠা লেখা আমার হাতে তুলো দেন।আমি বলি,লেখাগুলো সম্পাদক সাহেবের কাছে নিয়ে যাই।দেখি তিনি কি বলেন।তিনি অাবারো বলেন, সম্পাদক জহিরকে আমিও বলবো।পরে জহির ভাই লেখাগুলো দেখে ছাপানোর ব্যাবস্থা করেন।সুবর্ণ বাংলায় ‘ মুজিব ভাই থেকে বঙ্গবন্ধু ‘ লেখাটি ধারাবাহিক ১ম বর্ষ ১০ সংখ্যা,১ ফেব্রুয়ারি ২০০৩ সাল থেকে ৩য় বর্ষ, ৪র্থ সংখ্যা ৪ নভেম্বর২০০৪ সাল পর্যন্ত ২৭টি পর্বে ছাপা হয়েছিল। এ সময় হাতেম আলী মিয়া বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভূগছিলেন। ২৬ এপ্রিল ২০০৫ সালে রাত ১১টা-০৫ মিনিটে ৮০ বছর বয়সে নিজ বাসভবনে এই প্রবীণ সাংবাদিক ও রাজনৈতিকের জীবনাবসান ঘটে।যার ফলে লেখাটি অসাপ্ত থেকে যায়।তাঁর অন্তিম ইচ্ছা আর পূরণ হয়নি।