প্রধান প্রতিবেদক :
কৃষকের বন্ধু লোকজ কৃষি বিজ্ঞানী ময়মনসিংহের গৌরীপুরের মো.আব্দুল্লাহ ওরফে কেনু মিস্ত্রি আর নেই। গত বুধবার (১ জানুয়ারি/১৯) ভোরে তিনি রুকনাকান্দা গ্রামে নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৮৩ বছর। তিনি কয়েক সপ্তাহ আগে সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে আসেন। আজ জানাজা নামাজ শেষে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়।
প্রসঙ্গত, কেনু মিস্ত্রির বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার রুকনাকান্দা গ্রামে। পেশায় তিনি একজন কাঠমিস্ত্রি। স্কুল কলেজের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াই তিনি হয়ে উঠেছেন কৃষিবান্ধব যন্ত্রপাতি তৈরির কারিগর। এলাকায় তার পরিচিতি ‘লোকজ কৃষি বিজ্ঞানী’ হিসাবে। কেনু মিস্ত্রি উদ্ভাবন করেছেন সেনি উইডার, আধুনিক ধানমাড়াইয়ের যন্ত্র, ফসলের মাটি ঝুরো করার ‘বিন্দাযন্ত্র’, খুব সহজে মাটি খননের ‘আগরযন্ত্র’, গোল আলুর বীজ বপনযন্ত্র, নির্দিষ্ট দূরত্বে শস্যবীজ বপনযন্ত্র, সবজি বীজ বপনযন্ত্র, সবজি গাছের ডগা কেটে ফেলার ‘কাটারযন্ত্র’, ক্ষেত বা উচু গাছে কীটনাশক স্প্রে করার যন্ত্র, সবজির চারা উত্তোলন যন্ত্র, আধুনিক দা, আধুনিক ক্ষন্তা, আধুনিক কাচি, আধুনিক কোদাল, গুটিসার প্রয়োগযন্ত্র, সহজে জমিতে সেচ দেওয়ার ‘পাডাকল’, পানি সেচের ‘হাতকুন্দা’ সেমাই বানানোর যন্ত্র, গভীর কাদা থেকে সহজেই মাছ শিকারের জন্য ‘হয়ড়া’, সেনি উইডার সহ কৃষিভেদে চার ধরণের নিড়ানী যন্ত্র সহ ৪২টি হস্তচালিত কৃষিযন্ত্র।’ কেনুমিস্ত্রির উদ্ভাবন করা অধিকাংশ যন্ত্রপাতি ও কিছু শৌখিন সামগ্রী স্থান পেয়েছে ময়মনসিংহে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি জাদুঘরে।
টি.কে ওয়েভ-ইন