অন্ধকারে বসে আছি শূন্য রেখা
খুঁজি তারে দারুণ মনে একা একা
পুলকিত হাসিতে কবে দেবে দেখা
মিশ্ররঙে সুমিত্র পটে সেই ছবি আঁকা।
জোনাক আলোর প্রহর রাঙা পথে
দুরন্ত মনে বাজালে বীণা হৃদয় হতে
আমি চিনি তোমারে ছিন্ন ভাবনাতে
স্বর্গ ত্যাগের আগে, বিদায় মুহুর্তে ।
জানা-অজানার চেনা মিলন স্থলে
পুরাতন শ্যাওলা বিভাজন দেয়ালে
সূর্যোদয়ের লাল চুম্বন দেবে তুলে
প্রভাতিকার অট্টহাসির মৃর্ণগালে ।
তোমার কথা অমৃত কাব্য নেশে
কথার কাব্য ভাসে বাতাসে
এসো এই বাহু বলয়
নিঃশেষে
এসো উড়ে যাই অনন্ত বিকাশে ।
মেঘ আমার আবেগে শোভিত শ্রাবণ ভাবনা
পরশের আবেশে মুগ্ধ রসে কল্প কণা, মেলেছে ডানা
মধ্যরাতের গল্পটা কোথায় পাবে বৃষ্টি বিলাসি ঠিকানা
এসো কল্পকণা, আমার দেহ হবে তোমার শ্রাবণ দিনের আলপনা।
কচিপাতার অনেক কথা লতার সাথে
হাত পেতেছি অনাদরের আদর পেতে
অন্তরে অচীন দিনের পুরনো গান
বাহিরে নম্র তালে সুরের তূফান
সান্ত্বনার অভয় বীণায় বাজে প্রাণ।
তিমির রাতে আছি আঁধারের গুহায়
ইচ্ছের আলো অন্ধকার ছোঁয়ে যায়
রাতের প্রাতে তারার অসীম সীমায়
অচল সময় সচল হয় ঘড়ির কাঁটায়
কষ্ট সজ্জিত আবেগী কথায়।
অল্প কথায় জাগলো যখন স্বপ্নপাতা
মুখে রক্তিম হাসির সুরভি নম নম্রতা
বলা না বলার প্রতিক্রিয়া অযথা
আত্মার বন্ধনে
অলংকৃত প্রেমের সদ্য ব্যথা ।
সসীমে অসীমে যে মহিমা অনুরাগে
শব্দ-সমষ্টিতে ভাবের রঙধনু জাগে
সেই রঙে তোমায় সাজাই দিন শেষে
যদি আসো কল্পকণা, জলকণার পাশে।
তাং ৭\৮\২০২০