বুধবার, ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-গ্রীষ্মকাল -|- ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

করোনা আতঙ্কের মধ্যেই ৩ আসনে ভোট চলছে

প্রকাশিত হয়েছে- শনিবার, ২১ মার্চ, ২০২০
||
  • প্রকাশিত সময় : মার্চ, ২১, ২০২০, ১০:২৯ পূর্বাহ্ণ

বাহাদুর ডেস্ক :

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে- সরকারি সংস্থার কাছ থেকে এমন সতর্কবার্তা আসার পরও ঢাকা-১০, গাইবান্ধা-৩ এবং বাগেরহাট-৪ আসনে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। শনিবার সকাল ৯টায় শুরু হওয়া ভোট বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনা প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকর উপায় জনসমাগম এড়ানো- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ বার্তা দিলেও শনিবার তিন আসনের উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে। অবশ্য করোনাভাইরাসের কারণে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা দিতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও টিস্যু পেপার পাঠানো হয়েছে। নেওয়া হয়েছে অন্যান্য সুরক্ষা ব্যবস্থাও। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে করোনা বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে প্রচারপত্র ও ব্যানারও পাঠানো হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ, বিজিবি এবং আনসার সদস্য। রয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালতসহ স্ট্রাইকিং ফোর্সও।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস পদত্যাগ করলে শূন্য হয় ঢাকা-১০ আসন। গত ২৭ ডিসেম্বর ইউনূস আলী সরকারের মৃত্যুতে গাইবান্ধা-৩ এবং ১০ জানুয়ারি মোজাম্মেল হোসেনের মৃত্যুতে বাগেরহাট-৪ আসন শূন্য হয়। সংবিধান অনুযায়ী, আসন শূন্য হওয়ার পরবর্তী নব্বই দিনের মধ্যে উপনির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে মোট ছয়জন প্রার্থী রয়েছেন। তবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন ও বিএনপির শেখ রবিউল আলম রবি। ধানমন্ডি, হাজারীবাগ, নিউমার্কেট ও কলাবাগান থানা নিয়ে ঢাকা-১০ আসন। মোট ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ১২ হাজার ২৮১ জন।

গাইবান্ধা ও সাদুল্যাপুর প্রতিনিধি জানান, গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্যাপুর-পলাশবাড়ী) আসনের উপনির্বাচনে কাগজে-কলমে চারজন প্রার্থী থাকলেও শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে রয়েছেন তিনজন। তারা হচ্ছেন- নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি, ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির প্রার্থী ডা. সৈয়দ মইনুল হাসান সাদিক এবং লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে জাতীয় পাটির প্রার্থী মইনুর রাব্বী চৌধুরী রুমান।

এই আসনে ভোটকেন্দ্র ১৩২টি ও ভোটকক্ষ ৭৮৬টি। ভোটগ্রহণে ১৩২ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, ৭৮৬ জন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এবং এক হাজার ৫৭২ জন পোলিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে পুলিশ, আনসার, র‌্যাব, বিজিবিসহ চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার দায়িত্বে আছেন ২৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগেরহাট ও মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনে উপনির্বাচনে প্রার্থী দু’জন। তারা হলেন- নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী অ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন এবং লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টি প্রার্থী সাজন কুমার মিস্ত্রি। বিএনপি প্রার্থী কাজী খায়রুজ্জামান শিপন আপিলেও প্রার্থিতা ফিরে পাননি। এই আসনে ১৪৩টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে। ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ১৬ হাজার ৫১০ জন। পুলিশের পাশাপাশি ১০ প্লাটুন বিজিবি, দুই প্লাটুন কোস্টগার্ড ও র‌্যাবের ১০টি টিম মোতায়েন করা হয়েছে। রয়েছেন ২৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ২ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।

টি.কে ওয়েভ-ইন