আজ শুক্রবার ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

||
  • প্রকাশিত সময় : এপ্রিল, ১৮, ২০২০, ১০:৫৮ অপরাহ্ণ




এস.আই গৌতম রায়ের ১০ ম মৃত্যু বার্ষিকী ১০ বছরেও হত্যার বিচার পায়নি তার পরিবার

তিলক রায় টুলু পূর্বধলা থেকে ঃ
ছিলেন পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস আই), জীাবিত অবস্থায় তদন্ত করেছেন অনেক মামলার, রহস্য উদঘাটনও করেছেন অনেক মামলার, পুরস্কারও পেয়েছেন । সেই মানুষটিকে দায়িত্বরত অবস্থায় হত্যা করে পালিয়ে যায় খুনিরা। তিনিই আজ সংবাদের শিরোনাম। তার হত্যাকান্ডের ১০ বছর পার হলেও বিচারের আশায় থাকতে থাকতে তার পরিবার আজ কান্ত।
১৯ এপ্রিল বংশাল থানার অপারেশন অফিসার এস আই গৌতম রায়ের ১০ মৃত্যু বাষির্কী । ২০১০ সালের ১৯ এপ্রিল তিনি পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে রাতে ওয়ারীর বাসায় ফেরার সময় সুত্রাপুর থানার লাল মোহন সাহা স্ট্রিট এলাকায় একদল চিহ্নিত সন্ত্রাসী অত্যান্ত সুপরিকল্পিত ভাবে তাকে গুলি করে পালিয়ে যায় পরে রাতেই ঢাকা মেডিকেলে নেওয়ার পর কর্মরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
পরদিন তৎকালিন স্বরাস্ট্র মন্ত্রী সাহারা খাতুন, পুলিশের ভারপ্রাপ্ত আইজিপি নব বিক্রম ত্রিপুরা ও র‌্যাবের ডিজি হাছান মাহামুদ খন্দকার ও পুলিশের উর্ধŸতন কর্মকর্তাগণ ছুটে যান। এ সময় অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের আশ্বাসও দেন। এ ব্যাপারে সুত্রাপুর থানায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এর পর পুলিশ ও র‌্যাবের মধ্যে আসামী ধরা নিয়ে চলে প্রতিযোগীতা। হত্যাকান্ডটি ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চলের সৃস্টি হয়। পরে মামলাটি চাঞ্চল্যকর মামলা হিসাবে ডিবি পুলিশ এর কাছে হস্তান্তর করা হয়। হত্যাকান্ডের দীর্ঘসুত্রতা নিয়ে ক্ষোভ ও হতাশা তুলে ধরেন তার ছোট ভাই সাংবাদিক তিলক রায়। তিনি বলেন এ হত্যাকান্ডটি একটি সুপরিকল্পিত হত্যাকান্ড । মামলার চার্জশিট দেওয়া হলেও যে পিস্তল দিয়ে আমার বড়দাকে গুলি করে হত্যা করেছে সেই পিস্তলটি আজও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। আসল অপরাধী চক্রকেও পুলিশ চিহ্নিত করতে পারেনি । গৌতম রায়ের হত্যকান্ডটি সুপরিকল্পিত দাবী করে তার পরিবার বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে কি কারনে কেন কারা এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে তাদের খুজে বের করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী করে আসছিল। তাই আমরা আপত্তি তুলে ছিলাম। যেহেতু আমরা মামলার বাদী নই তাই আমরা পত্রিকার মাধ্যমে এ আপত্তি দিয়েছিলাম। যতটুকু শুনেছি এ মামলায় কয়েকজনকে আটক করা হয়েছিল। তবে তাদের সবাই জামিনে আছে। এখন আর মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে কিছুই জানি না।
উল্লেখ্য এস.আই গৌতম রায়ের বাড়ি গৌরীপুর উপজেলার শ্যামগঞ্জ বাজারে। সে শ্যামগঞ্জ বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী স্বর্গীয় ইন্দু ভূষন রায় ও বকুল রানী রায়ের প্রথম সন্তান।
স্থানীয় ও এলাকাবাসী সুত্রে জানাযায় গৌতম রায় গৌরীপুর প্রেসকাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও নেত্রকোনার পূর্বধলা প্রেসকাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক ও ভোরের কাগজ পত্রিকার পূর্বধলা প্রতিনিধি ছিলেন। এ ছাড়া তিনি ছাত্র জীবনে ছাত্র ইউনিয়নের ময়মনসিংহ জেলা কমিটির সদস্য ও জেলা উদীচী ও খেলাঘরের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তরুন বয়সে তিনি অধিকার আদায়ে স্থানীয় কৃষক ও ক্ষেতমজুরদের সংঘটিত করে এরাকায় ব্যাপক জনপ্রিয় এক ব্যাক্তি ছিলেন। সৎ ,সুদর্শন, ভদ্র ও বিনয়ী ব্যবহারের কারনে সর্বমহলে সুনাম ছিল তার। সরকার পুলিশ ও প্রশাসনের পাশাপশি নিজ এলাকার লোকজন ও তার এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারেনি। তাই এ হত্যাকান্ডের বিচারের দাবীতে তোলপার শুরু হয়। কিন্তু দীর্ঘ ১০ বছরেও বিচার না পাওয়ায় পরিবারের মতো এরাকাবাসীও গৌতমের বিচারের আশা ছেড়ে দিয়েছেন।
দাম্পত্য জীবনে এস আই গৌতম রায়ের এক ছেলে এক মেয়ে রয়েছে। ছেলে গৌরব রায় ঝলক বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশান ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে পাশ করে একটি মালটিন্যাশেনাল কোম্পানিতে চাকুরি করছেন। অপর দিকে মেয়ে অদিতি রায় ঝিলিক সিটি কলেজে একাদশ শ্রেনীতে পড়াশোনা করছেন।
গৌতম রায়ের ছেলে গৌতম রায় ঝলক বলেন আমার দাদু ও ঠাকুমার শেষ ইচ্ছা ছিলো তাদের ছেলের হত্যার বিচার দেখবেন। কিন্তু এই আফসোস নিয়েই তারা পৃথিবী থেবে বিদায় নিয়েছেন। বিচারের দীর্ঘসুত্রাতার কারনে আমরা বেঁচে থাকতে বাবার হত্যাকান্ডের বিচার দেখে যেতে পারবো কিনা এ নিয়েও সন্দিহান।
এ উপলক্ষে তার নীজ বাড়ি শ্যামগঞ্জের বাসায় গীতা পাঠ, ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান ও প্রসাত বিতরনের আয়োজন করা হয়েছে।




Comments are closed.

     এই বিভাগের আরও খবর




অনলাইন জরিপ

জাতিসংঘের বিশেষ দূত এলিস ক্রুজ বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুফল সব মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে না। আপনিও কি তা-ই মনে করেন?

View Results

Loading ... Loading ...

পুরনো সংখ্যার নিউজ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০