ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে গলা কেটে দুই আপন ভাগ্নিকে হত্যা করেছে মামা মাহাবুব (২০)। এ লোমহর্ষক ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার ১২টার দিকে উপজেলা উচাখিলা ইউনিয়নের কাজীর বলসা গ্রামে।
জানা যায়, কাজীর বলসা গ্রামের মৃত আ: ছালামের কন্যা সালমা ও হালিমা সন্তানদের নিয়ে ১০দিন পূবে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। সালমার বিয়ে হয় নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলায় বাউশি ইউনিয়নের বাড়ইতাতিয়া গ্রামের রাজিবের সাথে, তার ৪বছরের কন্যা সায়মা। হালিমার বিয়ে হয় নান্দাইল উপজেলার মোযাজ্জেমপুর ইউনিয়নের কাদিরপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের সাথে, তার ৩বছরের একমাত্র কন্যা তৃপ্তি।
মাহাবুব ওই দুই শিশু ভাগ্নিকে নিজ বাড়ির সমনে থেকে ডেকে বসত ঘরে ভেতর নিয়ে দা দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে, ঘাতক লাশ ফেলে রেখে রক্তাত্ব অবস্থায় মসজিদে গিয়ে বসে থাকে স্থানীয়রা তাকে ভেতরে আটকে রাখে। মামার হাতে দু’ভাগ্নি হত্যার চাঞ্চল্যাকর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে হাজার হাজার উৎসুক জনতার ভীড় জমেওই বাড়িতে।
সরেজমিন ঘটনা স্থলে গিয়ে দেখা যায়, সালমা ও হালিমা সন্তান শোকে বার বার মুর্চে যাচ্ছে। দু’শিশু হত্যার ঘটনায় স্বজনদের মধ্যে শোকের মাতম চলছে। পুলিশ ঘটনা স্থল থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করে এবং মাহাবুবকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এঘটনার পূবে বাড়ির পাশে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা যুবক তৌফিক (১৫) কোদাল দিয়ে খুপিয়ে গুরুতর আহত করে। তাকে আশঙ্খা জনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মহাবুবের ভাই সাদেকসহ অনেকেই জানান, মাহাবুব প্রায় বছর খানেক ধরে মানসিক সমস্যায় ভোগ ছিলো।
এমন খবরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাফিজা জেসমিন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌরীপুর সার্কেল শেখ মোস্তাফিজুর রহমান, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়রুল হাসান খান সেলিম ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল কাদের মিয়া জানান, হত্যার সাথে জড়িত মাহাবুবকে আটক করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি সহ হত্যার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।
ঈশ্বরগঞ্জে ২ভাগ্নিকে গলা কেটে হত্যা ঘাতক মামা আটক
প্রকাশিত হয়েছে- মঙ্গলবার, ৮ মার্চ, ২০২২মো. সেলিম || নিজস্ব প্রতিবেদক, ঈশ্বরগঞ্জ
- প্রকাশিত সময় : মার্চ, ৮, ২০২২, ১:০২ পূর্বাহ্ণ