করোনা মহামারীর কারণে দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা কওমী মাদ্রাসায় অন্যান্য কর্মে যোগ দেয়ায় ময়মনসিংহের ঈশ^রগঞ্জে শতাধিক বেসরকারি কিন্ডার গার্টেন স্কুল অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। দীর্ঘসময় স্কুল বন্ধ থাকায় বেকার হয়ে পড়েছে ওই প্রতিষ্ঠান গুলোর শিক্ষকরা। ১২ সেপ্টেম্বর সরকারি নির্দেশে এসব বিদ্যালয় গুলো খোলা হলেও শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির কারণে শিক্ষকরা তাদের প্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখতে হিমশিম খাচ্ছেন। এমন অবস্থার প্রতিষ্ঠান প্রধানরা তাদের স্কুল টিকিয়ে রাখাই দায় হয়ে বলে দাবি করছে।
উপজেলা সোহাগী দি হলি ইনফ্যান্ট একাডেমির পরিচালক আব্দুল আওয়াল বলেন, প্রথম শ্রেণি থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত ১৫০ জন শিক্ষার্থী ছিলো। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে ৩০-৪০জন শিক্ষার্থী উপস্থিত আছে। তিনি আরো বলেন, বন্ধ থাকার কালীন সময়ে প্রতিষ্ঠানটির ভাড়া ও অন্যান্য খরচ সহ প্রায় ৫লাখ টাকা ঋণ হয়েছে।
প্রতিভা আইডিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাখাওয়াত হোসেন খসরু জানান, বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ৮জন ও ৯ম শ্রেণির একজন ছাত্রীর বিয়ে হয়েছে। অনেক শিক্ষার্থী কওমী মাদ্রাসা ও বিভিন্ন কাজ কর্মে যুক্ত হয়ে পড়েছে।
কিন্ডার গার্টেন এসোসিয়েশনের সভাপতি অলক ঘোষ ছোটন ও সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন সোহেল জানান, দীর্ঘ ১৭মাস শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থী কমেছে। প্রতিষ্ঠান গুলোর আয় নির্ভর করে শিক্ষার্থীর সেশন ফির মাধ্যমে। ছাত্র-ছাত্রী অনুপস্থিত থাকায় অর্ধেকের বেশি প্রতিষ্ঠান বন্ধের উপক্রম হয়েছে। নতুন করে বেকার হবে প্রায় দু’শতাধিক শিক্ষক।