আজ শনিবার ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম:
আহত সাংবাদিক রফিক বিশ্বাসকে দেখতে গেলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান -এড,ফজলুল হক গৌরীপুরে কাউন্সিলর পদে আইনী লড়াইয়ে বিজয়ী হলেন এসএম আলী আহাম্মদ! ঈশ্বরগঞ্জে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী তারাকান্দায় পানিসম্পদ সেবা সপ্তাহের উদ্ভোধন তারাকান্দায় ৬ মাসে সড়কে ঝরল ১৮ প্রাণ ঈশ্বরগঞ্জে গাছের ডাল কাটাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১ তারাকান্দায় প্রেসক্লাবের সভাপতি রফিক বিশ্বাসকে হাসপাতালে দেখতে গেলেন ফুলপুর প্রেসক্লাব সভাপতি গৌরীপুরে পহেলা বৈশাখে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক উৎসব গৌরীপুরে স্বজন সমাবেশের উদ্যোগে বর্ষবরণ উৎসব মানবিক চিকিৎসক সোহানুর রহমান সোহান
||
  • প্রকাশিত সময় : মে, ১৪, ২০২১, ৩:৫১ অপরাহ্ণ




‘ঈদের চাঁদ উঠলেই আমার বুকে আগুন জ্বলতে থাকে’

কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় নৃশংস জঙ্গি হামলার ঘটনার পাঁচ বছর পর আবারও ফিরে এলো ঈদুল ফিতর। স্বপ্ন আঁকড়ে বেঁচে আছে জঙ্গি হামলায় নিহত আনসারুলের পরিবার।

ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত ফাঁসি চান নিহত আনসারুলের মা রাবেয়া খাতুন। তিনি বলেন, ঈদের চাঁদ উঠলেই আমার বুকে আগুন জ্বলতে থাকে।

তবে ওই হামলার ঘটনায় করা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের কার্যক্রম এখনো শুরু হয়নি। সেই দুঃসহ স্মৃতি এখনো ভুলতে পারছেন না নিহত আনসারুলের পরিবার। আনসারুল হক উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের মৃত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে।

২০১৬ সালের ৭ জুলাই ছিল পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন। কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠের অদূরে আজিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে পুলিশের ওপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। তারা নির্মমভাবে চাপাতি ও কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পুলিশ কনস্টেবল আনসারুলকে।

সেই দুঃসহ স্মৃতি এখনো ভুলতে পারছেন না আনসারুলের মা রাবেয়া খাতুন। প্রতি ঈদুল ফিতরের দিন ছেলের ছবির দিকে তাকিয়ে থাকেন বৃদ্ধ মা। ছেলে হত্যাকারীদের ফাঁসি চান তিনি। ওই ঘটনায় তার পুরো পরিবার তছনছ হয়ে গেছে।

শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠের ঐতিহ্য ও মর্যাদা রক্ষায় দ্রুত এর বিচারকার্য শেষ করে দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন এলাকার বিশিষ্টজনেরা।

ওই দিন পুলিশের তল্লাশির সময় জঙ্গিরা গ্রেনেড হামলা করে। এ ছাড়া তাদের চাপাতির কোপে দুই পুলিশ কনস্টেবল আনসারুল হক ও জহিরুল ইসলাম মারা যান। ওই সময় আরও ১২ পুলিশ সদস্য আহত হন। পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে’ ঘটনাস্থলে জঙ্গি আবির রহমান মারা যান। উভয় পক্ষের গোলাগুলির মধ্যে নিজ বাসায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান এলাকার গৃহবধূ ঝর্ণা রানী ভৌমিক।

এ ঘটনায় আটক করা হয় জঙ্গি শফিউল ও স্থানীয় তরুণ জাহিদুল ইসলাম ওরফে তানিমকে। পরে একই বছরের ৪ আগস্ট ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার ডাংরি এলাকায় র‌্যাবের সঙ্গে এক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ শফিউল নিহত হন।

হামলার তিন দিন পর ১০ জুলাই পাকুন্দিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ সামসুদ্দীন বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা করেন। এ ঘটনায় পুলিশ ২০১৮ সালের ১২ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। আর ২৮ নভেম্বর মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। মামলাটি বর্তমানে কিশোরগঞ্জের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-২ বিচারাধীন। মামলার তদন্ত করে শেষ পর্যন্ত মোট ২৪ জনকে আসামি করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানকালে ১৯ জন মারা যায়।

নিহত আনসারুল হকের ভাই নাজমুল হক বলেন, আমার ভাইয়ের হত্যাকারীদের বিচার  কি হয়েছে কিনা তা আমরা জানি না।  এ ফলাফল আমরা জানি না।  আমরা চাই এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদেরকে সরকার ফাঁসি দিক

মা রাবেয়া খাতুন বলেন, আমার ছেলে লাখ লাখ মানুষের জীবন বাঁচাতে গিয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় হয়ে গেছে। ঈদের চাঁদ উঠলেই আমার বুকে আগুন জ্বলতে থাকে। আমার ছেলেকে যারা হত্যা করেছে তাদের ফাঁসি চাই।

মদন থানার ওসি ফেরদৌস আলম জানান, আমি নতুন যোগদান করেছি। পুলিশ সুপারের নির্দেশে নিহত আনসারুলের পরিবারের সদস্যদের খোঁজ খবর নিয়েছি।  তাদেরকে ঈদ সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে। তবে আইনের বিষয়টি কিশোরগঞ্জ পুলিশ বলতে পারবে।

সূত্র : দৈনিক যুগান্তর




Comments are closed.

     এই বিভাগের আরও খবর




অনলাইন জরিপ

জাতিসংঘের বিশেষ দূত এলিস ক্রুজ বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুফল সব মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে না। আপনিও কি তা-ই মনে করেন?

View Results

Loading ... Loading ...

পুরনো সংখ্যার নিউজ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০