বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-গ্রীষ্মকাল -|- ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

‘ইন্টারন্যাল সিগন্যাল সিস্টেম’ এর কারণে গৌরীপুরে আন্তঃনগর বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন লাইনচ্যূত

প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০
||
  • প্রকাশিত সময় : ফেব্রুয়ারি, ১৯, ২০২০, ১০:৪৩ অপরাহ্ণ

মোস্তাফিজুর রহমান বুরহান, গৌরীপুর প্রতিনিধি ঃ
ময়মনসিংহের গৌরীপুর আন্তঃনগর বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন বুধবার (১৯ ফেব্র“য়ারি/২০২০) দাখিল করেছেন বিভাগীয় প্রতিনিধি দল। তবে অন্য ৩টি ট্রেন দুর্ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন এখনও প্রকাশিত হয়নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন তদন্ত দলের প্রধান বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিবহন কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম। তিনি জানান, গৌরীপুর ও শ্যামগঞ্জ রেলওয়ে জংশনের ইন্টারন্যাল সিগন্যাল সিস্টেম প্রায় ৫৪বছরের পুরাতন। গৌরীপুর জংশনের ইন্টারন্যাল সিগন্যাল সিস্টেমের সমস্যার কারণে আন্তঃনগর বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনটি লাইনচ্যূত হয়। তিনি আরো জানান, এ দুটো স্টেশনের সিগন্যাল সিস্টেম পরিবর্তনের জন্য পত্র দেয়া হয়েছে এবং সিগন্যাল সিস্টেম আধুনিকায়ন (কম্পিউটারাইজ) করার কার্যক্রমও শুরু হয়েছে। আন্তঃনগর বিজয় এক্সপ্রেস জানুয়ারি মাসের ১৫তারিখ বুধবার রাতে গৌরীপুর জংশনের আউটার সিগন্যাল অতিক্রমের সময় লাইনচ্যূত। এ ঘটনার জন্য তদন্ত কমিটির অপর সদস্যরা হলেন সিগন্যাল বিভাগের কর্মকর্তা সানোয়ার হোসেন, সহকারী প্রকৌশলী সুকুমার রায় ও এএমাই কর্মকর্তা সাজিদ হাসান নির্জন।
অপরদিকে জানুয়ারি মাসের ১৮তারিখ শুক্রবার সন্ধ্যা ৫টা ২০মিনিটে জামালপুরের তারাকান্দিগামী সার বোঝাই মালবাহী ট্রেনের বগি গৌরীপুরে লাইনচ্যূত হয়। মালবাহী ট্রেনের বগি উদ্ধার করতে এসে উদ্ধারকারী রিলিফ ট্রেনের টুলস ইঞ্জিনও ওইদিন রাত ১০টা ৩০মিনিটে লাইনচ্যূত হওয়ার ঘটনা ঘটে। জানুয়ারি মাসের ২০তারিখ সোমবার জারিয়া থেকে ময়মনসিংহগামী জারিয়া লোকাল ট্রেনের ইঞ্জিন ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জে বিকাল ৩টা ৫০মিনিটে, লাইনচ্যূত হয়।
এসব দুর্ঘনটনা কারণ অনুসন্ধ্যানে ৬ তদন্তের উচ্চপর্যায়ের বিভাগীয় প্রতিনিধি দল মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি/২০২০) দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। প্রতিনিধি দলের প্রধান বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বীরেন্দ্র নাথ মজুমদার। প্রতিনিধি দলে ছিলেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী তানভিরুল ইসলাম, বিভাগীয় প্রকৌশলী (ওয়ান) মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, বিভাগীয় পরিবহন প্রকৌশলী ময়েনুল ইসলাম, বিভাগীয় সংকেত প্রকৌশলী আবুহেনা মোস্তফা আলম, বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী মোঃ রেজাউল করিম। তদন্ত দলের প্রধান জানান, দুর্ঘটনার প্রকৃত অনুসন্ধান শেষে যেসব সমস্যা পরীলক্ষিত হয়, তা সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হবে। প্রত্যেকটি দুর্ঘটনার কারণ খোঁজে বের করাও হবে।