মাউন্ট মঙ্গাইনুয়ে বাংলাদেশের জয়ের নায়ক এবাদত হোসেন চৌধুরী। আগের দিন ৪ উইকেট পেয়েছিলেন এবাদত। তার বলে আউট হন- উইল ইয়াং, ডেভন কনওয়ে, হেনরি নিকোলস ও টম ব্লান্ডেল। আজ প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলে রস টেলরকে বোল্ড করেন। এরপর নেন কাইল জেমিসনের উইকেট। সব মিলিয়ে ৪৬ রানে তার শিকার ৬ উইকেট। তার হাত ধরে প্রায় ৯ বছর ও ৪৭ ম্যাচ পর টেস্টে ৫ উইকেট পেলেন বাংলাদেশের কোনো পেসার। শাহাদাত হোসেন, রবিউল ইসলাম ও মঞ্জুরুল ইসলামের পর চতুর্থ পেসার হিসেবে টেস্টে ৬ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়লেন এই পেসার।
এবাদতের ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট জয়ের স্বাদ নিল বাংলাদেশ, নিউজিল্যান্ডের মাটিতেই। টম লাথামের দলকে ৮ উইকেটে হারাল মুমিনুল বাহিনী। ম্যাচ শেষে স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচ অব দ্য ম্যাচ এবাদত হোসেন।
আগের ১০ টেস্টে দেখার মত কিছু করতে পারেননি এবাদত। ১০ টেস্ট মিলিয়ে যেখানে ১১ উইকেট, সেখানে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এক টেস্টেই এবাদতের শিকার ৭ উইকেট। প্রথম ইনিংসে ১ উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছেন আরো ৬টি উইকেট। তার আগের সেরা বোলিং ২০১৯ সালে কলকাতায় ভারতের বিপক্ষে ৯১ রানে ৩ উইকেট।
অভিষেকের পর থেকেই দেখা যাচ্ছে, উইকেট নেওয়ার পরেই স্যালুট দিতেন এবাদত। যেমনটা করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসার শেলডন কটরেলও। আগে কম দেখা গেলেও এই টেস্টে ৭ উইকেট নিয়ে প্রতিবারই স্যালুট দিয়েছেন তিনি। ম্যাচশেষে এবাদতের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, সেনা সদস্যদের মত করে এমন স্যালুট দেয়ার রহস্য কী?
জবাবে এবাদত হোসেন জানালেন তিনি বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একজন সদস্য। স্যালুট দেয়াটা তার অভ্যাস। এবাদত বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একজন সদস্য, জানি কীভাবে স্যালুট দিতে হয়।’
ক্রিকেটের আগে ভলিবল খেলতেন এবাদত। জানালেন, ‘ভলিবল থেকে ক্রিকেটে আসার গল্পটা অনেক লম্বা। আমি ক্রিকেটটা উপভোগ করছি। বাংলাদেশ ও বিমানবাহিনীর প্রতিনিধিত্ব করাটাও।’