মা আজ রাতে চাঁদ ওঠেছিলো হেসে
সকালের সূর্যটা সোনার থালা
মমতা বিলায়
যেনো তোমার খোলা হৃদয়।
জানি তোমার বুকে অনেক কষ্ট জমেছে
আমাকে নিয়ে প্রচুর ভাবছো
স্বাভাবিক
মা মানা করো না শহরে যেতে দাও
কারখানায় ডাক পড়েছে
তোমার আঁচলের গিঁঠ ফসকাও
সময় আমাকে ডাকে
বিধিবদ্ধ নিয়ম ডাকে
আর যাই বলো মা প্রয়োজনকে বাদ দেয়া কঠিন।
মা কাঁদেন-
তুই আমার প্রাণের টুকরো
নাড়ীছেঁড়া ধন মানিক রতন
‘করোনা’কে আমার যে বড় ভয়!
লকডাউনে ভেঙ্গে ভেঙ্গে রাস্তা পেরিয়ে
অবশেষে গন্তব্যে পৌঁছে ছেলের ফোন-
মা আমি কাজে যোগ দিয়েছি
চিন্তা করো না
কারখানা তোমার মতোই আপন
খাবার জোগায়
আমার বাচ্চাদের বাঁচাতে শক্তি জোগায়
জেনে সুখী হবে
কাল বেতন পেয়েছি চল্লিশভাগ
কিছু টাকা পাঠালাম
কোনোক্রমে পুষিয়ে নেবে আর কি!
তারপর সময় গড়ায় যেনো
ভারি রোলার বুকের পাজরে
নিরুপায় মা ফোন করেন
আর পারছি না বাপ কিছু টাকা দে।
ছেলের উত্তর-
মা আমি রাজপথে মিছিলে
ওরা আমাকে ছাটাই করেছে
শ্লোগান শুনতে পাচ্ছ না?
‘করোনা’ আর মালিক তফাৎ নেই
আমাদের সবখানেই মৃত্যু
মা আমাকে ডেকো না
আমাকে জিততে দাও
বাঁচতে দাও
আমরা বাঁচবোই
তোমার আঁচলের নীচে যেমন বেঁচেছিলাম।
০৭/০৬/২০২০২০ খ্রিঃ।