আজ বুধবার ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

||
  • প্রকাশিত সময় : জানুয়ারি, ১৩, ২০২০, ৪:০৫ অপরাহ্ণ




অপেক্ষা ফুরাচ্ছে ই-পাসপোর্টের

বাহাদুর ডেস্ক :

অপেক্ষার দিন শেষ হচ্ছে স্বপ্নের ই-পাসপোর্ট (ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট) হাতে পাওয়ার। আগামী ২২ জানুয়ারি থেকে ই-পাসপোর্ট বিতরণ শুরু হবে। ওইদিন ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ই-পাসপোর্টের উদ্বোধন করবেন।

প্রকল্প তথ্য অনুযায়ী, ‘বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট চালু এবং অটোমেটিক বর্ডার কন্ট্রোল ম্যানেজমেন্ট’ প্রজেক্টটি ৪,৫৬৯ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে। সরকারের নিজস্ব তহবিলে ২০১৮ সালের জুলাই থেকে ২০২৮ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে। দশ বছরে ৩০ মিলিয়ন পাসপোর্ট সরবরাহ করা হবে।

এই ই-পাসপোর্ট ইস্যু করার মাধ্যমে ইমিগ্রেশন আনুষ্ঠানিকতার সব প্রক্রিয়াই অনলাইনে সম্পন্ন হবে। তথ্য সূত্র মতে, দুই মিলিয়ন পাসপোর্ট তৈরি হবে জামার্নিতে। ফলে যারা আগে আবেদন করবেন তারা জামার্নির তৈরি পাসপোর্ট পাবেন। ই-পাসপোর্টের মেয়াদ হবে ৫ থেকে ১০ বছর।

ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুর রহমান খান বলেন, এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি ও আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে জানানো হবে। ই-পাসপোর্ট ব্যবহারের জন্য হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বয়ংক্রিয় গেটও এর মধ্যে স্থাপন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব বন্দরে এই গেট চালু করা হবে। এ সময়ে ই-পাসপোর্টের পাশাপাশি মেশিন রিডেবল পাসপোর্টও চালু থাকবে।

সাধারণ পাসপোর্ট থেকে ই-পাসপোর্টের পার্থক্য হলো এতে মোবাইল ফোনের সিমের মতো ছোট ও পাতলা আকারের ইলেকট্রনিক মাইক্রোপ্রসেসর চিপ যুক্ত থাকবে। এই চিপ পাসপোর্টের একটি বিশেষ পাতার ভেতরে থাকবে। এই পাতা সাধারণ পাতার চেয়ে মোটা হবে। চিপে সংরক্ষিত বায়োমেট্রিক তথ্য বিশ্লেষণ করে পাসপোর্ট বহনকারীর পরিচয় শনাক্ত করা যাবে। এতে করে একজনের নাম-পরিচয় দিয়ে অন্য নামে পাসপোর্ট কেউ করতে পারবে না। এই পাসপোর্ট নকল হওয়ার আশঙ্কাও থাকবে না। সাধারণ পাসপোর্টের তুলনায় ই-পাসপোর্টে নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যও থাকছে বেশি। এতে ৩৮ ধরনের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য থাকবে যার অনেক বৈশিষ্ট্য থাকবে লুকানো অবস্থায়। ই-পাসপোর্ট করার সময় মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এমআরপি) ডাটাবেসে পাওয়া তথ্যগুলো ই-পাসপোর্টে স্থানান্তর করা হবে।

সাধারণ পাসপোর্টের মতো ই-পাসপোর্টের আবেদনও অনলাইনে পাওয়া যাবে। চাইলে পিডিএফ ফরম ডানলোড করে হাতেও পূরণ করা যাবে। ফরম পূরণের সময় ছবি ও সত্যায়ন করা লাগবে না। তবে বয়স্কদের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে জন্মনিবন্ধন সনদ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আবেদনপত্র গ্রহণের সময় আবেদনকারীর ১০ আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশের ছবি নেওয়া হবে। সেসব তথ্য চিপে যুক্ত হবে। ইমিগ্রেশন পুলিশ বিশেষ যন্ত্রের সামনে পাসপোর্টের পাতাটি ধরতেই সব তথ্য বেরিয়ে আসবে।

ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্প সূত্র জানায়, ই-পাসপোর্ট হবে দুই ধরনের। একটি ৪৮ পাতার, অন্যটি ৬৪ পাতার। সাধারণ, জরুরি ও অতি জরুরির জন্য ফি হবে তিন ধরনের। এবার দুই দিনের মধ্যে পাসপোর্ট দেওয়ার নিয়ম চালু হচ্ছে। এজন্য ফিও বেশি গুনতে হবে।

প্রসঙ্গত, ই-পাসপোর্ট গত বছরের ১ জুলাই থেকে চালু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নানা কারণে সেই তারিখ পিছিয়ে যায়। পরে ২৮ নভেম্বর থেকে ই-পাসপোর্ট চালুর কথা বলা থাকলেও তা-ও সম্ভব হয়নি।

টি.কে ওয়েভ-ইন




Comments are closed.

     এই বিভাগের আরও খবর




অনলাইন জরিপ

জাতিসংঘের বিশেষ দূত এলিস ক্রুজ বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুফল সব মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে না। আপনিও কি তা-ই মনে করেন?

View Results

Loading ... Loading ...

পুরনো সংখ্যার নিউজ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০