আজ বুধবার ১২ই আশ্বিন, ১৪৩০, ২৭শে সেপ্টেম্বর ২০২৩

শিরোনাম:
জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদকের জন্য জেলার শ্রেষ্ঠ এমএমসি’র সভাপতি নির্বাচিত হলেন গৌরীপুরের স্বজন কাদির গৌরীপুর ইউএনও’র সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ! গৌরীপুরে উপজেলা যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি নেতৃবৃন্দের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু’র প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ অবশেষে : সঞ্জয় দাস ৫০তম জাতীয় গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় গৌরীপুরে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ ঈশ্বরগঞ্জে কৃষকদের মাঝে সার বীজ বিতরণ সাজার রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল আদিলুর-নাসিরের বাবরের ‘সিংহাসন’ ছিনিয়ে নেবেন গিল ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠাতে হবে: ফখরুল দেশে চক্ষু চিকিৎসার বিশেষ অবদানের জন্য ভারতের ‘গুরু পুজান’ পদকে ভূষিত হলেন গৌরীপুরের ডা. মুকতাদির
||
  • প্রকাশিত সময় : জানুয়ারি, ৮, ২০২০, ১০:৪৭ অপরাহ্ণ
দেশে প্রথমবার বুক না কেটে সফলভাবে রোগীর শরীরে এর্টিক ভাল্ব প্রতিস্থাপন করে উচ্ছ্বসিত চিকিৎসকরা।




দেশে প্রথমবার বুক না কেটে ‘এওর্টিক ভাল্ব’ প্রতিস্থাপন

বাহাদুর ডেস্ক :

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালে বুক না কেটে এক রোগীর ‘এওর্টিক ভাল্ব’ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।

হৃৎপিণ্ড মানব দেহে রক্ত সঞ্চালন করে। এই রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়ায় হৃৎপিণ্ডে বিভিন্ন ধরনের ভাল্ব থাকে, এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূণর্ ভাল্বটি হল ‘এওর্টিক ভাল্ব’। যে ভাল্ব দিয়ে হৃৎপিণ্ড থেকে শরীরে রক্ত সঞ্চালিত হয়। এই ভাল্বটি সরু হয়ে গেলে এওর্টিক স্টেনোসিস হৃৎপিণ্ড থেকে রক্ত শরীরে সঞ্চালন করতে পারে না এবং রোগী হাঁটলে শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা ও অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে। এ সব উপসর্গ দেখা দিলে দুই বছরের মধ্যে বেশিরভাগ রোগী মারা যায়।

জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. প্রদীপ কুমার যুগান্তরকে বলেন, এই রোগের দুই ধরনের চিকিৎসা আছে। একটি হল বুক কেটে ভাল্ব প্রতিস্থাপন করা। এ পদ্ধতিতে রোগীকে সম্পূর্ণ অজ্ঞান করতে হয়। রোগীর বুকের হাড়কে কাটতে হয় এবং প্রক্রিয়াটি ঝুঁকিপূর্ণ। এ ছাড়া পরিপূর্ণ সুস্থ হতে রোগীর কয়েক সপ্তাহ সময় লাগে। আর আমরা যেটা করেছি তা হল, বুক না কেটে এবং অজ্ঞান না করে পায়ের কুচকি দিয়ে ‘এওর্টিক ভাল্ব’ প্রতিস্থাপন করেছি। এটা কম ঝুঁকিপূর্ণ।

তিনি জানান, গত রোববার তার নেতৃত্বে এবং হাসপাতালটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিনের তত্ত্বাবধানে ৬০ বছর বয়সী এক নারী রোগীর শরীরে সফলভাবে ‘এওর্টিক ভাল্ব’ প্রতিস্থাপন করেন। যা বাংলাদেশে এই প্রথম। এর আগে এমনটা আর কেউ করেননি।

ডা. প্রদীপ কুমার বলেন, এ পদ্ধতিতে অপারেশনের পর এক রোগী ২-৩ দিনের মধ্যে বাসায় চলে যেতে পারেন এবং এক সপ্তাহের মধ্যে কাজে যোগদান করতে পারেন। বর্তমানে রোগীটি সম্পূর্ণ সুস্থ আছে।

তিনি বলেন, এওর্টিক স্টেনোসিস পদ্ধতিতে রোগীরা অপেক্ষাকৃত কম খরচে এই চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহণ করতে পারবে। ইতিপূর্বে এই ধরনের রোগীদের দেশে এ চিকিৎসা পদ্ধতি না থাকার কারণে বিদেশে অনেক উচ্চমূল্যে এই চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহণ করতে হতো। আমরা আশা করছি, যদি এই চিকিৎসা পদ্ধতি পরিপূর্ণভাবে বাংলাদেশে চালু হয়, তাহলে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে।




Comments are closed.

     এই বিভাগের আরও খবর




অনলাইন জরিপ

জাতিসংঘের বিশেষ দূত এলিস ক্রুজ বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুফল সব মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে না। আপনিও কি তা-ই মনে করেন?

View Results

Loading ... Loading ...

পুরনো সংখ্যার নিউজ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০