বাহাদুর ডেস্ক :
ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আদেল আব্দুল মাহদি জানিয়েছেন, তার সরকারের আমন্ত্রণেই গত ৩ জানুয়ারি ভোরে বাগদাদে পৌঁছান ইরানের প্রভাবশালী কুদস ফোর্সের জেনারেল কাসেম সোলাইমানি। তিনি তেহরান-রিয়াদ উত্তেজনা নিরসন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বার্তা নিয়ে এসেছিলেন। ওইদিন সাড়ে আটটায় ইরাকি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের কথা ছিল তার। তবে তার আগেই বাগদাদ বিমানবন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত হন সোলাইমানি।
মার্কিন বিমান হামলায় সোলাইমানির সঙ্গে নিহত হন ইরাকের প্রভাবশালী মিলিশিয়া গ্রুপ হাশদ আশ শাবির ডেপুটি কমান্ডার আবু মাহদি আল মুহান্দিসহ মোট দশ জন। ওই হামলার পর রবিবার পার্লামেন্টের এক অধিবেশনে ইরাক থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেওয়ার পক্ষে ভোট দেন আইনপ্রণেতারা। পার্লামেন্টে দেওয়া বক্তব্যে ইরাকের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রীও মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহারের পক্ষে মতামত দেন।
ইরাকি প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা প্রশমনের উদ্দেশ্যে ইরাকের মধ্যস্থতায় সৌদি আরবের সঙ্গে ইরানের যে সংলাপ চলছিল সে সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করছিলেন জেনারেল সোলাইমানি। ইরাকের প্রধানমন্ত্রী রবিবার দেশটির পার্লামেন্টের বিশেষ অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্যে এ কথা জানান। ওই অধিবেশনে ইরাক থেকে দখলদার মার্কিন সেনা বহিষ্কার করার বিল পাস হয়। আদেল আব্দুল মাহদি বলেন, সৌদি আরব এর আগে ইরাকের মাধ্যমে ইরানকে যে বার্তা দিয়েছিল সে ব্যাপারে তেহরানের জবাব নিয়ে জেনারেল সোলাইমানি বাগদাদ সফরে গিয়েছিলেন।